alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সুখী দেশ

: শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রতি বছর রাষ্ট্র সংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সুখের’ ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের তালিকা প্রকাশ করে একটি সংস্থা। এ তালিকায় প্রথমসারিতে থাকে ধনী ও পশ্চিমা দেশগুলো। তাহলে প্রাচ্য কি সুখী নয়? সুখী দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ইসরাইল।

সুখী দেশের তালিকায় ব্রিটেন রয়েছে ১৭ নম্বরে। এ দেশটির ঐশ্বর্য সেখানকার মানুষের সুখের প্রধান কারণ; কিন্তু এই সম্পদ এলো কোথা থেকে? সুখী দেশ ব্রিটেনের ঐশ্বর্য এসেছে আফ্রিকা মহাদেশ ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলো থেকে চিনি বাণিজ্য বা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে লুঠ করা সম্পদ থেকে।

সুখী দেশের তালিকায় ১৯তম অবস্থানে রয়েছে বেলজিয়াম; কিন্তু তার এই সুখ এসেছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে উপনিবেশ গড়ে তুলে ওই দেশের মানুষকে সীমাহীন দুর্দশায় রেখে সম্পদ লুঠ করে নেয়ার মাধ্যমে।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইসরাইল ও নেদারল্যান্ডসের অধিবাসীরা বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ।

সুখী দেশের তালিকায় ১৫তম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। আর এই আমেরিকায় যে আয়-বৈষম্য রয়েছে, তা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি হিসাবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি লোক গরিব।

২০২৩ সালের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ইউরোপের দেশের সংখ্যাই বেশি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ৯ বছর ধরে ফিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে এই তথ্যটি জানা দরকার যে, ফিনল্যান্ডের মানুষ ইউরোপে অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট বা ডিপ্রেশনের ওষুধ ব্যবহারকারীদের মধ্যে একদম প্রথমে। একই কথা প্রযোজ্য সুইডেনের বেলাতেও। সুখী দেশের তালিকায় তাদের অবস্থান ৬ নাম্বারে।

আইসল্যান্ডের নামও যারা সুখী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে। এই দেশগুলো সুখী দেশের তালিকায় প্রথমসারিতে রয়েছে যেমন, ঠিক তেমনিভাবে তাদের মধ্যে রয়েছে বিষন্নতারোধী ওষুধ ব্যবহারের রেকর্ড। অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ও স্লিপিং পিল না খেলে তাদের ঘুম আসে না। তাই বলা যায়, ফিনল্যান্ডসহ সুখী দেশগুলোর মানুষ বিষন্ন, তবে সুখী।

একজন মানুষের সুখ আরেকজনের অসুখী জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আশপাশের কেউ অসুখী হলে, দুঃখী থাকলে আমরা সহজে সুখী হতে পারি না। আসলে কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! কারও সুখের জন্য অসুখী হতে হয় আরেকজনকে। ডাকাত সুখ শান্তিতে থাকার জন্য করে ডাকাতি। আজ যারা ধনকুবের হয়েছে, আর তা সম্ভব হয়েছে অন্যদের শোষণের মাধ্যমেই।

বিশ্ব হ্যাপিনেস রিপোর্ট আমাদের সত্যিকার অর্থে কী বলছে? এটা পশ্চিমা ভাবধারাকে অনুসরণ করে জোর গলায় বলছে, ‘দেখো, আমরা ভালো আছি। আমরা আমাদের সভ্য ও সুখের জীবন নিয়ে খুব সন্তুষ্ট।’ এটাই অন্যদের দেখাতে চায় ওরা।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩ সাল অনুযায়ী সুখী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০০ দেশের মধ্যে নেই বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭ দেশের মধ্যে ১১৮ নম্বরে।

লিয়াকত হোসেন খোকন

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সুখী দেশ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতি বছর রাষ্ট্র সংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সুখের’ ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের তালিকা প্রকাশ করে একটি সংস্থা। এ তালিকায় প্রথমসারিতে থাকে ধনী ও পশ্চিমা দেশগুলো। তাহলে প্রাচ্য কি সুখী নয়? সুখী দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ইসরাইল।

সুখী দেশের তালিকায় ব্রিটেন রয়েছে ১৭ নম্বরে। এ দেশটির ঐশ্বর্য সেখানকার মানুষের সুখের প্রধান কারণ; কিন্তু এই সম্পদ এলো কোথা থেকে? সুখী দেশ ব্রিটেনের ঐশ্বর্য এসেছে আফ্রিকা মহাদেশ ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলো থেকে চিনি বাণিজ্য বা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে লুঠ করা সম্পদ থেকে।

সুখী দেশের তালিকায় ১৯তম অবস্থানে রয়েছে বেলজিয়াম; কিন্তু তার এই সুখ এসেছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে উপনিবেশ গড়ে তুলে ওই দেশের মানুষকে সীমাহীন দুর্দশায় রেখে সম্পদ লুঠ করে নেয়ার মাধ্যমে।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইসরাইল ও নেদারল্যান্ডসের অধিবাসীরা বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ।

সুখী দেশের তালিকায় ১৫তম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। আর এই আমেরিকায় যে আয়-বৈষম্য রয়েছে, তা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি হিসাবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি লোক গরিব।

২০২৩ সালের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ইউরোপের দেশের সংখ্যাই বেশি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ৯ বছর ধরে ফিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে এই তথ্যটি জানা দরকার যে, ফিনল্যান্ডের মানুষ ইউরোপে অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট বা ডিপ্রেশনের ওষুধ ব্যবহারকারীদের মধ্যে একদম প্রথমে। একই কথা প্রযোজ্য সুইডেনের বেলাতেও। সুখী দেশের তালিকায় তাদের অবস্থান ৬ নাম্বারে।

আইসল্যান্ডের নামও যারা সুখী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে। এই দেশগুলো সুখী দেশের তালিকায় প্রথমসারিতে রয়েছে যেমন, ঠিক তেমনিভাবে তাদের মধ্যে রয়েছে বিষন্নতারোধী ওষুধ ব্যবহারের রেকর্ড। অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ও স্লিপিং পিল না খেলে তাদের ঘুম আসে না। তাই বলা যায়, ফিনল্যান্ডসহ সুখী দেশগুলোর মানুষ বিষন্ন, তবে সুখী।

একজন মানুষের সুখ আরেকজনের অসুখী জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আশপাশের কেউ অসুখী হলে, দুঃখী থাকলে আমরা সহজে সুখী হতে পারি না। আসলে কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! কারও সুখের জন্য অসুখী হতে হয় আরেকজনকে। ডাকাত সুখ শান্তিতে থাকার জন্য করে ডাকাতি। আজ যারা ধনকুবের হয়েছে, আর তা সম্ভব হয়েছে অন্যদের শোষণের মাধ্যমেই।

বিশ্ব হ্যাপিনেস রিপোর্ট আমাদের সত্যিকার অর্থে কী বলছে? এটা পশ্চিমা ভাবধারাকে অনুসরণ করে জোর গলায় বলছে, ‘দেখো, আমরা ভালো আছি। আমরা আমাদের সভ্য ও সুখের জীবন নিয়ে খুব সন্তুষ্ট।’ এটাই অন্যদের দেখাতে চায় ওরা।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩ সাল অনুযায়ী সুখী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০০ দেশের মধ্যে নেই বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭ দেশের মধ্যে ১১৮ নম্বরে।

লিয়াকত হোসেন খোকন

back to top