alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

: বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন এক কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশকে। চার বছর ধরে দেশে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এখন দারিদ্র্যেসীমার নিচে। চলতি বছর দারিদ্র্যে ২১ শতাংশ ছাড়াতে পারে।

দেশে দীর্ঘ তিন দশক ধরে দারিদ্র্যে কমছিল। এটাকে অগ্রগতির প্রধান সাফল্য হিসেবেই দেখা হতো। দেশের এই উল্টোপথ চলা উদ্বেগজনক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আয় বাড়েনি। অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও স্থবির মজুরি অনেক পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যারা দারিদ্র্যেসীমার সামান্য ওপরে ছিল, তারাই সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে গেছে।

সমস্যা শুধু কর্মসংস্থান নয়। সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৈষম্য আছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। রাষ্ট্রের সহায়তা দরিদ্রদের সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছায় না। এসব সহায়তা অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলক সচ্ছল পরিবারও পায়। ফলে সামাজিক নিরাপত্তার জাল লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি দারিদ্র্যের চিত্রকে আরও জটিল করে তুলছে। ২০৫০ সালে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষিখাত, যার সঙ্গে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।

দারিদ্র্যে বাড়ার এই উল্টো পথে চলা থামুক সেটাই আমাদের চাওয়া। চাইলে দারিদ্র্যে কমানো সম্ভব। অতীতে সেটা দেখা গেছে। আগামীতেও দারিদ্র্য কমানোর কাজে সফলতা মিলবে সেই প্রত্যাশা করা যায়। তবে সেজন্য প্রয়োজন বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা।

বিশ্বব্যাংক চারটি সমাধান প্রস্তাব করেছে। উৎপাদনমূলক খাতে কর্মসংস্থান তৈরি, শোভন কাজের সুযোগ বাড়ানো, গ্রামের বাজারব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং দক্ষ রাজস্বনীতির কথা বলছে তারা। এসব সুপারিশ নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ভেবে দেখতে পারেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আর কতদিন ক্ষমতায় থাকবে আর তাদের পক্ষে কী করা সম্ভব হবে সেটা একটা প্রশ্ন। গত দেড় বছরে তারা কী করেছে- সেই প্রশ্নও তোলা যেতে পারে। এখন অনেক কিছুই নির্ভর করছে আগামী নির্বাচন ও ভাবী সরকারের ওপর।

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদন এক কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশকে। চার বছর ধরে দেশে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এখন দারিদ্র্যেসীমার নিচে। চলতি বছর দারিদ্র্যে ২১ শতাংশ ছাড়াতে পারে।

দেশে দীর্ঘ তিন দশক ধরে দারিদ্র্যে কমছিল। এটাকে অগ্রগতির প্রধান সাফল্য হিসেবেই দেখা হতো। দেশের এই উল্টোপথ চলা উদ্বেগজনক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের আয় বাড়েনি। অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও স্থবির মজুরি অনেক পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যারা দারিদ্র্যেসীমার সামান্য ওপরে ছিল, তারাই সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে গেছে।

সমস্যা শুধু কর্মসংস্থান নয়। সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৈষম্য আছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। রাষ্ট্রের সহায়তা দরিদ্রদের সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছায় না। এসব সহায়তা অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলক সচ্ছল পরিবারও পায়। ফলে সামাজিক নিরাপত্তার জাল লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি দারিদ্র্যের চিত্রকে আরও জটিল করে তুলছে। ২০৫০ সালে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষিখাত, যার সঙ্গে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।

দারিদ্র্যে বাড়ার এই উল্টো পথে চলা থামুক সেটাই আমাদের চাওয়া। চাইলে দারিদ্র্যে কমানো সম্ভব। অতীতে সেটা দেখা গেছে। আগামীতেও দারিদ্র্য কমানোর কাজে সফলতা মিলবে সেই প্রত্যাশা করা যায়। তবে সেজন্য প্রয়োজন বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা।

বিশ্বব্যাংক চারটি সমাধান প্রস্তাব করেছে। উৎপাদনমূলক খাতে কর্মসংস্থান তৈরি, শোভন কাজের সুযোগ বাড়ানো, গ্রামের বাজারব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং দক্ষ রাজস্বনীতির কথা বলছে তারা। এসব সুপারিশ নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ভেবে দেখতে পারেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আর কতদিন ক্ষমতায় থাকবে আর তাদের পক্ষে কী করা সম্ভব হবে সেটা একটা প্রশ্ন। গত দেড় বছরে তারা কী করেছে- সেই প্রশ্নও তোলা যেতে পারে। এখন অনেক কিছুই নির্ভর করছে আগামী নির্বাচন ও ভাবী সরকারের ওপর।

back to top