alt

সম্পাদকীয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ প্রসঙ্গে

: রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই পড়ালেখা শেখানো ছাড়াও আরও অনেক কিছুই করার আছে। শিক্ষার্থীর সামগ্রিক শারীরিক-মানসিক বিকাশের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে বিদ্যালয়। সেখানে শিশুরা আনন্দচিত্তে আগামীর পাঠ নেবে, ছুটে বেড়াবে খেলার মাঠে- এমনটাই কাম্য। কিন্তু দেশের অনেক শিশুই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশের সাড়ে ১০ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন খেলার মাঠ নেই বলে জানা গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ‘অ্যানুয়াল প্রাইমারি স্কুল সেন্সাস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন খেলার মাঠ। ৫৪ হাজার ৮২৬টি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ রয়েছে।

বিদ্যালয় আর মাঠ একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে পারে না। মাঠ যে কেবল শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কাজেই লাগে তা নয়। বিদ্যালয়ের অনেক কার্যক্রমেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নিয়মিত সমাবেশ আয়োজন করা, শারীরিক শিক্ষাদান, দিবসকেন্দ্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন প্রভৃতি কাজেও মাঠের প্রয়োজন পড়ে।

যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠ নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় অনেক কার্যাক্রমে সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারছে না। এতে করে তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। তাদের সামাজিকীকরণেও এর ভূমিকা রয়েছে। সরকারও খেলার মাঠের প্রয়োজন স্বীকার করে।

প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের হাজারো সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খেলার মাঠ ছাড়া চলছে কীভাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই বঞ্চনার অবসান চাই। বিদ্যালয় তৈরি করার সময়ই খেলার মাঠ গড়ে তোলা জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ না থাকার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে। যেখানে মাঠ তৈরি করা সম্ভব সেখানে দ্রুত তা তৈরি করতে হবে। স্কুলসংলগ্ন এলাকায় কোন কারণে মাঠ তৈরি করা না গেলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ প্রসঙ্গে

রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই পড়ালেখা শেখানো ছাড়াও আরও অনেক কিছুই করার আছে। শিক্ষার্থীর সামগ্রিক শারীরিক-মানসিক বিকাশের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে বিদ্যালয়। সেখানে শিশুরা আনন্দচিত্তে আগামীর পাঠ নেবে, ছুটে বেড়াবে খেলার মাঠে- এমনটাই কাম্য। কিন্তু দেশের অনেক শিশুই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশের সাড়ে ১০ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন খেলার মাঠ নেই বলে জানা গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ‘অ্যানুয়াল প্রাইমারি স্কুল সেন্সাস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন খেলার মাঠ। ৫৪ হাজার ৮২৬টি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ রয়েছে।

বিদ্যালয় আর মাঠ একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে পারে না। মাঠ যে কেবল শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কাজেই লাগে তা নয়। বিদ্যালয়ের অনেক কার্যক্রমেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নিয়মিত সমাবেশ আয়োজন করা, শারীরিক শিক্ষাদান, দিবসকেন্দ্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন প্রভৃতি কাজেও মাঠের প্রয়োজন পড়ে।

যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠ নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় অনেক কার্যাক্রমে সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারছে না। এতে করে তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। তাদের সামাজিকীকরণেও এর ভূমিকা রয়েছে। সরকারও খেলার মাঠের প্রয়োজন স্বীকার করে।

প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের হাজারো সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খেলার মাঠ ছাড়া চলছে কীভাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই বঞ্চনার অবসান চাই। বিদ্যালয় তৈরি করার সময়ই খেলার মাঠ গড়ে তোলা জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ না থাকার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে। যেখানে মাঠ তৈরি করা সম্ভব সেখানে দ্রুত তা তৈরি করতে হবে। স্কুলসংলগ্ন এলাকায় কোন কারণে মাঠ তৈরি করা না গেলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

back to top