নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক খামারির দেড় হাজারেরও বেশি মুরগি মারা গেছে রানীক্ষেত রোগে। মৃত মুরগির ময়নাতদন্ত শেষে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকতা জানিয়েছেন, রানীক্ষেত রোগের দ্বিতীয় ডোজ টিকা না দেয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগের মধ্যে মুরগির রানীক্ষেত রোগটি সবচেয়ে মারাত্মক। এ রোগে আক্রান্ত প্রায় সব মুরগিই মারা যায়। আর মুরগির ছানা মারা যাওয়ার হার শতভাগ। সাধারণত সংক্রামিত বা আক্রান্ত মুরগি থেকেই এটি ছড়িয়ে পড়ে। আর একবার যদি কোন খামারে এর সংক্রমণ ঘটে তাহলে সেখান থেকে পুরো এলাকায় এর বিস্তার লাভ করতে সময় লাগে মাত্র ২-৬ দিন। এ রোগে একবার আক্রান্ত মুরগির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই রোগ প্রতিরোধের জন্য সুস্থ মুরগিকে ভ্যাকসিন দিতে হয়।
নাটোরের একটি খামারে একদিনে দেড় হাজার মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনায় বোঝা যায় রানীক্ষেত রোগ কতটা ভয়াবহ হতে পারে। রোগ ভয়াবহ হলেও এটা প্রতিরোধযোগ্য। এর টিকা দেশে সহজলভ্য, খামারিরা ব্যবহারও করছেন। শুধু নিয়ম মেনে দুই ডোজ টিকা না দেয়ার কারণে এত মুরগি মারা গেল।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, উক্ত খামারি বাজারের ফিড ব্যবসায়ীদের পরামর্শে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে খামার পরিচালনা করতেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বাজারের ব্যবসায়ীরা খামারিদের প্রভাবিত করার সুযোগ পায় কীভাবে। উপজেলাগুলোতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা আছেন কিসের জন্য? মুরগির কখন কী রোগ হতে পারে, নিয়ম মেনে টিকা দেয়া কতটা জরুরি এগুলো খামারিকে জানানোই তো তাদের কাজ। খামারিদের মধ্যে যদি কোন ভ্রান্ত ধারণা থাকে তাহলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা খামারে খামারে গিয়ে সেই ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটাবেন।
বাজারের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে একজন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন- এ কথা সত্য হলে বুঝে নিতে হবে যে, অন্য খামারিরাও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে খামার পরিচালনা করছে। ভ্রান্ত ধারণা দূর করা না গেলে কী বিপদ ঘটতে পারে সেটা নাটোরে দেখা গেছে। রানীক্ষেত রোগে মুরগির মারা যাওয়ায় এক খামারিরই প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি ঋণ করে খামার করেছেন। এখন কীভাবে পরিশোধ করবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত এ খামারিকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।
দেশের আর কোন মুরগির খামারে যেন রানীক্ষেত রোগের প্রাদুর্ভাব না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক হতে হবে। মুরগির দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা জরুরি। খামারিদের মধ্যে কোন ভ্রান্ত ধারণা থাকলে তা দূর করতে হবে, তাদের সচেতন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই ২০২১
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক খামারির দেড় হাজারেরও বেশি মুরগি মারা গেছে রানীক্ষেত রোগে। মৃত মুরগির ময়নাতদন্ত শেষে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকতা জানিয়েছেন, রানীক্ষেত রোগের দ্বিতীয় ডোজ টিকা না দেয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগের মধ্যে মুরগির রানীক্ষেত রোগটি সবচেয়ে মারাত্মক। এ রোগে আক্রান্ত প্রায় সব মুরগিই মারা যায়। আর মুরগির ছানা মারা যাওয়ার হার শতভাগ। সাধারণত সংক্রামিত বা আক্রান্ত মুরগি থেকেই এটি ছড়িয়ে পড়ে। আর একবার যদি কোন খামারে এর সংক্রমণ ঘটে তাহলে সেখান থেকে পুরো এলাকায় এর বিস্তার লাভ করতে সময় লাগে মাত্র ২-৬ দিন। এ রোগে একবার আক্রান্ত মুরগির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই রোগ প্রতিরোধের জন্য সুস্থ মুরগিকে ভ্যাকসিন দিতে হয়।
নাটোরের একটি খামারে একদিনে দেড় হাজার মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনায় বোঝা যায় রানীক্ষেত রোগ কতটা ভয়াবহ হতে পারে। রোগ ভয়াবহ হলেও এটা প্রতিরোধযোগ্য। এর টিকা দেশে সহজলভ্য, খামারিরা ব্যবহারও করছেন। শুধু নিয়ম মেনে দুই ডোজ টিকা না দেয়ার কারণে এত মুরগি মারা গেল।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, উক্ত খামারি বাজারের ফিড ব্যবসায়ীদের পরামর্শে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে খামার পরিচালনা করতেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বাজারের ব্যবসায়ীরা খামারিদের প্রভাবিত করার সুযোগ পায় কীভাবে। উপজেলাগুলোতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা আছেন কিসের জন্য? মুরগির কখন কী রোগ হতে পারে, নিয়ম মেনে টিকা দেয়া কতটা জরুরি এগুলো খামারিকে জানানোই তো তাদের কাজ। খামারিদের মধ্যে যদি কোন ভ্রান্ত ধারণা থাকে তাহলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা খামারে খামারে গিয়ে সেই ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটাবেন।
বাজারের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে একজন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন- এ কথা সত্য হলে বুঝে নিতে হবে যে, অন্য খামারিরাও ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে খামার পরিচালনা করছে। ভ্রান্ত ধারণা দূর করা না গেলে কী বিপদ ঘটতে পারে সেটা নাটোরে দেখা গেছে। রানীক্ষেত রোগে মুরগির মারা যাওয়ায় এক খামারিরই প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি ঋণ করে খামার করেছেন। এখন কীভাবে পরিশোধ করবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত এ খামারিকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।
দেশের আর কোন মুরগির খামারে যেন রানীক্ষেত রোগের প্রাদুর্ভাব না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক হতে হবে। মুরগির দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা জরুরি। খামারিদের মধ্যে কোন ভ্রান্ত ধারণা থাকলে তা দূর করতে হবে, তাদের সচেতন করতে হবে।