মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজের সবচাইতে অবহেলিত অংশ। সুবিধাবঞ্চিত অনাথ,অসহায় এই শিশুদের সুনির্দিষ্ট আবাসস্থল বলতে কিছু নেই, পৃথিবীর সমতল ভূমিই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক উপাদানগুলো তাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানার অভ্যন্তরে বসবাসকৃত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে না পারার দায় সমাজ, রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। অল্প বয়স থেকে মেয়ে শিশুরা টিকে থাকার জন্য জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কার্যকলাপে। তাদের উপর যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি চলে পাশবিক শারীরিক নির্যাতন। অভিভাবকহীন এই শিশুদের খাবারের অনিশ্চয়তা ও সঠিক কোনো দিকনির্দেশক না থাকায় গাঁজা, ড্যান্ডি,পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রল শুঁকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, তাদের অধিকাংশই অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগে। অনেকেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে পথশিশুদের নীতি-নৈতিকতার অভাবের কথা কিন্তু যার পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণার তীব্রতা থাকে, তার কাছে নীতি নৈতিকতার বাণী সাগরের অতল গভীর থেকে সুই খুঁজে পাওয়ার মতই নিষ্ফল।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার ‘রূপকল্প ২০৪১’। এই রূপকল্পে স্থান পেয়েছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষজনশক্তি গড়ে তোলা। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জিতব্য ১৭ টি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রথম চারটি যথাক্রমে দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও মানসম্মত শিক্ষা।
আন্তর্জাতিক শিশু সনদ, শিশু আইনসহ দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিটি শিশু তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ লাভের জন্য শিক্ষা, খেলাধুলা, পুষ্টিকর খাদ্য ও বিনোদন পাওয়ার অধিকার রাখে। অন্য শিশুদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার আছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তাদের জন্য যে সবাই পদক্ষেপ ও নীতিমালা গ্রহণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এখনই উপযুক্ত সময়, বৈষম্য আর ভেদাভেদের লাগাম টেনে ধরা।
সোনিয়া আক্তার
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩
সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজের সবচাইতে অবহেলিত অংশ। সুবিধাবঞ্চিত অনাথ,অসহায় এই শিশুদের সুনির্দিষ্ট আবাসস্থল বলতে কিছু নেই, পৃথিবীর সমতল ভূমিই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক উপাদানগুলো তাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানার অভ্যন্তরে বসবাসকৃত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে না পারার দায় সমাজ, রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। অল্প বয়স থেকে মেয়ে শিশুরা টিকে থাকার জন্য জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কার্যকলাপে। তাদের উপর যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি চলে পাশবিক শারীরিক নির্যাতন। অভিভাবকহীন এই শিশুদের খাবারের অনিশ্চয়তা ও সঠিক কোনো দিকনির্দেশক না থাকায় গাঁজা, ড্যান্ডি,পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রল শুঁকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, তাদের অধিকাংশই অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগে। অনেকেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে পথশিশুদের নীতি-নৈতিকতার অভাবের কথা কিন্তু যার পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণার তীব্রতা থাকে, তার কাছে নীতি নৈতিকতার বাণী সাগরের অতল গভীর থেকে সুই খুঁজে পাওয়ার মতই নিষ্ফল।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার ‘রূপকল্প ২০৪১’। এই রূপকল্পে স্থান পেয়েছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষজনশক্তি গড়ে তোলা। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জিতব্য ১৭ টি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রথম চারটি যথাক্রমে দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও মানসম্মত শিক্ষা।
আন্তর্জাতিক শিশু সনদ, শিশু আইনসহ দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিটি শিশু তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ লাভের জন্য শিক্ষা, খেলাধুলা, পুষ্টিকর খাদ্য ও বিনোদন পাওয়ার অধিকার রাখে। অন্য শিশুদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার আছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তাদের জন্য যে সবাই পদক্ষেপ ও নীতিমালা গ্রহণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এখনই উপযুক্ত সময়, বৈষম্য আর ভেদাভেদের লাগাম টেনে ধরা।
সোনিয়া আক্তার