পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর সাইনবোর্ড সংরক্ষিত বন বর্তমানে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে, সেখানকার সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সেখানে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করে তরমুজ খেত তৈরির কাজ চলছে। এরিমধ্যে বনের ঝাউ, কেওড়া, গেওড়া ও বাইনগাছসহ শতাধিক গাছ ধ্বংস হয়েছে। এ নিয়ে গতকিাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ থামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা চেষ্টা করলেও রাতের আঁধারে আবারও মেশিন নিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এই দখলের সঙ্গে জড়িত।
নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে সংরক্ষিত বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপন্ন হচ্ছে। এর প্রভব পড়ছে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সেখানকার পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
নদ-নদীর তীরভূমি ও সংরক্ষিত বনভূমির মাটি কেটে বাঁধ বা খেত তৈরি করা যায় কিনা সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। পরিবেশবিরোধী এ ধরনের কর্মকা- অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এটা না করলে বন, জলবায়ু ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। নির্বিচারে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। সংরক্ষিত বন রক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে রাঙ্গাবালীর উপকূলীয় পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ঠেকানো কটিন হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর সাইনবোর্ড সংরক্ষিত বন বর্তমানে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে, সেখানকার সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সেখানে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করে তরমুজ খেত তৈরির কাজ চলছে। এরিমধ্যে বনের ঝাউ, কেওড়া, গেওড়া ও বাইনগাছসহ শতাধিক গাছ ধ্বংস হয়েছে। এ নিয়ে গতকিাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ থামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা চেষ্টা করলেও রাতের আঁধারে আবারও মেশিন নিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এই দখলের সঙ্গে জড়িত।
নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে সংরক্ষিত বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপন্ন হচ্ছে। এর প্রভব পড়ছে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সেখানকার পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
নদ-নদীর তীরভূমি ও সংরক্ষিত বনভূমির মাটি কেটে বাঁধ বা খেত তৈরি করা যায় কিনা সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। পরিবেশবিরোধী এ ধরনের কর্মকা- অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এটা না করলে বন, জলবায়ু ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। নির্বিচারে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। সংরক্ষিত বন রক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে রাঙ্গাবালীর উপকূলীয় পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ঠেকানো কটিন হবে।