alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সিরাজগঞ্জের ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করুন

: বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

দুর্ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার। আড়াই বছর আগে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কবে চালু হবে তা কারো জানা নেই। ফলে অযত্ন-অবহেলায় ভবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেখভালের অভাবে ট্রান্সফরমারসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রমা সেন্টার চালুর দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়িতে ২০২১ সালে ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার নির্মিত হয়। আড়াই বছর পেরোলেও এটি চালু হয়নি। দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেয়ার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হলেও এটি নির্মাণ অনেকটা অর্থহীন হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছে, দুর্ঘটনায় আহতদের সেবায় আধুনিকমানের অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। ডাক্তর, নার্স ও স্টাফদের জন্য ডরমিটরি বিল্ডিংও নির্মাণ শেষ। স্থাপনাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে হস্তান্তরও করা হয়েছে। শুধু জনবল ও প্রয়োজনীয় মেডিসিন পেলেই প্রতিষ্ঠানটি চালু করা যাবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সব থেমে গেছে। ট্রমা সেন্টারটি চালুর দিনক্ষণ অনিশ্চিত।

স্বাস্থ্য বিভাগকে ভবন বুঝিয়ে দেয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেটি চালু হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ তুলেছে, সেটি আমলে নিতে হবে। চাহিদাপত্র অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রমা সেন্টারটি চালুর ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে, তা দূর করতে হবে। মানুষকে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এটি নির্মিত হয়েছে। তাই মানুষ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নামে নির্মিত ট্রমা সেন্টার চালু নিয়ে যদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় টেবিলে টেবিলে ফাইল চালাচালির খেলা চলে, তাহলে অন্য ক্ষেত্রের সার্বিক অব্যবস্থা কী রকম- সেটাও একটা ভাবনার বিষয়।

ট্রমা সেন্টারটির ভবন-অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। যন্ত্রপাতিও চুরি হয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চুরি হয় কিভাবে। সেটির দেখভালের কি কেউ নেই। থাকলে তারা কী করে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত ট্রমা সেন্টারের যন্ত্রপাতি কিভাবে চুরি হলো- সেটি জানার অধিকার জনগণের আছে। এই চুরির সঙ্গে কারা জড়িত; তা তদন্ত করে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। যারা জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সিরাজগঞ্জের ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করুন

বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

দুর্ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার। আড়াই বছর আগে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কবে চালু হবে তা কারো জানা নেই। ফলে অযত্ন-অবহেলায় ভবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেখভালের অভাবে ট্রান্সফরমারসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রমা সেন্টার চালুর দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়িতে ২০২১ সালে ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার নির্মিত হয়। আড়াই বছর পেরোলেও এটি চালু হয়নি। দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেয়ার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হলেও এটি নির্মাণ অনেকটা অর্থহীন হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছে, দুর্ঘটনায় আহতদের সেবায় আধুনিকমানের অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। ডাক্তর, নার্স ও স্টাফদের জন্য ডরমিটরি বিল্ডিংও নির্মাণ শেষ। স্থাপনাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে হস্তান্তরও করা হয়েছে। শুধু জনবল ও প্রয়োজনীয় মেডিসিন পেলেই প্রতিষ্ঠানটি চালু করা যাবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সব থেমে গেছে। ট্রমা সেন্টারটি চালুর দিনক্ষণ অনিশ্চিত।

স্বাস্থ্য বিভাগকে ভবন বুঝিয়ে দেয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেটি চালু হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ তুলেছে, সেটি আমলে নিতে হবে। চাহিদাপত্র অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রমা সেন্টারটি চালুর ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে, তা দূর করতে হবে। মানুষকে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এটি নির্মিত হয়েছে। তাই মানুষ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নামে নির্মিত ট্রমা সেন্টার চালু নিয়ে যদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় টেবিলে টেবিলে ফাইল চালাচালির খেলা চলে, তাহলে অন্য ক্ষেত্রের সার্বিক অব্যবস্থা কী রকম- সেটাও একটা ভাবনার বিষয়।

ট্রমা সেন্টারটির ভবন-অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। যন্ত্রপাতিও চুরি হয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চুরি হয় কিভাবে। সেটির দেখভালের কি কেউ নেই। থাকলে তারা কী করে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত ট্রমা সেন্টারের যন্ত্রপাতি কিভাবে চুরি হলো- সেটি জানার অধিকার জনগণের আছে। এই চুরির সঙ্গে কারা জড়িত; তা তদন্ত করে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। যারা জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top