alt

opinion » editorial

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

: সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে তিনটি লেমুর চুরির ঘটনা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার গভীর সংকটকে সামনে এনেছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলেও, পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং পুলিশের প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তা জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাফারি পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। নিচু সীমানা প্রাচীর, নিরাপত্তা প্রহরীর অভাব, এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার ঘটনা এই পার্ককে দুর্বৃত্তদের জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি চুরির ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতার প্রতিফলন। সাফারি পার্কে ১৩০০টির বেশি প্রাণী রয়েছে, এবং কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, যে কোনো সময় অন্য প্রাণী চুরির ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতি পার্কের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, লেমুর চুরির ঘটনা বন্যপ্রাণী পাচারের একটি অংশ হতে পারে। এই চুরির পেছনে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে, যারা বিরল প্রাণী চুরি করে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে। সাফারি পার্কের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এই ধরনের অপরাধীদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে। এই ঘটনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি রাখে।

লেমুর চুরির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফারি পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।

গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নিরাপত্তা ঘাটতি চিহ্নিত করে তা পূরণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বৃদ্ধি, টেকসই বেষ্টনী নির্মাণ, এবং নিরবচ্ছিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। নিরাপত্তা প্রহরীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বন্যপ্রাণী চুরির ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করা উচিত।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে তিনটি লেমুর চুরির ঘটনা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার গভীর সংকটকে সামনে এনেছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলেও, পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং পুলিশের প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তা জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাফারি পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। নিচু সীমানা প্রাচীর, নিরাপত্তা প্রহরীর অভাব, এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার ঘটনা এই পার্ককে দুর্বৃত্তদের জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি চুরির ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতার প্রতিফলন। সাফারি পার্কে ১৩০০টির বেশি প্রাণী রয়েছে, এবং কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, যে কোনো সময় অন্য প্রাণী চুরির ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতি পার্কের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, লেমুর চুরির ঘটনা বন্যপ্রাণী পাচারের একটি অংশ হতে পারে। এই চুরির পেছনে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে, যারা বিরল প্রাণী চুরি করে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে। সাফারি পার্কের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এই ধরনের অপরাধীদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে। এই ঘটনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি রাখে।

লেমুর চুরির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফারি পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।

গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নিরাপত্তা ঘাটতি চিহ্নিত করে তা পূরণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বৃদ্ধি, টেকসই বেষ্টনী নির্মাণ, এবং নিরবচ্ছিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। নিরাপত্তা প্রহরীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বন্যপ্রাণী চুরির ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করা উচিত।

back to top