alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

: শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজের সবচাইতে অবহেলিত অংশ। সুবিধাবঞ্চিত অনাথ,অসহায় এই শিশুদের সুনির্দিষ্ট আবাসস্থল বলতে কিছু নেই, পৃথিবীর সমতল ভূমিই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক উপাদানগুলো তাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানার অভ্যন্তরে বসবাসকৃত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে না পারার দায় সমাজ, রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। অল্প বয়স থেকে মেয়ে শিশুরা টিকে থাকার জন্য জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কার্যকলাপে। তাদের উপর যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি চলে পাশবিক শারীরিক নির্যাতন। অভিভাবকহীন এই শিশুদের খাবারের অনিশ্চয়তা ও সঠিক কোনো দিকনির্দেশক না থাকায় গাঁজা, ড্যান্ডি,পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রল শুঁকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, তাদের অধিকাংশই অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগে। অনেকেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে পথশিশুদের নীতি-নৈতিকতার অভাবের কথা কিন্তু যার পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণার তীব্রতা থাকে, তার কাছে নীতি নৈতিকতার বাণী সাগরের অতল গভীর থেকে সুই খুঁজে পাওয়ার মতই নিষ্ফল।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার ‘রূপকল্প ২০৪১’। এই রূপকল্পে স্থান পেয়েছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষজনশক্তি গড়ে তোলা। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জিতব্য ১৭ টি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রথম চারটি যথাক্রমে দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও মানসম্মত শিক্ষা।

আন্তর্জাতিক শিশু সনদ, শিশু আইনসহ দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিটি শিশু তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ লাভের জন্য শিক্ষা, খেলাধুলা, পুষ্টিকর খাদ্য ও বিনোদন পাওয়ার অধিকার রাখে। অন্য শিশুদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার আছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তাদের জন্য যে সবাই পদক্ষেপ ও নীতিমালা গ্রহণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এখনই উপযুক্ত সময়, বৈষম্য আর ভেদাভেদের লাগাম টেনে ধরা।

সোনিয়া আক্তার

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩

সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজের সবচাইতে অবহেলিত অংশ। সুবিধাবঞ্চিত অনাথ,অসহায় এই শিশুদের সুনির্দিষ্ট আবাসস্থল বলতে কিছু নেই, পৃথিবীর সমতল ভূমিই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক উপাদানগুলো তাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানার অভ্যন্তরে বসবাসকৃত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে না পারার দায় সমাজ, রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। অল্প বয়স থেকে মেয়ে শিশুরা টিকে থাকার জন্য জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কার্যকলাপে। তাদের উপর যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি চলে পাশবিক শারীরিক নির্যাতন। অভিভাবকহীন এই শিশুদের খাবারের অনিশ্চয়তা ও সঠিক কোনো দিকনির্দেশক না থাকায় গাঁজা, ড্যান্ডি,পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রল শুঁকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, তাদের অধিকাংশই অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগে। অনেকেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে পথশিশুদের নীতি-নৈতিকতার অভাবের কথা কিন্তু যার পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণার তীব্রতা থাকে, তার কাছে নীতি নৈতিকতার বাণী সাগরের অতল গভীর থেকে সুই খুঁজে পাওয়ার মতই নিষ্ফল।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার ‘রূপকল্প ২০৪১’। এই রূপকল্পে স্থান পেয়েছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষজনশক্তি গড়ে তোলা। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জিতব্য ১৭ টি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রথম চারটি যথাক্রমে দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও মানসম্মত শিক্ষা।

আন্তর্জাতিক শিশু সনদ, শিশু আইনসহ দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিটি শিশু তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ লাভের জন্য শিক্ষা, খেলাধুলা, পুষ্টিকর খাদ্য ও বিনোদন পাওয়ার অধিকার রাখে। অন্য শিশুদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার আছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তাদের জন্য যে সবাই পদক্ষেপ ও নীতিমালা গ্রহণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এখনই উপযুক্ত সময়, বৈষম্য আর ভেদাভেদের লাগাম টেনে ধরা।

সোনিয়া আক্তার

back to top