দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৭ বছরে ৯৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১২০ মিলিয়ন ডলার। দেশে কর্মরত ৪৫টি এনজিও’র নেটওয়ার্ক ‘স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের’ (এসএফবি) ৩টি সমীক্ষায় এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাত্রই মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে। আর এই ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বহুমাত্রিক। কোন দুর্যোগের ফলে মানুষ যে শুধু বাস্তুচ্যুত হয় তা নয়, ঘর হারানো ছাড়াও তাদের একেকটি দুর্যোগে আরও অনেক কিছু হারাতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
বিবিএস জরিপ বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জমি, শস্য, প্রাণিসম্পদ, পোলট্রি ও মৎস্য খাত ও কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে দুর্যোগে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে ক্ষতি ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। পরের ৬ বছরে তা ১০ গুণে বেড়েছে।
বাংলাদেশ হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। সমস্যা হচ্ছে এখানে ভৌগোলিক অবস্থার কারণে প্রায়ই একাধিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষ দুর্যোগের সম্মুখীন হয় বেশিমাত্রায়। বন্যা, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। ভূমিকম্পের মতো ভয়বহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার ঝুঁকিতেও আছে বাংলাদেশ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে এবং এক্ষেত্রে অনেক সাফল্যও আছে। বন্যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও অনেক কিছুর ঘাটতিও রয়েছে। ঘাটতিগুলো পূরণ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাহাড় কাটা বন্ধ, নদী ভাঙন প্রতিরোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ প্রভৃতির মাধমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগে যথাযথ উদ্ধার তৎপরতা ও দুর্যোগপরবর্তী কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে আনা যায়। এর জন্য সম্ভাব্য দুর্যোগের ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে, দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে হবে, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে, দুর্যোগকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
রোববার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৭ বছরে ৯৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১২০ মিলিয়ন ডলার। দেশে কর্মরত ৪৫টি এনজিও’র নেটওয়ার্ক ‘স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের’ (এসএফবি) ৩টি সমীক্ষায় এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাত্রই মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে। আর এই ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বহুমাত্রিক। কোন দুর্যোগের ফলে মানুষ যে শুধু বাস্তুচ্যুত হয় তা নয়, ঘর হারানো ছাড়াও তাদের একেকটি দুর্যোগে আরও অনেক কিছু হারাতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
বিবিএস জরিপ বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জমি, শস্য, প্রাণিসম্পদ, পোলট্রি ও মৎস্য খাত ও কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে দুর্যোগে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে ক্ষতি ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। পরের ৬ বছরে তা ১০ গুণে বেড়েছে।
বাংলাদেশ হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। সমস্যা হচ্ছে এখানে ভৌগোলিক অবস্থার কারণে প্রায়ই একাধিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষ দুর্যোগের সম্মুখীন হয় বেশিমাত্রায়। বন্যা, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। ভূমিকম্পের মতো ভয়বহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার ঝুঁকিতেও আছে বাংলাদেশ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে এবং এক্ষেত্রে অনেক সাফল্যও আছে। বন্যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও অনেক কিছুর ঘাটতিও রয়েছে। ঘাটতিগুলো পূরণ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাহাড় কাটা বন্ধ, নদী ভাঙন প্রতিরোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ প্রভৃতির মাধমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগে যথাযথ উদ্ধার তৎপরতা ও দুর্যোগপরবর্তী কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে আনা যায়। এর জন্য সম্ভাব্য দুর্যোগের ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে, দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে হবে, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে, দুর্যোগকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।