alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর সাইনবোর্ড সংরক্ষিত বন বর্তমানে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে, সেখানকার সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সেখানে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করে তরমুজ খেত তৈরির কাজ চলছে। এরিমধ্যে বনের ঝাউ, কেওড়া, গেওড়া ও বাইনগাছসহ শতাধিক গাছ ধ্বংস হয়েছে। এ নিয়ে গতকিাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ থামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা চেষ্টা করলেও রাতের আঁধারে আবারও মেশিন নিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এই দখলের সঙ্গে জড়িত।

নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে সংরক্ষিত বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপন্ন হচ্ছে। এর প্রভব পড়ছে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সেখানকার পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

নদ-নদীর তীরভূমি ও সংরক্ষিত বনভূমির মাটি কেটে বাঁধ বা খেত তৈরি করা যায় কিনা সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। পরিবেশবিরোধী এ ধরনের কর্মকা- অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এটা না করলে বন, জলবায়ু ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। নির্বিচারে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। সংরক্ষিত বন রক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে রাঙ্গাবালীর উপকূলীয় পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ঠেকানো কটিন হবে।

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর সাইনবোর্ড সংরক্ষিত বন বর্তমানে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠছে, সেখানকার সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সেখানে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করে তরমুজ খেত তৈরির কাজ চলছে। এরিমধ্যে বনের ঝাউ, কেওড়া, গেওড়া ও বাইনগাছসহ শতাধিক গাছ ধ্বংস হয়েছে। এ নিয়ে গতকিাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ থামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা চেষ্টা করলেও রাতের আঁধারে আবারও মেশিন নিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এই দখলের সঙ্গে জড়িত।

নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে সংরক্ষিত বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপন্ন হচ্ছে। এর প্রভব পড়ছে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সেখানকার পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

নদ-নদীর তীরভূমি ও সংরক্ষিত বনভূমির মাটি কেটে বাঁধ বা খেত তৈরি করা যায় কিনা সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। পরিবেশবিরোধী এ ধরনের কর্মকা- অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এটা না করলে বন, জলবায়ু ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। নির্বিচারে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। সংরক্ষিত বন রক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে রাঙ্গাবালীর উপকূলীয় পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ঠেকানো কটিন হবে।

back to top