মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
চারদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার। কিন্তু বাংলাদেশে এই ‘একবিংশ শতাব্দী’তেও নারীরা শিকার হচ্ছেন ইভটিজিংয়ে। ঊাব অর্থ নারী আর ঞবধংরহম অর্থ উত্যক্ত, জ্বালাতন। কথা, কাজ, আচরণের মাধ্যমে নারীকে উত্যক্ত করাই ইভটিজিং। শিশু, কিশোর, মেয়ে ও নারীরা এর শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। ক্রমশ এটি বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের মাঝে এটি বেশি হতে দেখা যায়। দ্রুত এই সমস্যার নিরসন না করলে বিরাট আকার ধারণ করবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যে কাজটি করা প্রয়োজন সেটি হচ্ছে, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার নিশ্চয়তা। উত্যক্তকারী অধিকাংশ ছেলে হচ্ছে পারিবারিক ও একাডেমিক শিক্ষাহীন। আবার অনেকের পরিবারই নেই। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ায় আর দুষ্টু ছেলেদের সঙ্গে মিশে ইভটিজিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করে বেড়ায়।
কিন্তু যদি এই ছেলেগুলোকে পারিবারিকভাবে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হতো, সুন্দর করে বুঝানো যেতো যে, যাদের উত্যক্ত করা হচ্ছে তারা তোমাদেরই মতোই কারো না কারো পরিবারের বোন, মেয়ে, ভাতিজী, ভাগ্নি। তাহলে কি তারা এমন জঘন্য কাজ করতে পারতো। কখনোই না। বরং তাদেরকে দেখলে সম্মানের চোখে দেখতো। উত্যক্ত করা তো দূরের কথা যে কাউকে উত্যক্ত করতে দেখলে প্রতিরোধ করতো।
ইভটিজিং নামের ব্যাধি থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। তবেই কেবল আমাদের মেয়েরা শান্তি মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারবে। এবং নতুন সমাজ গড়ে তুলতে তারাও সমান অংশীদার হবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া প্রয়োজন।
জাহিদুল হক
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চারদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার। কিন্তু বাংলাদেশে এই ‘একবিংশ শতাব্দী’তেও নারীরা শিকার হচ্ছেন ইভটিজিংয়ে। ঊাব অর্থ নারী আর ঞবধংরহম অর্থ উত্যক্ত, জ্বালাতন। কথা, কাজ, আচরণের মাধ্যমে নারীকে উত্যক্ত করাই ইভটিজিং। শিশু, কিশোর, মেয়ে ও নারীরা এর শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। ক্রমশ এটি বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের মাঝে এটি বেশি হতে দেখা যায়। দ্রুত এই সমস্যার নিরসন না করলে বিরাট আকার ধারণ করবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যে কাজটি করা প্রয়োজন সেটি হচ্ছে, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার নিশ্চয়তা। উত্যক্তকারী অধিকাংশ ছেলে হচ্ছে পারিবারিক ও একাডেমিক শিক্ষাহীন। আবার অনেকের পরিবারই নেই। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ায় আর দুষ্টু ছেলেদের সঙ্গে মিশে ইভটিজিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করে বেড়ায়।
কিন্তু যদি এই ছেলেগুলোকে পারিবারিকভাবে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হতো, সুন্দর করে বুঝানো যেতো যে, যাদের উত্যক্ত করা হচ্ছে তারা তোমাদেরই মতোই কারো না কারো পরিবারের বোন, মেয়ে, ভাতিজী, ভাগ্নি। তাহলে কি তারা এমন জঘন্য কাজ করতে পারতো। কখনোই না। বরং তাদেরকে দেখলে সম্মানের চোখে দেখতো। উত্যক্ত করা তো দূরের কথা যে কাউকে উত্যক্ত করতে দেখলে প্রতিরোধ করতো।
ইভটিজিং নামের ব্যাধি থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। তবেই কেবল আমাদের মেয়েরা শান্তি মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারবে। এবং নতুন সমাজ গড়ে তুলতে তারাও সমান অংশীদার হবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া প্রয়োজন।
জাহিদুল হক