দেশে বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য একটি নতুন সংকেত হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশে বেকার শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে, যা এক বছরের ব্যবধানে ১ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। দেশে শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়েছে, তবে বেকারত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।
২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। গত এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট, যা দেশের জন্য একটি সংকেত দেয় যে, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি এখনও প্রত্যাশিতভাবে উন্নতি করছে না। এর মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, শ্রমশক্তির পরিমাণ বেড়ে গেলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ ঠিক তেমনভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে যে ধরনের কর্মসংস্থান বাড়ছে তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বেকারত্বের বৃদ্ধি মূলত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নীতির প্রতি উপেক্ষার ফল। অতিরিক্ত শ্রমশক্তি এবং অপ্রতুল কর্মসংস্থান সুযোগের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বাড়ছে। এটি দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং অবকাঠামোগত সমস্যার প্রতিফলন। পাশাপাশি, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেকারত্বের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু ১৯তম আইসিএলএস অনুযায়ী নতুন পরিসংখ্যান এবং পুরনো পরিসংখ্যানের মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, শ্রমশক্তির বাইরে থাকা মানুষের সংখ্যা। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা ৫ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষার্থী, গৃহিণী, অসুস্থ ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত লোকজন ও বিভিন্ন কারণে কর্মে নিয়োজিত না হওয়া মানুষ রয়েছেন। তারা যদি শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে সক্ষম হতেন, তবে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।
সরকারের পক্ষ থেকে আগের মতো কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নীতি সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। অর্থনীতির বৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায় এবং কর্মসংস্থান সুযোগের সমন্বয়ই বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি। শ্রমবাজারে সংকট কাটাতে হলে দেশীয় শিল্প বিকাশ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ শ্রমশক্তি সৃষ্টির দিকে মনোনিবেশ করা আবশ্যক। নীতিগতভাবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং এই সুযোগে যেন প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বেকারত্ব কমানোর জন্য শুধু পরিসংখ্যানের খোলনলচে পরিবর্তন নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থিতিশীল কর্মসংস্থান নীতি গ্রহণ জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি। দেশে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
দেশে বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য একটি নতুন সংকেত হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশে বেকার শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে, যা এক বছরের ব্যবধানে ১ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। দেশে শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়েছে, তবে বেকারত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।
২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। গত এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট, যা দেশের জন্য একটি সংকেত দেয় যে, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি এখনও প্রত্যাশিতভাবে উন্নতি করছে না। এর মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, শ্রমশক্তির পরিমাণ বেড়ে গেলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ ঠিক তেমনভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে যে ধরনের কর্মসংস্থান বাড়ছে তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বেকারত্বের বৃদ্ধি মূলত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নীতির প্রতি উপেক্ষার ফল। অতিরিক্ত শ্রমশক্তি এবং অপ্রতুল কর্মসংস্থান সুযোগের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বাড়ছে। এটি দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং অবকাঠামোগত সমস্যার প্রতিফলন। পাশাপাশি, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেকারত্বের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু ১৯তম আইসিএলএস অনুযায়ী নতুন পরিসংখ্যান এবং পুরনো পরিসংখ্যানের মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, শ্রমশক্তির বাইরে থাকা মানুষের সংখ্যা। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা ৫ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষার্থী, গৃহিণী, অসুস্থ ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত লোকজন ও বিভিন্ন কারণে কর্মে নিয়োজিত না হওয়া মানুষ রয়েছেন। তারা যদি শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে সক্ষম হতেন, তবে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।
সরকারের পক্ষ থেকে আগের মতো কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নীতি সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। অর্থনীতির বৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায় এবং কর্মসংস্থান সুযোগের সমন্বয়ই বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি। শ্রমবাজারে সংকট কাটাতে হলে দেশীয় শিল্প বিকাশ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ শ্রমশক্তি সৃষ্টির দিকে মনোনিবেশ করা আবশ্যক। নীতিগতভাবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং এই সুযোগে যেন প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বেকারত্ব কমানোর জন্য শুধু পরিসংখ্যানের খোলনলচে পরিবর্তন নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থিতিশীল কর্মসংস্থান নীতি গ্রহণ জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি। দেশে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।