alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

: শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সুশিক্ষা ছাড়া একটা জাতি ভঙ্গুর। পড়ালেখার আবির্ভাব তখন থেকে শুরু হয়, যখন থেকে মিসরীয়রা হায়ারোগ্লিফিক লিখন পদ্ধতির আবিস্কার করে। যার বর্ণ ছিল ২৫টি। প্রাচীন যুগে লিখন পদ্ধতির আবিস্কার এর মাধ্যমে গণিত, জ্যামিতি, জ্যোর্তিবিদ্যা, ভূগোল, চিকিৎসা বিদ্যার সূচনা হয়। ধীরে ধীরে অন্য সবাই বিষয়ভিত্তিক কোর্স যুক্ত হয়। কোনো জাতি বিশ্বের বুকে তখনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, যখন তার দেশের জনগণ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।

শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখায়িত করা হয়েছে। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। একটি দেশকে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই শিক্ষিত জনসম্পদ।

বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজ পড়ালেখার ভাবার্থ সম্পর্কে অবগত না। তারা জানেই না পড়ালেখার আবির্ভাব কিসের জন্য। পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য কী? বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজের কাছে পড়ালেখা করা মানে। ভবিষ্যতে সুন্দর একটা চাকরি করে, সুন্দর জীবন ব্যবস্থা গঠন করা। তারা জানেই না পড়ালেখা মানি নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা, বিশ্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া। শিক্ষা মানুষের জীবনের চলার পথকে সহজ করে দেয়।

শিক্ষা মানুষকে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে শেখায়। শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনই তার চারপাশে বিচরণকৃত জীব-জন্তু, উদ্ভিদের অমঙ্গল কামনা করতে পারে না। সে চায় পৃথিবী থেকে দূর হোক সব অমঙ্গল, অপশক্তির। বিশ্বে স্থান পাক শান্তির সুবাতাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাস করার জন্য পড়ে। নিজেকে জানার জন্য নয়। তাই তো একাডেমিক পাঠ্য সূচিতে আবদ্ধ থাকে ১০-১৭ বছর। তারা অতিরিক্ত মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে।

তারা বরাবরি একাডেমিতে ভালো রেজাল্ট করে; কিন্তু তাদের ভিতরে সৃজনশীলতার অভাব। যার ফলে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। তারা হয়ে উঠে অক্ষর-জ্ঞান সম্পন্ন অশিক্ষিত জনসম্পদে। তাই আমাদের উচিৎ একাডেমিভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পাঠ করা। যাতে করে আমরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি।

নতুন প্রজন্মকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা জরুরি। ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।

ইমন হাওলাদার

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির অবদান

শহরের পাখিরা যখন মরার প্রহর গুনে

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুশিক্ষা ছাড়া একটা জাতি ভঙ্গুর। পড়ালেখার আবির্ভাব তখন থেকে শুরু হয়, যখন থেকে মিসরীয়রা হায়ারোগ্লিফিক লিখন পদ্ধতির আবিস্কার করে। যার বর্ণ ছিল ২৫টি। প্রাচীন যুগে লিখন পদ্ধতির আবিস্কার এর মাধ্যমে গণিত, জ্যামিতি, জ্যোর্তিবিদ্যা, ভূগোল, চিকিৎসা বিদ্যার সূচনা হয়। ধীরে ধীরে অন্য সবাই বিষয়ভিত্তিক কোর্স যুক্ত হয়। কোনো জাতি বিশ্বের বুকে তখনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, যখন তার দেশের জনগণ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।

শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখায়িত করা হয়েছে। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। একটি দেশকে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই শিক্ষিত জনসম্পদ।

বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজ পড়ালেখার ভাবার্থ সম্পর্কে অবগত না। তারা জানেই না পড়ালেখার আবির্ভাব কিসের জন্য। পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য কী? বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজের কাছে পড়ালেখা করা মানে। ভবিষ্যতে সুন্দর একটা চাকরি করে, সুন্দর জীবন ব্যবস্থা গঠন করা। তারা জানেই না পড়ালেখা মানি নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা, বিশ্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া। শিক্ষা মানুষের জীবনের চলার পথকে সহজ করে দেয়।

শিক্ষা মানুষকে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে শেখায়। শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনই তার চারপাশে বিচরণকৃত জীব-জন্তু, উদ্ভিদের অমঙ্গল কামনা করতে পারে না। সে চায় পৃথিবী থেকে দূর হোক সব অমঙ্গল, অপশক্তির। বিশ্বে স্থান পাক শান্তির সুবাতাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাস করার জন্য পড়ে। নিজেকে জানার জন্য নয়। তাই তো একাডেমিক পাঠ্য সূচিতে আবদ্ধ থাকে ১০-১৭ বছর। তারা অতিরিক্ত মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে।

তারা বরাবরি একাডেমিতে ভালো রেজাল্ট করে; কিন্তু তাদের ভিতরে সৃজনশীলতার অভাব। যার ফলে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। তারা হয়ে উঠে অক্ষর-জ্ঞান সম্পন্ন অশিক্ষিত জনসম্পদে। তাই আমাদের উচিৎ একাডেমিভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পাঠ করা। যাতে করে আমরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি।

নতুন প্রজন্মকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা জরুরি। ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।

ইমন হাওলাদার

back to top