শেরপুরে গত মঙ্গলবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, এসব চাল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজন ডিলারকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত ডিলার দীর্ঘদিন ধরে শেখহাটি বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি গ্রাহকদের চাল না দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন গোডাউনে তা অবৈধভাবে মজুত করছিলেন।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম–দুর্নীতি বহুদিনের সমস্যা। দেশের নানা জায়গা থেকে নিয়মিত অভিযোগ ওঠে যে টিসিবির পণ্য বাজারজাত না করে গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়, বেশি দামে বিক্রি করা হয়, অথবা নির্ধারিত ভোক্তা তালিকায় অনিয়ম করা হয়।
তদারকির দুর্বলতার কারণে এমনটা ঘটছে। টিসিবির পণ্য কোথায় যাচ্ছে, কতটুকু বিক্রি হচ্ছে, কতজন গ্রাহক পাচ্ছেন-এসবের কোনো কার্যকর নজরদারি নেই। ফলে ডিলারের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা চলে যায়। টিসিবির পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। ফলে একশ্রেণির ডিলার কম দামে পণ্য নিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ হয়।
স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। টিসিবির কার্ড বা তালিকা তৈরিতে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি ও এলোমেলোতা আছে। অনেকে কার্ড পান না, আবার অনেকের হাতে একাধিক কার্ড যায়। এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে অসাধু ডিলাররা পণ্য গোপনে মজুত বা বিক্রি করতে পারে।
ডিজিটাল তদারকি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। প্রতিটি ট্রাক, প্রতিটি বস্তার উৎস–গন্তব্য এবং ডিলারদের স্টক অনলাইনে ট্র?্যাকিংয়ের আওতায় আনা যেতে পারে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি বিক্রির হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক করলে গোপনে মজুত করা কঠিন হবে।
ডিলার নির্বাচন ও নবায়নে কঠোর হতে হবে। অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকারভোগীর তালিকা স্বচ্ছ করতে হবে।
সাধারণ মানুষের সংকটের সময়ে ন্যায্য দামে পণ্য পৌঁছানোর জন্য যা যা করা দরকর সেটাই করতে হবে। শেরপুরের ঘটনাটি একটি সতর্কবার্তা। আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টিসিবি’র পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হাতে বন্ধ করবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শেরপুরে গত মঙ্গলবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, এসব চাল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজন ডিলারকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত ডিলার দীর্ঘদিন ধরে শেখহাটি বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি গ্রাহকদের চাল না দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন গোডাউনে তা অবৈধভাবে মজুত করছিলেন।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম–দুর্নীতি বহুদিনের সমস্যা। দেশের নানা জায়গা থেকে নিয়মিত অভিযোগ ওঠে যে টিসিবির পণ্য বাজারজাত না করে গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়, বেশি দামে বিক্রি করা হয়, অথবা নির্ধারিত ভোক্তা তালিকায় অনিয়ম করা হয়।
তদারকির দুর্বলতার কারণে এমনটা ঘটছে। টিসিবির পণ্য কোথায় যাচ্ছে, কতটুকু বিক্রি হচ্ছে, কতজন গ্রাহক পাচ্ছেন-এসবের কোনো কার্যকর নজরদারি নেই। ফলে ডিলারের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা চলে যায়। টিসিবির পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। ফলে একশ্রেণির ডিলার কম দামে পণ্য নিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ হয়।
স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। টিসিবির কার্ড বা তালিকা তৈরিতে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি ও এলোমেলোতা আছে। অনেকে কার্ড পান না, আবার অনেকের হাতে একাধিক কার্ড যায়। এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে অসাধু ডিলাররা পণ্য গোপনে মজুত বা বিক্রি করতে পারে।
ডিজিটাল তদারকি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। প্রতিটি ট্রাক, প্রতিটি বস্তার উৎস–গন্তব্য এবং ডিলারদের স্টক অনলাইনে ট্র?্যাকিংয়ের আওতায় আনা যেতে পারে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি বিক্রির হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক করলে গোপনে মজুত করা কঠিন হবে।
ডিলার নির্বাচন ও নবায়নে কঠোর হতে হবে। অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকারভোগীর তালিকা স্বচ্ছ করতে হবে।
সাধারণ মানুষের সংকটের সময়ে ন্যায্য দামে পণ্য পৌঁছানোর জন্য যা যা করা দরকর সেটাই করতে হবে। শেরপুরের ঘটনাটি একটি সতর্কবার্তা। আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টিসিবি’র পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হাতে বন্ধ করবে।