alt

সম্পাদকীয়

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

: শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

দেশের খালগুলো একসময় ছিল পানির প্রধান প্রবাহপথ, যা জলাবদ্ধতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে এসব খাল দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল দখলমুক্ত করা এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাল দখল এখন নিয়মিত ঘটনা। কোথাও কোনো বাধা-নিষেধ না থাকায় যে যার মতো করে খালের জমি দখল করে নিয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবের সুযোগ নিয়ে এই অবৈধ দখলদারিত্ব দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। একাধিক সংস্থা খাল রক্ষায় জড়িত থাকলেও, তাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি ও কার্যকরভাবে কাজ করার অভাব প্রকট। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পরিষ্কারের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, সেটি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল খালগুলোর জমি চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করা, পুনঃখনন ও প্রশস্ত করা। কিন্তু প্রকল্পটি শুরু হলেও, খাল পুনঃখনন করে ময়লা খালের পাশেই রেখে দেয়া হয়, যা পরে বৃষ্টির সময় খালে ফিরে আসে। বহুতল ভবনগুলো ভাঙা হয়নি, যার ফলে দখলদারিত্বের সমস্যা থেকেই যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি দপ্তর এবং পৌরসভার মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি, আর ব্যয় করা ৩২৫ কোটি টাকাও কার্যকর ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই অব্যবস্থাপনার কারণে চৌমুহনীর আটিয়াবাড়ি-ছাতারপাইয়া এবং তুলাতুলি খালসহ অনেক খাল ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা জমা করে খালগুলোকে এমনভাবে ভরাট করা হয়েছে যে সেগুলো চেনার উপায় নেই। দীর্ঘদিন ধরে এসব খালের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে।

আমরা বলতে চাই, খাল দখলমুক্ত করা ও পুনঃখননের জন্য প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এ কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

দেশের খালগুলো একসময় ছিল পানির প্রধান প্রবাহপথ, যা জলাবদ্ধতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে এসব খাল দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল দখলমুক্ত করা এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাল দখল এখন নিয়মিত ঘটনা। কোথাও কোনো বাধা-নিষেধ না থাকায় যে যার মতো করে খালের জমি দখল করে নিয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবের সুযোগ নিয়ে এই অবৈধ দখলদারিত্ব দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। একাধিক সংস্থা খাল রক্ষায় জড়িত থাকলেও, তাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি ও কার্যকরভাবে কাজ করার অভাব প্রকট। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পরিষ্কারের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, সেটি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল খালগুলোর জমি চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করা, পুনঃখনন ও প্রশস্ত করা। কিন্তু প্রকল্পটি শুরু হলেও, খাল পুনঃখনন করে ময়লা খালের পাশেই রেখে দেয়া হয়, যা পরে বৃষ্টির সময় খালে ফিরে আসে। বহুতল ভবনগুলো ভাঙা হয়নি, যার ফলে দখলদারিত্বের সমস্যা থেকেই যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি দপ্তর এবং পৌরসভার মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি, আর ব্যয় করা ৩২৫ কোটি টাকাও কার্যকর ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই অব্যবস্থাপনার কারণে চৌমুহনীর আটিয়াবাড়ি-ছাতারপাইয়া এবং তুলাতুলি খালসহ অনেক খাল ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা জমা করে খালগুলোকে এমনভাবে ভরাট করা হয়েছে যে সেগুলো চেনার উপায় নেই। দীর্ঘদিন ধরে এসব খালের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে।

আমরা বলতে চাই, খাল দখলমুক্ত করা ও পুনঃখননের জন্য প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এ কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

back to top