একদিনের ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা অর্জন করল দেশের মানুষ। প্রথমটি ছিল দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা গেছেন ১০ জন, ছয় শ মানুষ আহত হয়েছেন, শতাধিক ভবনে ফাটল ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এগুলো বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত, অর্থাৎ ‘ফোরশক’। ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকার ৯৫ শতাংশ ভবনই অপরিকল্পিত। বিধিমালা উপেক্ষা করে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ভবন। সরকারি ভবনগুলোর অবস্থাও ভিন্ন নয়। নগরায়ণের ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, সংকীর্ণ রাস্তা, ঘনবসতির শহরে কোনো বড় ভূমিকম্প ঘটলে উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ক্ষতি এড়ানো হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা এখনো সম্ভব।
ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতির মোক্ষম উপায় হলো নিয়মিত মহড়া। মানুষ কী করবে, কী করবে না-এ জ্ঞান না থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বহুগুণ বাড়বে।
ঢাকায় ২১ লাখ ভবনের মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবনগুলোকে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল শ্রেণিতে ভাগ করে ঝুঁকিপূর্ণগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
রানা প্লাজা ধসের পর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও তা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানায়নের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ২০১৫ সালে যে ভূমিকম্প ইন্সটিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা এখনই বাস্তবায়ন করা জরুরি।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পশ্চিমাঞ্চলে স্থানান্তরের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে। বড় ভূমিকম্প হলে ঢাকার ক্ষতি ভয়াবহ হবে। তাই এ ধরনের বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বাড়াতে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন।
পরিবার ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ভূমিকম্প প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে জানতে হবে যে ভূমিকম্পের সময় কোন জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে, ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে, ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি করণীয় কী।
উদ্ধারকেন্দ্রিক পরিকল্পনার চেয়ে প্রতিরোধ ও প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে অনেকের মত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় উদ্ধার পরিকল্পনা যতটা অর্থবহ, তার ১ শতাংশের সমান ব্যয়ে নিয়মিত মহড়া চালানো হলে বাস্তব প্রস্তুতি অনেক বাড়বে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
একদিনের ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা অর্জন করল দেশের মানুষ। প্রথমটি ছিল দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা গেছেন ১০ জন, ছয় শ মানুষ আহত হয়েছেন, শতাধিক ভবনে ফাটল ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এগুলো বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত, অর্থাৎ ‘ফোরশক’। ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকার ৯৫ শতাংশ ভবনই অপরিকল্পিত। বিধিমালা উপেক্ষা করে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ভবন। সরকারি ভবনগুলোর অবস্থাও ভিন্ন নয়। নগরায়ণের ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, সংকীর্ণ রাস্তা, ঘনবসতির শহরে কোনো বড় ভূমিকম্প ঘটলে উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ক্ষতি এড়ানো হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা এখনো সম্ভব।
ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতির মোক্ষম উপায় হলো নিয়মিত মহড়া। মানুষ কী করবে, কী করবে না-এ জ্ঞান না থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বহুগুণ বাড়বে।
ঢাকায় ২১ লাখ ভবনের মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবনগুলোকে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল শ্রেণিতে ভাগ করে ঝুঁকিপূর্ণগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
রানা প্লাজা ধসের পর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও তা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানায়নের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ২০১৫ সালে যে ভূমিকম্প ইন্সটিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা এখনই বাস্তবায়ন করা জরুরি।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পশ্চিমাঞ্চলে স্থানান্তরের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে। বড় ভূমিকম্প হলে ঢাকার ক্ষতি ভয়াবহ হবে। তাই এ ধরনের বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বাড়াতে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন।
পরিবার ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ভূমিকম্প প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে জানতে হবে যে ভূমিকম্পের সময় কোন জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে, ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে, ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি করণীয় কী।
উদ্ধারকেন্দ্রিক পরিকল্পনার চেয়ে প্রতিরোধ ও প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে অনেকের মত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় উদ্ধার পরিকল্পনা যতটা অর্থবহ, তার ১ শতাংশের সমান ব্যয়ে নিয়মিত মহড়া চালানো হলে বাস্তব প্রস্তুতি অনেক বাড়বে।