alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : কমিটিবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়

: রোববার, ১৩ আগস্ট ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

চরবড়বিলা ফকির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আমাদের গ্রামের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠেছে, তাদের কাছে এই গ্রামের মানুষ চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। স্কুলটির বাহ্যিক সৌন্দর্য, চারপাশের পরিবেশ সবকিছু আপনাকে মুগ্ধ করবে।

কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই বিদ্যালয়টির সফলতা আশানুরূপ নয়। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগত যে অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন; সেটিও এই বিদ্যালয়ে তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফলাফল কিংবা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানসিক বিকাশ-দুটোই অবনতির দিকে। একটি স্কুলের শিক্ষকরা পড়াশোনার পাশাপাশি- চারিত্রিক, মানসিক বিকাশ, নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আর শিক্ষকরা এই বিষয়গুলো ঠিকটাক করছে কিনা তা দেখাশোনা করে স্কুল কমিটি।

এই স্কুলে কোন স্কুল কমিটিও নেই। অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠনের ওপর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। যেখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং অ্যাডহক কমিটির গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য, দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছ। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও শিক্ষকদের দায়িত পালনের ওপর প্রতি বৎসর মে, আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসারের কাছে নির্ধারিত ছকে কমিটির সদস্য সচিব ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে প্রতিবেদন প্রেরণ করার কথা।

কিন্তু যেখানে কমিটিই নেই, সেখানে এসব বিষয় তদারকি করবে কে? গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনাতেই কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। তিনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্যই কমিটি দিতে চান না।

শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে শিক্ষা লাভ করে, পরবর্তী জীবনে সেই শিক্ষার প্রভাব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ওপর পড়ে। এজন্য বলা হয় প্রথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। আর শিক্ষার এই মূল ভিত্তির এই করুণ অবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আকুল আবেদন চরবড়বিলা ফকির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কমিটি গঠনের ব্যবস্থা ও স্কুলটির সার্বিক তদারকির বিষয়টির ওপর নজর দেয়া হোক। যার মাধ্যমে স্কুলটিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

ইমরান হোসাইন

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : কমিটিবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৩ আগস্ট ২০২৩

চরবড়বিলা ফকির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আমাদের গ্রামের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠেছে, তাদের কাছে এই গ্রামের মানুষ চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। স্কুলটির বাহ্যিক সৌন্দর্য, চারপাশের পরিবেশ সবকিছু আপনাকে মুগ্ধ করবে।

কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই বিদ্যালয়টির সফলতা আশানুরূপ নয়। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগত যে অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন; সেটিও এই বিদ্যালয়ে তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফলাফল কিংবা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানসিক বিকাশ-দুটোই অবনতির দিকে। একটি স্কুলের শিক্ষকরা পড়াশোনার পাশাপাশি- চারিত্রিক, মানসিক বিকাশ, নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আর শিক্ষকরা এই বিষয়গুলো ঠিকটাক করছে কিনা তা দেখাশোনা করে স্কুল কমিটি।

এই স্কুলে কোন স্কুল কমিটিও নেই। অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠনের ওপর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। যেখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং অ্যাডহক কমিটির গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য, দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছ। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও শিক্ষকদের দায়িত পালনের ওপর প্রতি বৎসর মে, আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসারের কাছে নির্ধারিত ছকে কমিটির সদস্য সচিব ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে প্রতিবেদন প্রেরণ করার কথা।

কিন্তু যেখানে কমিটিই নেই, সেখানে এসব বিষয় তদারকি করবে কে? গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনাতেই কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। তিনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্যই কমিটি দিতে চান না।

শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে শিক্ষা লাভ করে, পরবর্তী জীবনে সেই শিক্ষার প্রভাব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ওপর পড়ে। এজন্য বলা হয় প্রথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। আর শিক্ষার এই মূল ভিত্তির এই করুণ অবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আকুল আবেদন চরবড়বিলা ফকির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কমিটি গঠনের ব্যবস্থা ও স্কুলটির সার্বিক তদারকির বিষয়টির ওপর নজর দেয়া হোক। যার মাধ্যমে স্কুলটিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

ইমরান হোসাইন

back to top