alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

: শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল,পুকুর ডোবা থাকায় শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু বেড়ে চলছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবার পরপরই পানিতে ডুবে বেশি প্রাণ যাচ্ছে শিশুর। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে পটুয়াখালীতে ১০৬ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

২০২১ সালে ৫৬ ও ২০২০ সালে ২৯ শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। আর চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ৪৪ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। তাছাড়া বর্ষার মৌসুমে বিশেষ করে আগস্ট মাসে শিশুদের পানিতে ডুবে মারা যাবার ঘটনা ঘটছে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় বেশি। পরিবারের অভিভাবকরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত থাকায় এ সময়ে দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে শিশুরা। অন্যদিকে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার বিদ্যমান থাকায় উদ্ধারকৃত শিশুকে দেয়া হচ্ছে না সঠিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা।

শিশুদের এই অকাল মৃত্যুর হার কমাতে জনসাধারণের সর্বস্তরের জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক কর্মকান্ডে সবাইকে সচেতন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

শ্রেণীকক্ষে সাঁতার শেখার শারীরিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিশুদের অবগত করতে হবে পাশাপাশি পরিবারকেও সচেতন করতে হবে। তাছাড়া কমিউনিটি সচেতনতা তৈরি করা; কর্মব্যস্ত অভিভাবকদের শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার যেখানে কেয়ার গিভারের তত্ত্বাবধানে শিশুরা থাকবে; এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার ব্যবস্থা থাকা অবিলম্বে জরুরি। উদ্ধারকৃত শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার লক্ষ্যে বিশেষ করে হার্ট ও শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর প্রাথমিক চেষ্টা সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে হবে। ফলে পানিতে ডুবলে সেখান থেকে উঠিয়ে কী করা হবে সেটা জানা থাকলেও মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে কোমলমতি অনেক শিশু।

সুমাইয়া আকতার

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল,পুকুর ডোবা থাকায় শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু বেড়ে চলছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবার পরপরই পানিতে ডুবে বেশি প্রাণ যাচ্ছে শিশুর। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে পটুয়াখালীতে ১০৬ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

২০২১ সালে ৫৬ ও ২০২০ সালে ২৯ শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। আর চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ৪৪ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। তাছাড়া বর্ষার মৌসুমে বিশেষ করে আগস্ট মাসে শিশুদের পানিতে ডুবে মারা যাবার ঘটনা ঘটছে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় বেশি। পরিবারের অভিভাবকরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত থাকায় এ সময়ে দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে শিশুরা। অন্যদিকে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার বিদ্যমান থাকায় উদ্ধারকৃত শিশুকে দেয়া হচ্ছে না সঠিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা।

শিশুদের এই অকাল মৃত্যুর হার কমাতে জনসাধারণের সর্বস্তরের জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক কর্মকান্ডে সবাইকে সচেতন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

শ্রেণীকক্ষে সাঁতার শেখার শারীরিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিশুদের অবগত করতে হবে পাশাপাশি পরিবারকেও সচেতন করতে হবে। তাছাড়া কমিউনিটি সচেতনতা তৈরি করা; কর্মব্যস্ত অভিভাবকদের শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার যেখানে কেয়ার গিভারের তত্ত্বাবধানে শিশুরা থাকবে; এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার ব্যবস্থা থাকা অবিলম্বে জরুরি। উদ্ধারকৃত শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার লক্ষ্যে বিশেষ করে হার্ট ও শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর প্রাথমিক চেষ্টা সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে হবে। ফলে পানিতে ডুবলে সেখান থেকে উঠিয়ে কী করা হবে সেটা জানা থাকলেও মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে কোমলমতি অনেক শিশু।

সুমাইয়া আকতার

back to top