alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

: শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

একদিনের ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা অর্জন করল দেশের মানুষ। প্রথমটি ছিল দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা গেছেন ১০ জন, ছয় শ মানুষ আহত হয়েছেন, শতাধিক ভবনে ফাটল ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এগুলো বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত, অর্থাৎ ‘ফোরশক’। ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকার ৯৫ শতাংশ ভবনই অপরিকল্পিত। বিধিমালা উপেক্ষা করে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ভবন। সরকারি ভবনগুলোর অবস্থাও ভিন্ন নয়। নগরায়ণের ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, সংকীর্ণ রাস্তা, ঘনবসতির শহরে কোনো বড় ভূমিকম্প ঘটলে উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ক্ষতি এড়ানো হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা এখনো সম্ভব।

ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতির মোক্ষম উপায় হলো নিয়মিত মহড়া। মানুষ কী করবে, কী করবে না-এ জ্ঞান না থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বহুগুণ বাড়বে।

ঢাকায় ২১ লাখ ভবনের মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবনগুলোকে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল শ্রেণিতে ভাগ করে ঝুঁকিপূর্ণগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

রানা প্লাজা ধসের পর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও তা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানায়নের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ২০১৫ সালে যে ভূমিকম্প ইন্সটিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা এখনই বাস্তবায়ন করা জরুরি।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পশ্চিমাঞ্চলে স্থানান্তরের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে। বড় ভূমিকম্প হলে ঢাকার ক্ষতি ভয়াবহ হবে। তাই এ ধরনের বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বাড়াতে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন।

পরিবার ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ভূমিকম্প প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে জানতে হবে যে ভূমিকম্পের সময় কোন জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে, ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে, ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি করণীয় কী।

উদ্ধারকেন্দ্রিক পরিকল্পনার চেয়ে প্রতিরোধ ও প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে অনেকের মত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় উদ্ধার পরিকল্পনা যতটা অর্থবহ, তার ১ শতাংশের সমান ব্যয়ে নিয়মিত মহড়া চালানো হলে বাস্তব প্রস্তুতি অনেক বাড়বে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

একদিনের ব্যবধানে দুই দফা ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা অর্জন করল দেশের মানুষ। প্রথমটি ছিল দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা গেছেন ১০ জন, ছয় শ মানুষ আহত হয়েছেন, শতাধিক ভবনে ফাটল ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এগুলো বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত, অর্থাৎ ‘ফোরশক’। ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকার ৯৫ শতাংশ ভবনই অপরিকল্পিত। বিধিমালা উপেক্ষা করে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ভবন। সরকারি ভবনগুলোর অবস্থাও ভিন্ন নয়। নগরায়ণের ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, সংকীর্ণ রাস্তা, ঘনবসতির শহরে কোনো বড় ভূমিকম্প ঘটলে উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ক্ষতি এড়ানো হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা এখনো সম্ভব।

ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতির মোক্ষম উপায় হলো নিয়মিত মহড়া। মানুষ কী করবে, কী করবে না-এ জ্ঞান না থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বহুগুণ বাড়বে।

ঢাকায় ২১ লাখ ভবনের মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবনগুলোকে সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল শ্রেণিতে ভাগ করে ঝুঁকিপূর্ণগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

রানা প্লাজা ধসের পর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও তা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানায়নের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ২০১৫ সালে যে ভূমিকম্প ইন্সটিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা এখনই বাস্তবায়ন করা জরুরি।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পশ্চিমাঞ্চলে স্থানান্তরের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে। বড় ভূমিকম্প হলে ঢাকার ক্ষতি ভয়াবহ হবে। তাই এ ধরনের বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বাড়াতে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন।

পরিবার ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ভূমিকম্প প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে জানতে হবে যে ভূমিকম্পের সময় কোন জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে, ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে, ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি করণীয় কী।

উদ্ধারকেন্দ্রিক পরিকল্পনার চেয়ে প্রতিরোধ ও প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে অনেকের মত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় উদ্ধার পরিকল্পনা যতটা অর্থবহ, তার ১ শতাংশের সমান ব্যয়ে নিয়মিত মহড়া চালানো হলে বাস্তব প্রস্তুতি অনেক বাড়বে।

back to top