alt

চিঠিপত্র





























  • download

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

নানা ধরনের জটিলতার কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের গতি অত্যন্ত ধীর। কাজে ধীরগতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি যেন নিয়মে পরিণিত হয়েছে।

শর্ত না বুঝে বৈদেশিক ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর, প্রকল্প তৈরি অনুমোদন ও তদারকির ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আমলাতান্ত্রিকতাসহ বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক অর্থছাড় কম হয়। অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের বিপরীতে বিদেশি অর্থছাড়ে নানা ধরনের জটিল শর্ত থাকে। এসব শর্ত পূরণ করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যবহারের অদক্ষতার কারণেই পাইপ লাইনে জমা হওয়া টাকার অংক ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাতারা অর্থছাড় করছে না। পাইপ লাইনেই আটকে থাকছে দাতাদের প্রতিশ্রুতি।

ফলে সরকার প্রতি অর্থবছরে যে পরিমাণ বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে থাকে, তাতেও দেখা দিচ্ছে ঘাটতি। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া সংশ্লিষ্টদের বড় দুর্বলতা। আমাদের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সবকিছু খুবই পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা মাথায় রেখে করা উচিত। জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা গেলে অহেতুক ব্যয় যেমন হ্রাস পাবে, তেমনি কমবে জনদুর্ভোগও। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়লে তা কেবল দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে না, ডলার ও মূল্যস্ফীতির সমস্যা মোকাবিলায় ও সহায়ক হবে।

কাজেই সব ধরনের প্রকল্পের ধীরগতি ও সমন্বয়হীনতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। দূর করতে হবে অনিয়ম ও দুর্নীতি। অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্ট করার জন্যই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ধীরগতিতে করা হয়। এসব কারসাজি রোধে কোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। আমাদের বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার করার দক্ষতার যে ঘাটতি আছে তা বাড়াতে হবে। আমরা যদি ব্যবহারে দক্ষতা বাড়াতে পারি তা হলে উন্নয়ন সহযোগীরা ও প্রতিশ্রুত অর্থছাড়ে উৎসাহ পাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও জটিলতা রয়েছে, তা দূর করতে হবে।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

  • download

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নানা ধরনের জটিলতার কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের গতি অত্যন্ত ধীর। কাজে ধীরগতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি যেন নিয়মে পরিণিত হয়েছে।

শর্ত না বুঝে বৈদেশিক ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর, প্রকল্প তৈরি অনুমোদন ও তদারকির ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আমলাতান্ত্রিকতাসহ বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক অর্থছাড় কম হয়। অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের বিপরীতে বিদেশি অর্থছাড়ে নানা ধরনের জটিল শর্ত থাকে। এসব শর্ত পূরণ করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যবহারের অদক্ষতার কারণেই পাইপ লাইনে জমা হওয়া টাকার অংক ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাতারা অর্থছাড় করছে না। পাইপ লাইনেই আটকে থাকছে দাতাদের প্রতিশ্রুতি।

ফলে সরকার প্রতি অর্থবছরে যে পরিমাণ বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে থাকে, তাতেও দেখা দিচ্ছে ঘাটতি। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া সংশ্লিষ্টদের বড় দুর্বলতা। আমাদের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সবকিছু খুবই পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা মাথায় রেখে করা উচিত। জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা গেলে অহেতুক ব্যয় যেমন হ্রাস পাবে, তেমনি কমবে জনদুর্ভোগও। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়লে তা কেবল দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে না, ডলার ও মূল্যস্ফীতির সমস্যা মোকাবিলায় ও সহায়ক হবে।

কাজেই সব ধরনের প্রকল্পের ধীরগতি ও সমন্বয়হীনতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। দূর করতে হবে অনিয়ম ও দুর্নীতি। অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্ট করার জন্যই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ধীরগতিতে করা হয়। এসব কারসাজি রোধে কোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। আমাদের বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার করার দক্ষতার যে ঘাটতি আছে তা বাড়াতে হবে। আমরা যদি ব্যবহারে দক্ষতা বাড়াতে পারি তা হলে উন্নয়ন সহযোগীরা ও প্রতিশ্রুত অর্থছাড়ে উৎসাহ পাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও জটিলতা রয়েছে, তা দূর করতে হবে।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ

back to top