alt

সম্পাদকীয়

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

: রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানকার রাস্তা, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। এই জলাবদ্ধতা শুধু চলাচলের দুর্ভোগই নয়, পাশাপাশি নানা ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগের বিস্তারে জলাবদ্ধতা এক প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডিএনডি এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে ওঠায় এই সমস্যার গভীরতা দিন দিন বাড়ছে। ফতুল্লা, তুষারধারা, লালপুর এবং গাবতলীসহ ডিএনডি এলাকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দারা বৃষ্টির পানি এবং শিল্প-কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে আটকা পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অন্যদিকে, সরকারের নেয়া ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও, গত আট বছর ধরে প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাসিন্দারা এখনও প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ এবং সেচ পাম্প স্থাপন করার কথা ছিল। তবে এর অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, এবং পাম্প স্টেশনগুলোর দুর্বলতা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জলাবদ্ধতার এই সমস্যা দূর করতে নগর পরিকল্পনাবিদরা সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাম্প স্টেশনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং খালগুলো পুনর্খননের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও, খালগুলোর দুপাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সম্মিলিত উদ্যোগে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।

ডিএনডি প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। এ এলাকায় বসবাসরত লাখো মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানকার রাস্তা, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। এই জলাবদ্ধতা শুধু চলাচলের দুর্ভোগই নয়, পাশাপাশি নানা ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগের বিস্তারে জলাবদ্ধতা এক প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডিএনডি এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে ওঠায় এই সমস্যার গভীরতা দিন দিন বাড়ছে। ফতুল্লা, তুষারধারা, লালপুর এবং গাবতলীসহ ডিএনডি এলাকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দারা বৃষ্টির পানি এবং শিল্প-কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে আটকা পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অন্যদিকে, সরকারের নেয়া ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও, গত আট বছর ধরে প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাসিন্দারা এখনও প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ এবং সেচ পাম্প স্থাপন করার কথা ছিল। তবে এর অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, এবং পাম্প স্টেশনগুলোর দুর্বলতা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জলাবদ্ধতার এই সমস্যা দূর করতে নগর পরিকল্পনাবিদরা সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাম্প স্টেশনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং খালগুলো পুনর্খননের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও, খালগুলোর দুপাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সম্মিলিত উদ্যোগে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।

ডিএনডি প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। এ এলাকায় বসবাসরত লাখো মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

back to top