alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

: শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

চারদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার। কিন্তু বাংলাদেশে এই ‘একবিংশ শতাব্দী’তেও নারীরা শিকার হচ্ছেন ইভটিজিংয়ে। ঊাব অর্থ নারী আর ঞবধংরহম অর্থ উত্যক্ত, জ্বালাতন। কথা, কাজ, আচরণের মাধ্যমে নারীকে উত্যক্ত করাই ইভটিজিং। শিশু, কিশোর, মেয়ে ও নারীরা এর শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। ক্রমশ এটি বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের মাঝে এটি বেশি হতে দেখা যায়। দ্রুত এই সমস্যার নিরসন না করলে বিরাট আকার ধারণ করবে।

ইভটিজিং প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যে কাজটি করা প্রয়োজন সেটি হচ্ছে, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার নিশ্চয়তা। উত্যক্তকারী অধিকাংশ ছেলে হচ্ছে পারিবারিক ও একাডেমিক শিক্ষাহীন। আবার অনেকের পরিবারই নেই। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ায় আর দুষ্টু ছেলেদের সঙ্গে মিশে ইভটিজিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করে বেড়ায়।

কিন্তু যদি এই ছেলেগুলোকে পারিবারিকভাবে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হতো, সুন্দর করে বুঝানো যেতো যে, যাদের উত্যক্ত করা হচ্ছে তারা তোমাদেরই মতোই কারো না কারো পরিবারের বোন, মেয়ে, ভাতিজী, ভাগ্নি। তাহলে কি তারা এমন জঘন্য কাজ করতে পারতো। কখনোই না। বরং তাদেরকে দেখলে সম্মানের চোখে দেখতো। উত্যক্ত করা তো দূরের কথা যে কাউকে উত্যক্ত করতে দেখলে প্রতিরোধ করতো।

ইভটিজিং নামের ব্যাধি থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। তবেই কেবল আমাদের মেয়েরা শান্তি মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারবে। এবং নতুন সমাজ গড়ে তুলতে তারাও সমান অংশীদার হবে।

ইভটিজিং প্রতিরোধে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া প্রয়োজন।

জাহিদুল হক

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চারদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার। কিন্তু বাংলাদেশে এই ‘একবিংশ শতাব্দী’তেও নারীরা শিকার হচ্ছেন ইভটিজিংয়ে। ঊাব অর্থ নারী আর ঞবধংরহম অর্থ উত্যক্ত, জ্বালাতন। কথা, কাজ, আচরণের মাধ্যমে নারীকে উত্যক্ত করাই ইভটিজিং। শিশু, কিশোর, মেয়ে ও নারীরা এর শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। ক্রমশ এটি বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের মাঝে এটি বেশি হতে দেখা যায়। দ্রুত এই সমস্যার নিরসন না করলে বিরাট আকার ধারণ করবে।

ইভটিজিং প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যে কাজটি করা প্রয়োজন সেটি হচ্ছে, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার নিশ্চয়তা। উত্যক্তকারী অধিকাংশ ছেলে হচ্ছে পারিবারিক ও একাডেমিক শিক্ষাহীন। আবার অনেকের পরিবারই নেই। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ায় আর দুষ্টু ছেলেদের সঙ্গে মিশে ইভটিজিংয়ের মতো জঘন্য কাজ করে বেড়ায়।

কিন্তু যদি এই ছেলেগুলোকে পারিবারিকভাবে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হতো, সুন্দর করে বুঝানো যেতো যে, যাদের উত্যক্ত করা হচ্ছে তারা তোমাদেরই মতোই কারো না কারো পরিবারের বোন, মেয়ে, ভাতিজী, ভাগ্নি। তাহলে কি তারা এমন জঘন্য কাজ করতে পারতো। কখনোই না। বরং তাদেরকে দেখলে সম্মানের চোখে দেখতো। উত্যক্ত করা তো দূরের কথা যে কাউকে উত্যক্ত করতে দেখলে প্রতিরোধ করতো।

ইভটিজিং নামের ব্যাধি থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। তবেই কেবল আমাদের মেয়েরা শান্তি মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারবে। এবং নতুন সমাজ গড়ে তুলতে তারাও সমান অংশীদার হবে।

ইভটিজিং প্রতিরোধে পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া প্রয়োজন।

জাহিদুল হক

back to top