উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম হচ্ছে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী উত্তরা মেইল ট্রেন। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে ট্রেনসেবা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলের মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা এই সেবা বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ট্রেনটি চালু না হওয়ায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই হচ্ছে না, জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চালক সংকটের কথা বলছে। আমরা জানতে চাইব, এত দীর্ঘ সময় ধরে কেন এ সংকটের সমাধান করা সম্ভব হলো না। ট্রেনটি শুধু যাত্রীদের যাতায়াতের জন্যই নয়, বরং আত্রাই থেকে মাছ, কাঁচামালসহ নানা প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল। এতে ব্যয় কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হতেন। এখন ট্রেন বন্ধ থাকায় তারা সস্তা পরিবহন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অঞ্চলিক ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে মাছ ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। একজন মাছ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আত্রাই থেকে মাছ আনার খরচ অনেক বেড়ে গেছে, ফলে তার ব্যবসায় ধস নেমেছে। একইভাবে বাদাম বিক্রেতা এবং হকাররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ট্রেন বন্ধ থাকায় শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, সাধারণ মানুষও ভাড়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন। আন্তঃনগর ট্রেনে রাজশাহী যেতে যেখানে ৪৫-৫০ টাকা ভাড়া লাগে, সেখানে উত্তরা মেইল ট্রেনে ভাড়া ছিল মাত্র ১৫ টাকা। সস্তা এই যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কবে। চালক সংকটের সমাধান করা কী এতই কঠিন। রেলওয়ের উচিত দ্রুত এই সংকট নিরসন করে ট্রেনটি পুনরায় চালু করা। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এর মাধ্যমে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি এবং জনজীবনের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে উত্তরা মেইল ট্রেনটি পুনরায় চালু করা অত্যন্ত জরুরি।
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম হচ্ছে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী উত্তরা মেইল ট্রেন। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে ট্রেনসেবা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলের মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা এই সেবা বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ট্রেনটি চালু না হওয়ায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই হচ্ছে না, জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চালক সংকটের কথা বলছে। আমরা জানতে চাইব, এত দীর্ঘ সময় ধরে কেন এ সংকটের সমাধান করা সম্ভব হলো না। ট্রেনটি শুধু যাত্রীদের যাতায়াতের জন্যই নয়, বরং আত্রাই থেকে মাছ, কাঁচামালসহ নানা প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল। এতে ব্যয় কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হতেন। এখন ট্রেন বন্ধ থাকায় তারা সস্তা পরিবহন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অঞ্চলিক ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে মাছ ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। একজন মাছ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আত্রাই থেকে মাছ আনার খরচ অনেক বেড়ে গেছে, ফলে তার ব্যবসায় ধস নেমেছে। একইভাবে বাদাম বিক্রেতা এবং হকাররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ট্রেন বন্ধ থাকায় শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, সাধারণ মানুষও ভাড়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন। আন্তঃনগর ট্রেনে রাজশাহী যেতে যেখানে ৪৫-৫০ টাকা ভাড়া লাগে, সেখানে উত্তরা মেইল ট্রেনে ভাড়া ছিল মাত্র ১৫ টাকা। সস্তা এই যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কবে। চালক সংকটের সমাধান করা কী এতই কঠিন। রেলওয়ের উচিত দ্রুত এই সংকট নিরসন করে ট্রেনটি পুনরায় চালু করা। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এর মাধ্যমে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি এবং জনজীবনের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে উত্তরা মেইল ট্রেনটি পুনরায় চালু করা অত্যন্ত জরুরি।