মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণীতে কৃতকার্য হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এরপর তাকে মানবিক বিজ্ঞান বাণিজ্য বিভাগ বেছে নিতে হয়; কিন্তু প্রত্যেক বছর পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করলে দেখা যায়, রেজাল্টের শীর্ষে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয়, শিক্ষকদের বিজ্ঞান বিভাগের ওপর আকর্ষণ তাদের উত্তম ফলাফলের কারণ।
একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পায়, তার চেয়ে অনেক কম সুবিধা পায় মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অতিরঞ্জিত ফলাফলের একটা দিক হলো, ব্যাবহারিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ায়। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি মিলে পাঁচ বিষয়ে ২৫ করে মোট ১২৫ নম্বর পায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ২৫ করে ৫০ পেয়ে থাকে।
যেখানে ৭৫ মার্ক বা ৪.০০ পেয়ে এগিয়ে থাকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা; যা তার ভালো ফলাফলের মূল কারণ। ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন না করে, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করিয়ে শুধু ব্যবহারিক খাতা জমার মাধ্যমে পূর্ণ মার্ক দেয়া, যা দুর্নীতির নামান্তর। বিজ্ঞান বিভাগ মানেই শিক্ষকদের ধারনা শিক্ষার্থীরা ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন। কিভাবে এদের আরো ভালো মার্ক দিয়ে জিপিএ-৫ দেয়া যায় সেটা প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক।
তাসরিফ আহম্মেদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণীতে কৃতকার্য হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এরপর তাকে মানবিক বিজ্ঞান বাণিজ্য বিভাগ বেছে নিতে হয়; কিন্তু প্রত্যেক বছর পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করলে দেখা যায়, রেজাল্টের শীর্ষে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয়, শিক্ষকদের বিজ্ঞান বিভাগের ওপর আকর্ষণ তাদের উত্তম ফলাফলের কারণ।
একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পায়, তার চেয়ে অনেক কম সুবিধা পায় মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অতিরঞ্জিত ফলাফলের একটা দিক হলো, ব্যাবহারিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ায়। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি মিলে পাঁচ বিষয়ে ২৫ করে মোট ১২৫ নম্বর পায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ২৫ করে ৫০ পেয়ে থাকে।
যেখানে ৭৫ মার্ক বা ৪.০০ পেয়ে এগিয়ে থাকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা; যা তার ভালো ফলাফলের মূল কারণ। ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন না করে, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করিয়ে শুধু ব্যবহারিক খাতা জমার মাধ্যমে পূর্ণ মার্ক দেয়া, যা দুর্নীতির নামান্তর। বিজ্ঞান বিভাগ মানেই শিক্ষকদের ধারনা শিক্ষার্থীরা ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন। কিভাবে এদের আরো ভালো মার্ক দিয়ে জিপিএ-৫ দেয়া যায় সেটা প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক।
তাসরিফ আহম্মেদ