alt

opinion » editorial

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

: বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য একটি নতুন সংকেত হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশে বেকার শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে, যা এক বছরের ব্যবধানে ১ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। দেশে শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়েছে, তবে বেকারত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।

২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। গত এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট, যা দেশের জন্য একটি সংকেত দেয় যে, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি এখনও প্রত্যাশিতভাবে উন্নতি করছে না। এর মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, শ্রমশক্তির পরিমাণ বেড়ে গেলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ ঠিক তেমনভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে যে ধরনের কর্মসংস্থান বাড়ছে তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বেকারত্বের বৃদ্ধি মূলত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নীতির প্রতি উপেক্ষার ফল। অতিরিক্ত শ্রমশক্তি এবং অপ্রতুল কর্মসংস্থান সুযোগের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বাড়ছে। এটি দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং অবকাঠামোগত সমস্যার প্রতিফলন। পাশাপাশি, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেকারত্বের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু ১৯তম আইসিএলএস অনুযায়ী নতুন পরিসংখ্যান এবং পুরনো পরিসংখ্যানের মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, শ্রমশক্তির বাইরে থাকা মানুষের সংখ্যা। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা ৫ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষার্থী, গৃহিণী, অসুস্থ ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত লোকজন ও বিভিন্ন কারণে কর্মে নিয়োজিত না হওয়া মানুষ রয়েছেন। তারা যদি শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে সক্ষম হতেন, তবে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।

সরকারের পক্ষ থেকে আগের মতো কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নীতি সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। অর্থনীতির বৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায় এবং কর্মসংস্থান সুযোগের সমন্বয়ই বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি। শ্রমবাজারে সংকট কাটাতে হলে দেশীয় শিল্প বিকাশ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ শ্রমশক্তি সৃষ্টির দিকে মনোনিবেশ করা আবশ্যক। নীতিগতভাবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং এই সুযোগে যেন প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বেকারত্ব কমানোর জন্য শুধু পরিসংখ্যানের খোলনলচে পরিবর্তন নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থিতিশীল কর্মসংস্থান নীতি গ্রহণ জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি। দেশে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য একটি নতুন সংকেত হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশে বেকার শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে, যা এক বছরের ব্যবধানে ১ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। দেশে শ্রমশক্তির সংখ্যা বেড়েছে, তবে বেকারত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।

২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। গত এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট, যা দেশের জন্য একটি সংকেত দেয় যে, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি এখনও প্রত্যাশিতভাবে উন্নতি করছে না। এর মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, শ্রমশক্তির পরিমাণ বেড়ে গেলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ ঠিক তেমনভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে যে ধরনের কর্মসংস্থান বাড়ছে তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বেকারত্বের বৃদ্ধি মূলত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নীতির প্রতি উপেক্ষার ফল। অতিরিক্ত শ্রমশক্তি এবং অপ্রতুল কর্মসংস্থান সুযোগের কারণে শ্রমবাজারে চাপ বাড়ছে। এটি দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং অবকাঠামোগত সমস্যার প্রতিফলন। পাশাপাশি, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেকারত্বের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু ১৯তম আইসিএলএস অনুযায়ী নতুন পরিসংখ্যান এবং পুরনো পরিসংখ্যানের মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, শ্রমশক্তির বাইরে থাকা মানুষের সংখ্যা। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা ৫ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষার্থী, গৃহিণী, অসুস্থ ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত লোকজন ও বিভিন্ন কারণে কর্মে নিয়োজিত না হওয়া মানুষ রয়েছেন। তারা যদি শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে সক্ষম হতেন, তবে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।

সরকারের পক্ষ থেকে আগের মতো কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নীতি সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। অর্থনীতির বৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায় এবং কর্মসংস্থান সুযোগের সমন্বয়ই বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি। শ্রমবাজারে সংকট কাটাতে হলে দেশীয় শিল্প বিকাশ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ শ্রমশক্তি সৃষ্টির দিকে মনোনিবেশ করা আবশ্যক। নীতিগতভাবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং এই সুযোগে যেন প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বেকারত্ব কমানোর জন্য শুধু পরিসংখ্যানের খোলনলচে পরিবর্তন নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থিতিশীল কর্মসংস্থান নীতি গ্রহণ জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি। দেশে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top