alt

চিঠিপত্র

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

: রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশের সমৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে উৎপাদনের ভূমিকাই বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে ৬৯ দশমিক ৮৮ হাজার টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ তথ্য বলছে, করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। চাষের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইলিশ আহরণে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ইলিশের মোট উৎপাদন ৫ দশমিক ৭১ লাখ টন। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত আইকিউএফ, কুকড, ফিস ফিলেট ভ্যালু অ্যাডেড মৎস্য জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।

গলদা, বাগদা, হরিণাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, স্বাদু পানির মাছ যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল, আইড়, টেংরা, বোয়াল, পাবদা ও কৈ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ভেটকি, দাতিনা, রূপচাঁদা, কাটল ফিস ও কাঁকড়া রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়াও শুঁটকি, মাছের আঁশ এবং চিংড়ির খোলসও রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরিত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

নিরাপদ ও গুণগত মানসম্পন্ন মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করা মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যতম ম্যান্ডেট। এ লক্ষ্যে বর্তমানে দেশে চিংড়ি উৎপাদনের সব স্তরে উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন এবং হ্যাজার্ড অ্যানালাইসিস এন্ড ক্রিটিক্যাল কন্ট্রোল পয়েন্ট (এইচএসিসিপি) ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন এবং বিধিমালা, মৎস্য হ্যাচারি আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ মাছ উৎপাদন নিশ্চিতকরণ সহজতর হচ্ছে।

রপ্তানি করা মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম কার্যকর করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার চিংড়ি খামার এবং ৯ হাজার ৬৫১টি বাণিজ্যিক মৎস্য খামারের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য ৫২টির অধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ টন। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ চাহিদার (৬০ গ্রাম) বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ দশমিক ৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ মৎস্য উপখাতের অবদান। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ ১৯৫ লাখ বা প্রায় ১২ শতাংশের অধিক মানুষ এ সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ১০ হাজার আর্টিসানাল মৎস্য নৌ-যান ও পাঁচটি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌ-যান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে মৎস্য খাতের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাত ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।

কাজী তারিক আহম্মদ

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের সমৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে উৎপাদনের ভূমিকাই বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে ৬৯ দশমিক ৮৮ হাজার টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ তথ্য বলছে, করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। চাষের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইলিশ আহরণে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ইলিশের মোট উৎপাদন ৫ দশমিক ৭১ লাখ টন। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত আইকিউএফ, কুকড, ফিস ফিলেট ভ্যালু অ্যাডেড মৎস্য জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।

গলদা, বাগদা, হরিণাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, স্বাদু পানির মাছ যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল, আইড়, টেংরা, বোয়াল, পাবদা ও কৈ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ভেটকি, দাতিনা, রূপচাঁদা, কাটল ফিস ও কাঁকড়া রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়াও শুঁটকি, মাছের আঁশ এবং চিংড়ির খোলসও রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরিত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

নিরাপদ ও গুণগত মানসম্পন্ন মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করা মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যতম ম্যান্ডেট। এ লক্ষ্যে বর্তমানে দেশে চিংড়ি উৎপাদনের সব স্তরে উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন এবং হ্যাজার্ড অ্যানালাইসিস এন্ড ক্রিটিক্যাল কন্ট্রোল পয়েন্ট (এইচএসিসিপি) ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন এবং বিধিমালা, মৎস্য হ্যাচারি আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ মাছ উৎপাদন নিশ্চিতকরণ সহজতর হচ্ছে।

রপ্তানি করা মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম কার্যকর করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার চিংড়ি খামার এবং ৯ হাজার ৬৫১টি বাণিজ্যিক মৎস্য খামারের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য ৫২টির অধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ টন। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ চাহিদার (৬০ গ্রাম) বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ দশমিক ৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ মৎস্য উপখাতের অবদান। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ ১৯৫ লাখ বা প্রায় ১২ শতাংশের অধিক মানুষ এ সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ১০ হাজার আর্টিসানাল মৎস্য নৌ-যান ও পাঁচটি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌ-যান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে মৎস্য খাতের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাত ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।

কাজী তারিক আহম্মদ

back to top