রাষ্ট্রের ন্যূনতম দায়িত্ব হলো নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে অন্যতম হলো মানসম্মত চিকিৎসাসেবা; কিন্তু নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র দেখে প্রশ্ন জাগেÑ এই ‘সেবা’ কতটা পাচ্ছে নাগরিকরা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু খাবারের মান নয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিবেশ, শৌচাগার, ওষুধের ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি প্রশাসনিক গাফিলতিও প্রশ্নবিদ্ধ। হাসপাতালের প্রবেশমুখেই যদি আবর্জনার স্তূপ থাকে, ভেতরে যদি কীট-পতঙ্গের সঙ্গে রোগীদের থাকতে হয়, তবে সেটি ‘চিকিৎসা কেন্দ্র’ না হয়ে রোগ বৃদ্ধির কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলোÑ স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। বরং অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারের অনিয়মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা আছে। কাগজে-কলমে অন্যের ঠিকাদারি হলেও মূলত হাসপাতাল প্রশাসনের পেছনের চক্রটাই বাস্তবে নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো প্রক্রিয়া। রোগীদের নীরবতা যেমন দারিদ্র্যজনিত, তেমনি কর্মচারীদের নীরবতা প্রশাসনিক ভয়ের ফল।
এ অনিয়ম, দুর্নীতি আর গাফিলতির জবাবদিহিতা কোথায়? কেন একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নন? কেন একজন ঠিকাদারকে মোবাইলে পাওয়া যায় না?
সিভিল সার্জনের বক্তব্যে প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে এমন আশ্বাস বহুবার শোনা গেছে, কিন্তু ফল হয় না বললেই চলে। তাই এ বিষয়ে দায়সারা তদন্ত নয়, প্রয়োজন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া এ ব্যবস্থার দুর্নীতি বন্ধ হবে না।
আমরা বলতে চাই, ডিমলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র যেন সাময়িক আলোচনার বিষয় না হয়ে পড়ে থাকে, বরং এটি হোক দেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের এক উদাহরণ। কারণ একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন তার প্রান্তিক জনগণের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকাশ পায়। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি যদি দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন থাকে, তবে উন্নয়নের মূল লক্ষ্য ব্যর্থ হয়ে পড়ে।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
রাষ্ট্রের ন্যূনতম দায়িত্ব হলো নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে অন্যতম হলো মানসম্মত চিকিৎসাসেবা; কিন্তু নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র দেখে প্রশ্ন জাগেÑ এই ‘সেবা’ কতটা পাচ্ছে নাগরিকরা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু খাবারের মান নয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিবেশ, শৌচাগার, ওষুধের ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি প্রশাসনিক গাফিলতিও প্রশ্নবিদ্ধ। হাসপাতালের প্রবেশমুখেই যদি আবর্জনার স্তূপ থাকে, ভেতরে যদি কীট-পতঙ্গের সঙ্গে রোগীদের থাকতে হয়, তবে সেটি ‘চিকিৎসা কেন্দ্র’ না হয়ে রোগ বৃদ্ধির কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলোÑ স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। বরং অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারের অনিয়মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা আছে। কাগজে-কলমে অন্যের ঠিকাদারি হলেও মূলত হাসপাতাল প্রশাসনের পেছনের চক্রটাই বাস্তবে নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো প্রক্রিয়া। রোগীদের নীরবতা যেমন দারিদ্র্যজনিত, তেমনি কর্মচারীদের নীরবতা প্রশাসনিক ভয়ের ফল।
এ অনিয়ম, দুর্নীতি আর গাফিলতির জবাবদিহিতা কোথায়? কেন একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নন? কেন একজন ঠিকাদারকে মোবাইলে পাওয়া যায় না?
সিভিল সার্জনের বক্তব্যে প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে এমন আশ্বাস বহুবার শোনা গেছে, কিন্তু ফল হয় না বললেই চলে। তাই এ বিষয়ে দায়সারা তদন্ত নয়, প্রয়োজন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া এ ব্যবস্থার দুর্নীতি বন্ধ হবে না।
আমরা বলতে চাই, ডিমলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র যেন সাময়িক আলোচনার বিষয় না হয়ে পড়ে থাকে, বরং এটি হোক দেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের এক উদাহরণ। কারণ একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন তার প্রান্তিক জনগণের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকাশ পায়। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি যদি দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন থাকে, তবে উন্নয়নের মূল লক্ষ্য ব্যর্থ হয়ে পড়ে।