alt

চিঠিপত্র

চিঠি : স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ঝরে পড়া

: শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন একটি স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। স্মার্ট শিক্ষার অন্যতম শর্ত হলো ‘গুণগত শিক্ষা’। স্মার্ট শিক্ষাই পারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটালাইজেশন অর্থাৎ চতুর্থ প্রজন্মের শিক্ষা। এছাড়া স্মার্ট শিক্ষার ভেতর রয়েছে শতভাগ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার বিষয়। আর গুণগত শিক্ষার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন ঝরেপড়া রোধ করা।

কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং সচেতনতার অভাবে শিক্ষাস্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ে। দেশে প্রাথমিক, এসএসসি এবং এইচএসসি পাস শেষে বহু শিক্ষার্থী ঝরে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে কোনো শ্রমমূলক কাজে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। শিক্ষায় টেকসই অর্জনের লক্ষ্যে এটি একটি প্রথম শ্রেণীর বাধা। শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার উদ্দেশ্য হলো কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করে তোলা। শিক্ষার এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এসব বহুবিধ উদ্দেশ্যের মধ্য অন্যতম হলো শিক্ষায় টেকসই উন্নয়ন সাধন বা মানসম্মত শিক্ষা প্রণয়ন করা। যেখানে শিক্ষার্থীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পরা হ্রাস করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘদিনের পদক্ষেপ।

ঝরেপড়া আমাদের দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা ক্রমহ্রাস করার চেষ্টাও দীর্ঘদিনের। কেন শিক্ষার্থী ঝরেপড়ে বা কেন হঠাৎ বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দেয় তার বেশকিছু কারণ রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে দারিদ্র্র্যতা। দারিদ্র্যতা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যার দূর হওয়ার কথা। মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যতার সঙ্গে আরও একটি সমস্যা হলো বাল্যবিবাহ।

আমাদের লক্ষ্য এসডিজি অর্জন করা। আর এসডিজি অর্জনের জন্য মানসম্মত শিক্ষা অপরিহার্য। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না করতে পারলে ঝরেপড়ার হারও কমিয়ে আনা সম্ভবপর হবে না। অন্যসব কারণের সঙ্গে আনন্দহীন শিক্ষা ব্যবস্থাও ঝরেপড়ার ক্ষেত্রে খানিকটা দায়ী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক বা মানসিক আঘাত করা নিষিদ্ধ করা হলেও আজও পত্রপত্রিকায় শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।

এটা শিক্ষকের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার প্রতিই বিরূপ ধারণা শিক্ষার্থীর মনে জন্ম দেয়। ফলে সামান্য কারণেই যখন তাকে আর স্কুলে যেতে হয় না সে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এজন্য প্রয়োজন আনন্দপূর্ণ পাঠদান। প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। এটি একটি বড় সাফল্য। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতাও নিশ্চিত হয়েছে কিন্তু এদের ধরে রাখতে হবে এবং উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এই শিক্ষা হবে মানসম্মত শিক্ষা। মানসম্মত শিক্ষাই পারে টেকসই উন্নয়নের গতি বেগবান করতে।

অলোক আচার্য

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

চিঠি : ফুটওভার ব্রিজ হকার এবং ভিক্ষুকমুক্ত করুন

চিঠি : কমিটিবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়

চিঠি : ক্যাম্পাস হোক সংস্কৃতি চর্চার সূতিকাগার

চিঠি : শিশুকে অনলাইন আসক্তি থেকে নিরাপদ রাখুন

চিঠি : বন্যা মোকাবিলায় করণীয়

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ঝরে পড়া

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন একটি স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। স্মার্ট শিক্ষার অন্যতম শর্ত হলো ‘গুণগত শিক্ষা’। স্মার্ট শিক্ষাই পারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটালাইজেশন অর্থাৎ চতুর্থ প্রজন্মের শিক্ষা। এছাড়া স্মার্ট শিক্ষার ভেতর রয়েছে শতভাগ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার বিষয়। আর গুণগত শিক্ষার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন ঝরেপড়া রোধ করা।

কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং সচেতনতার অভাবে শিক্ষাস্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ে। দেশে প্রাথমিক, এসএসসি এবং এইচএসসি পাস শেষে বহু শিক্ষার্থী ঝরে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে কোনো শ্রমমূলক কাজে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। শিক্ষায় টেকসই অর্জনের লক্ষ্যে এটি একটি প্রথম শ্রেণীর বাধা। শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার উদ্দেশ্য হলো কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করে তোলা। শিক্ষার এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এসব বহুবিধ উদ্দেশ্যের মধ্য অন্যতম হলো শিক্ষায় টেকসই উন্নয়ন সাধন বা মানসম্মত শিক্ষা প্রণয়ন করা। যেখানে শিক্ষার্থীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পরা হ্রাস করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘদিনের পদক্ষেপ।

ঝরেপড়া আমাদের দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা ক্রমহ্রাস করার চেষ্টাও দীর্ঘদিনের। কেন শিক্ষার্থী ঝরেপড়ে বা কেন হঠাৎ বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দেয় তার বেশকিছু কারণ রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে দারিদ্র্র্যতা। দারিদ্র্যতা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যার দূর হওয়ার কথা। মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যতার সঙ্গে আরও একটি সমস্যা হলো বাল্যবিবাহ।

আমাদের লক্ষ্য এসডিজি অর্জন করা। আর এসডিজি অর্জনের জন্য মানসম্মত শিক্ষা অপরিহার্য। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না করতে পারলে ঝরেপড়ার হারও কমিয়ে আনা সম্ভবপর হবে না। অন্যসব কারণের সঙ্গে আনন্দহীন শিক্ষা ব্যবস্থাও ঝরেপড়ার ক্ষেত্রে খানিকটা দায়ী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক বা মানসিক আঘাত করা নিষিদ্ধ করা হলেও আজও পত্রপত্রিকায় শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।

এটা শিক্ষকের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার প্রতিই বিরূপ ধারণা শিক্ষার্থীর মনে জন্ম দেয়। ফলে সামান্য কারণেই যখন তাকে আর স্কুলে যেতে হয় না সে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এজন্য প্রয়োজন আনন্দপূর্ণ পাঠদান। প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। এটি একটি বড় সাফল্য। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতাও নিশ্চিত হয়েছে কিন্তু এদের ধরে রাখতে হবে এবং উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এই শিক্ষা হবে মানসম্মত শিক্ষা। মানসম্মত শিক্ষাই পারে টেকসই উন্নয়নের গতি বেগবান করতে।

অলোক আচার্য

back to top