alt

সম্পাদকীয়

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পৌর এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সামান্য বৃষ্টিতেই অধিকাংশ বাসাবাড়ি এবং রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে পৌরসভার সাবালিয়া, বিশ্বাস বেতকা, পূর্ব আদালতপাড়া, থানাপাড়া, আদি টাঙ্গাইল, কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যাটি বর্তমানে শহরবাসীর জীবনযাত্রাকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই শহরের অধিকাংশ রাস্তা, বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অকার্যকারিতা এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে তাদের অদূরদর্শিতা রয়েছে।

প্রতিদিনকার এই দুর্ভোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকাতেই বছরের পর বছর ধরে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলোÑ শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না করা এবং খালগুলো অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া। প্রায় ২৭টি খালের মধ্যে অধিকাংশই অবৈধ দখলের শিকার, যা পানি নিষ্কাশনের পথে প্রধান বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

পৌরসভা প্রশাসনের উদাসীনতা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। খাল ও ডোবা দখল হয়ে যাওয়ার পরও তা পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাময়িক সংস্কারের পরিবর্তে টেকসই সমাধান দরকার।

সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল দখল মুক্ত করা এবং সমন্বিত নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবি। টাঙ্গাইলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই ধরনের সমস্যার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হওয়া অগ্রহণযোগ্য।

স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার উচিত, দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা। পাশাপাশি, শহরের বাসিন্দাদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাব এই সংকটকে দীর্ঘায়িত করেছে। এখন সময় এসেছে, পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের।

এই জলাবদ্ধতা শুধু প্রকৃতির প্রভাব নয়, এটি মানুষের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার ফল। শহরের নাগরিকদের উচিত, তাদের নাগরিক অধিকার আদায়ে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ওপর জোরালো চাপ প্রয়োগ করা।

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পৌর এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সামান্য বৃষ্টিতেই অধিকাংশ বাসাবাড়ি এবং রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে পৌরসভার সাবালিয়া, বিশ্বাস বেতকা, পূর্ব আদালতপাড়া, থানাপাড়া, আদি টাঙ্গাইল, কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যাটি বর্তমানে শহরবাসীর জীবনযাত্রাকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই শহরের অধিকাংশ রাস্তা, বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অকার্যকারিতা এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে তাদের অদূরদর্শিতা রয়েছে।

প্রতিদিনকার এই দুর্ভোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকাতেই বছরের পর বছর ধরে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলোÑ শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না করা এবং খালগুলো অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া। প্রায় ২৭টি খালের মধ্যে অধিকাংশই অবৈধ দখলের শিকার, যা পানি নিষ্কাশনের পথে প্রধান বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

পৌরসভা প্রশাসনের উদাসীনতা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। খাল ও ডোবা দখল হয়ে যাওয়ার পরও তা পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাময়িক সংস্কারের পরিবর্তে টেকসই সমাধান দরকার।

সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল দখল মুক্ত করা এবং সমন্বিত নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবি। টাঙ্গাইলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই ধরনের সমস্যার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হওয়া অগ্রহণযোগ্য।

স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার উচিত, দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা। পাশাপাশি, শহরের বাসিন্দাদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাব এই সংকটকে দীর্ঘায়িত করেছে। এখন সময় এসেছে, পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের।

এই জলাবদ্ধতা শুধু প্রকৃতির প্রভাব নয়, এটি মানুষের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার ফল। শহরের নাগরিকদের উচিত, তাদের নাগরিক অধিকার আদায়ে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ওপর জোরালো চাপ প্রয়োগ করা।

back to top