দেশের খালগুলো একসময় ছিল পানির প্রধান প্রবাহপথ, যা জলাবদ্ধতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে এসব খাল দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল দখলমুক্ত করা এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাল দখল এখন নিয়মিত ঘটনা। কোথাও কোনো বাধা-নিষেধ না থাকায় যে যার মতো করে খালের জমি দখল করে নিয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবের সুযোগ নিয়ে এই অবৈধ দখলদারিত্ব দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। একাধিক সংস্থা খাল রক্ষায় জড়িত থাকলেও, তাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি ও কার্যকরভাবে কাজ করার অভাব প্রকট। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পরিষ্কারের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, সেটি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল খালগুলোর জমি চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করা, পুনঃখনন ও প্রশস্ত করা। কিন্তু প্রকল্পটি শুরু হলেও, খাল পুনঃখনন করে ময়লা খালের পাশেই রেখে দেয়া হয়, যা পরে বৃষ্টির সময় খালে ফিরে আসে। বহুতল ভবনগুলো ভাঙা হয়নি, যার ফলে দখলদারিত্বের সমস্যা থেকেই যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি দপ্তর এবং পৌরসভার মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি, আর ব্যয় করা ৩২৫ কোটি টাকাও কার্যকর ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই অব্যবস্থাপনার কারণে চৌমুহনীর আটিয়াবাড়ি-ছাতারপাইয়া এবং তুলাতুলি খালসহ অনেক খাল ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা জমা করে খালগুলোকে এমনভাবে ভরাট করা হয়েছে যে সেগুলো চেনার উপায় নেই। দীর্ঘদিন ধরে এসব খালের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
আমরা বলতে চাই, খাল দখলমুক্ত করা ও পুনঃখননের জন্য প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এ কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
দেশের খালগুলো একসময় ছিল পানির প্রধান প্রবাহপথ, যা জলাবদ্ধতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে এসব খাল দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল দখলমুক্ত করা এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাল দখল এখন নিয়মিত ঘটনা। কোথাও কোনো বাধা-নিষেধ না থাকায় যে যার মতো করে খালের জমি দখল করে নিয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবের সুযোগ নিয়ে এই অবৈধ দখলদারিত্ব দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। একাধিক সংস্থা খাল রক্ষায় জড়িত থাকলেও, তাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি ও কার্যকরভাবে কাজ করার অভাব প্রকট। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পরিষ্কারের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, সেটি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল খালগুলোর জমি চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করা, পুনঃখনন ও প্রশস্ত করা। কিন্তু প্রকল্পটি শুরু হলেও, খাল পুনঃখনন করে ময়লা খালের পাশেই রেখে দেয়া হয়, যা পরে বৃষ্টির সময় খালে ফিরে আসে। বহুতল ভবনগুলো ভাঙা হয়নি, যার ফলে দখলদারিত্বের সমস্যা থেকেই যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি দপ্তর এবং পৌরসভার মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি, আর ব্যয় করা ৩২৫ কোটি টাকাও কার্যকর ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই অব্যবস্থাপনার কারণে চৌমুহনীর আটিয়াবাড়ি-ছাতারপাইয়া এবং তুলাতুলি খালসহ অনেক খাল ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা জমা করে খালগুলোকে এমনভাবে ভরাট করা হয়েছে যে সেগুলো চেনার উপায় নেই। দীর্ঘদিন ধরে এসব খালের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
আমরা বলতে চাই, খাল দখলমুক্ত করা ও পুনঃখননের জন্য প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এ কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।