ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানকার রাস্তা, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। এই জলাবদ্ধতা শুধু চলাচলের দুর্ভোগই নয়, পাশাপাশি নানা ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগের বিস্তারে জলাবদ্ধতা এক প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডিএনডি এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে ওঠায় এই সমস্যার গভীরতা দিন দিন বাড়ছে। ফতুল্লা, তুষারধারা, লালপুর এবং গাবতলীসহ ডিএনডি এলাকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দারা বৃষ্টির পানি এবং শিল্প-কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে আটকা পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অন্যদিকে, সরকারের নেয়া ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও, গত আট বছর ধরে প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাসিন্দারা এখনও প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ এবং সেচ পাম্প স্থাপন করার কথা ছিল। তবে এর অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, এবং পাম্প স্টেশনগুলোর দুর্বলতা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জলাবদ্ধতার এই সমস্যা দূর করতে নগর পরিকল্পনাবিদরা সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাম্প স্টেশনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং খালগুলো পুনর্খননের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও, খালগুলোর দুপাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সম্মিলিত উদ্যোগে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
ডিএনডি প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। এ এলাকায় বসবাসরত লাখো মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানকার রাস্তা, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। এই জলাবদ্ধতা শুধু চলাচলের দুর্ভোগই নয়, পাশাপাশি নানা ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগের বিস্তারে জলাবদ্ধতা এক প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডিএনডি এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে ওঠায় এই সমস্যার গভীরতা দিন দিন বাড়ছে। ফতুল্লা, তুষারধারা, লালপুর এবং গাবতলীসহ ডিএনডি এলাকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দারা বৃষ্টির পানি এবং শিল্প-কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে আটকা পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অন্যদিকে, সরকারের নেয়া ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও, গত আট বছর ধরে প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাসিন্দারা এখনও প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ এবং সেচ পাম্প স্থাপন করার কথা ছিল। তবে এর অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, এবং পাম্প স্টেশনগুলোর দুর্বলতা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জলাবদ্ধতার এই সমস্যা দূর করতে নগর পরিকল্পনাবিদরা সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাম্প স্টেশনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং খালগুলো পুনর্খননের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও, খালগুলোর দুপাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সম্মিলিত উদ্যোগে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
ডিএনডি প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। এ এলাকায় বসবাসরত লাখো মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।