মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সুশিক্ষা ছাড়া একটা জাতি ভঙ্গুর। পড়ালেখার আবির্ভাব তখন থেকে শুরু হয়, যখন থেকে মিসরীয়রা হায়ারোগ্লিফিক লিখন পদ্ধতির আবিস্কার করে। যার বর্ণ ছিল ২৫টি। প্রাচীন যুগে লিখন পদ্ধতির আবিস্কার এর মাধ্যমে গণিত, জ্যামিতি, জ্যোর্তিবিদ্যা, ভূগোল, চিকিৎসা বিদ্যার সূচনা হয়। ধীরে ধীরে অন্য সবাই বিষয়ভিত্তিক কোর্স যুক্ত হয়। কোনো জাতি বিশ্বের বুকে তখনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, যখন তার দেশের জনগণ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।
শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখায়িত করা হয়েছে। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। একটি দেশকে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই শিক্ষিত জনসম্পদ।
বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজ পড়ালেখার ভাবার্থ সম্পর্কে অবগত না। তারা জানেই না পড়ালেখার আবির্ভাব কিসের জন্য। পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য কী? বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজের কাছে পড়ালেখা করা মানে। ভবিষ্যতে সুন্দর একটা চাকরি করে, সুন্দর জীবন ব্যবস্থা গঠন করা। তারা জানেই না পড়ালেখা মানি নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা, বিশ্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া। শিক্ষা মানুষের জীবনের চলার পথকে সহজ করে দেয়।
শিক্ষা মানুষকে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে শেখায়। শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনই তার চারপাশে বিচরণকৃত জীব-জন্তু, উদ্ভিদের অমঙ্গল কামনা করতে পারে না। সে চায় পৃথিবী থেকে দূর হোক সব অমঙ্গল, অপশক্তির। বিশ্বে স্থান পাক শান্তির সুবাতাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাস করার জন্য পড়ে। নিজেকে জানার জন্য নয়। তাই তো একাডেমিক পাঠ্য সূচিতে আবদ্ধ থাকে ১০-১৭ বছর। তারা অতিরিক্ত মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে।
তারা বরাবরি একাডেমিতে ভালো রেজাল্ট করে; কিন্তু তাদের ভিতরে সৃজনশীলতার অভাব। যার ফলে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। তারা হয়ে উঠে অক্ষর-জ্ঞান সম্পন্ন অশিক্ষিত জনসম্পদে। তাই আমাদের উচিৎ একাডেমিভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পাঠ করা। যাতে করে আমরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি।
নতুন প্রজন্মকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা জরুরি। ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
ইমন হাওলাদার
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সুশিক্ষা ছাড়া একটা জাতি ভঙ্গুর। পড়ালেখার আবির্ভাব তখন থেকে শুরু হয়, যখন থেকে মিসরীয়রা হায়ারোগ্লিফিক লিখন পদ্ধতির আবিস্কার করে। যার বর্ণ ছিল ২৫টি। প্রাচীন যুগে লিখন পদ্ধতির আবিস্কার এর মাধ্যমে গণিত, জ্যামিতি, জ্যোর্তিবিদ্যা, ভূগোল, চিকিৎসা বিদ্যার সূচনা হয়। ধীরে ধীরে অন্য সবাই বিষয়ভিত্তিক কোর্স যুক্ত হয়। কোনো জাতি বিশ্বের বুকে তখনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, যখন তার দেশের জনগণ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।
শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখায়িত করা হয়েছে। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। একটি দেশকে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই শিক্ষিত জনসম্পদ।
বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজ পড়ালেখার ভাবার্থ সম্পর্কে অবগত না। তারা জানেই না পড়ালেখার আবির্ভাব কিসের জন্য। পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য কী? বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজের কাছে পড়ালেখা করা মানে। ভবিষ্যতে সুন্দর একটা চাকরি করে, সুন্দর জীবন ব্যবস্থা গঠন করা। তারা জানেই না পড়ালেখা মানি নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা, বিশ্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া। শিক্ষা মানুষের জীবনের চলার পথকে সহজ করে দেয়।
শিক্ষা মানুষকে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে শেখায়। শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনই তার চারপাশে বিচরণকৃত জীব-জন্তু, উদ্ভিদের অমঙ্গল কামনা করতে পারে না। সে চায় পৃথিবী থেকে দূর হোক সব অমঙ্গল, অপশক্তির। বিশ্বে স্থান পাক শান্তির সুবাতাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাস করার জন্য পড়ে। নিজেকে জানার জন্য নয়। তাই তো একাডেমিক পাঠ্য সূচিতে আবদ্ধ থাকে ১০-১৭ বছর। তারা অতিরিক্ত মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে।
তারা বরাবরি একাডেমিতে ভালো রেজাল্ট করে; কিন্তু তাদের ভিতরে সৃজনশীলতার অভাব। যার ফলে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। তারা হয়ে উঠে অক্ষর-জ্ঞান সম্পন্ন অশিক্ষিত জনসম্পদে। তাই আমাদের উচিৎ একাডেমিভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পাঠ করা। যাতে করে আমরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি।
নতুন প্রজন্মকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা জরুরি। ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
ইমন হাওলাদার