alt

মতামত » সম্পাদকীয়

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

: বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরে গত মঙ্গলবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, এসব চাল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজন ডিলারকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত ডিলার দীর্ঘদিন ধরে শেখহাটি বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি গ্রাহকদের চাল না দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন গোডাউনে তা অবৈধভাবে মজুত করছিলেন।

এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম–দুর্নীতি বহুদিনের সমস্যা। দেশের নানা জায়গা থেকে নিয়মিত অভিযোগ ওঠে যে টিসিবির পণ্য বাজারজাত না করে গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়, বেশি দামে বিক্রি করা হয়, অথবা নির্ধারিত ভোক্তা তালিকায় অনিয়ম করা হয়।

তদারকির দুর্বলতার কারণে এমনটা ঘটছে। টিসিবির পণ্য কোথায় যাচ্ছে, কতটুকু বিক্রি হচ্ছে, কতজন গ্রাহক পাচ্ছেন-এসবের কোনো কার্যকর নজরদারি নেই। ফলে ডিলারের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা চলে যায়। টিসিবির পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। ফলে একশ্রেণির ডিলার কম দামে পণ্য নিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ হয়।

স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। টিসিবির কার্ড বা তালিকা তৈরিতে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি ও এলোমেলোতা আছে। অনেকে কার্ড পান না, আবার অনেকের হাতে একাধিক কার্ড যায়। এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে অসাধু ডিলাররা পণ্য গোপনে মজুত বা বিক্রি করতে পারে।

ডিজিটাল তদারকি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। প্রতিটি ট্রাক, প্রতিটি বস্তার উৎস–গন্তব্য এবং ডিলারদের স্টক অনলাইনে ট্র?্যাকিংয়ের আওতায় আনা যেতে পারে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি বিক্রির হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক করলে গোপনে মজুত করা কঠিন হবে।

ডিলার নির্বাচন ও নবায়নে কঠোর হতে হবে। অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকারভোগীর তালিকা স্বচ্ছ করতে হবে।

সাধারণ মানুষের সংকটের সময়ে ন্যায্য দামে পণ্য পৌঁছানোর জন্য যা যা করা দরকর সেটাই করতে হবে। শেরপুরের ঘটনাটি একটি সতর্কবার্তা। আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টিসিবি’র পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হাতে বন্ধ করবে।

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুরে গত মঙ্গলবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, এসব চাল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজন ডিলারকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত ডিলার দীর্ঘদিন ধরে শেখহাটি বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি গ্রাহকদের চাল না দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন গোডাউনে তা অবৈধভাবে মজুত করছিলেন।

এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম–দুর্নীতি বহুদিনের সমস্যা। দেশের নানা জায়গা থেকে নিয়মিত অভিযোগ ওঠে যে টিসিবির পণ্য বাজারজাত না করে গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়, বেশি দামে বিক্রি করা হয়, অথবা নির্ধারিত ভোক্তা তালিকায় অনিয়ম করা হয়।

তদারকির দুর্বলতার কারণে এমনটা ঘটছে। টিসিবির পণ্য কোথায় যাচ্ছে, কতটুকু বিক্রি হচ্ছে, কতজন গ্রাহক পাচ্ছেন-এসবের কোনো কার্যকর নজরদারি নেই। ফলে ডিলারের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা চলে যায়। টিসিবির পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। ফলে একশ্রেণির ডিলার কম দামে পণ্য নিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ হয়।

স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। টিসিবির কার্ড বা তালিকা তৈরিতে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি ও এলোমেলোতা আছে। অনেকে কার্ড পান না, আবার অনেকের হাতে একাধিক কার্ড যায়। এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে অসাধু ডিলাররা পণ্য গোপনে মজুত বা বিক্রি করতে পারে।

ডিজিটাল তদারকি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। প্রতিটি ট্রাক, প্রতিটি বস্তার উৎস–গন্তব্য এবং ডিলারদের স্টক অনলাইনে ট্র?্যাকিংয়ের আওতায় আনা যেতে পারে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি বিক্রির হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক করলে গোপনে মজুত করা কঠিন হবে।

ডিলার নির্বাচন ও নবায়নে কঠোর হতে হবে। অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকারভোগীর তালিকা স্বচ্ছ করতে হবে।

সাধারণ মানুষের সংকটের সময়ে ন্যায্য দামে পণ্য পৌঁছানোর জন্য যা যা করা দরকর সেটাই করতে হবে। শেরপুরের ঘটনাটি একটি সতর্কবার্তা। আমরা আশা করতে চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টিসিবি’র পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হাতে বন্ধ করবে।

back to top