alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

: রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

স্বাস্থ্যসেবার মূল বিষয় ‘রোগ-ওষুধতত্ত্ব’, অর্থাৎ রোগ হলে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ রোগেরই প্রতিকার হিসেবে আমরা কোনো না কোনো ওষুধ গ্রহণ করি। ওষুধ গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় এসেছে নানান পরিবর্তন।

ধীরে ধীরে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রণিক ডিজিজের প্রকোপ, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, জীবনধারার পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে মানুষের ওষুধ গ্রহণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার ফলে টাক মাথা, স্কিনের সতেজতা রক্ষাকারী, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি পেশায় পরিবর্তন এসেছে। ফলে বিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসক মূলত রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে গেছেন।

ওষুধ তৈরির দায়িত্ব চলে এসেছে ফার্মাসিস্টদের কাছে; কিন্তু উক্ত সময়ের পর বাজারে ওষুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিটি রোগের আলাদা আলাদা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে ফার্মাসিস্টরা শুধু ওষুধ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসেবায় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করার প্রয়াস শুরু হয়ে গেছে। ফলে এখন হেলথকেয়ারের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল কেয়ার নামক শব্দটি স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সংযোগ ঘটানোর সর্বোত্তম মাধ্যম হলেন একজন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট। বিশেষ করে চিকিৎসক প্রদত্ত প্রেসক্রিপশন (চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্র) অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণে রোগীকে সহায়তার মূল কাজটি একজন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট করে থাকেন। ফলে রোগী প্রেসক্রিপশন পাওয়ার পর থেকে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের কাছে ওষুধবিষয়ক সমস্যার সঠিক নির্দেশনা পেতে পারেন।

ইতোমধ্যে দেশের ৪০টির অধিক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় প্রতিবছর এক হাজারের বেশি মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট পাস করে দেশের ওষুধশিল্পে কাজ করছেন। হাসপাতালে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট কাজ করছেন, কিন্তু পরিমান খুবই কম, আরো ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট দরকার। তাই অবিলম্বে হাসপাতালগুলোতে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে।

আশিকুজ্জামান আশিক

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই পরিচ্ছন্ন শৌচাগার

চিঠি : বায়ুদূষণ থেকে রাজধানীকে রক্ষা করুন

চিঠি : পর্যটনকেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

চিঠি : ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা

চিঠি : অনলাইন আসক্তি দূর করতে হবে

চিঠি : আত্মহত্যা সমাধান নয়

চিঠি : কারিগরি শিক্ষা

চিঠি : মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : ওজোন স্তর রক্ষা করতে হবে

চিঠি : শিক্ষকের মর্যাদা

চিঠি : আইএমএফের ঋণের প্রভাব

চিঠি : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা

চিঠি : কন্যাসন্তান বোঝা নয়, সম্পদ

চিঠি : স্ক্রিনই এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী

চিঠি : নিরাপদ সড়ক চাই

চিঠি : প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে

চিঠি : ঢাবির হলগুলো সংস্কার করা হোক

চিঠি : প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে

চিঠি : ইটভাটায় বিলীন হচ্ছে ফসলের জমি

চিঠি : গ্রামের দিকে নজর দিন

চিঠি : রংপুরের মডার্ন মোড়ের পাখির সৌন্দর্য

চিঠি : রাস্তাটি উঁচু করা প্রয়োজন

চিঠি : প্রসঙ্গ : গার্মেন্টস কারখানা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্বাস্থ্যসেবার মূল বিষয় ‘রোগ-ওষুধতত্ত্ব’, অর্থাৎ রোগ হলে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ রোগেরই প্রতিকার হিসেবে আমরা কোনো না কোনো ওষুধ গ্রহণ করি। ওষুধ গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় এসেছে নানান পরিবর্তন।

ধীরে ধীরে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রণিক ডিজিজের প্রকোপ, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, জীবনধারার পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে মানুষের ওষুধ গ্রহণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার ফলে টাক মাথা, স্কিনের সতেজতা রক্ষাকারী, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি পেশায় পরিবর্তন এসেছে। ফলে বিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসক মূলত রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে গেছেন।

ওষুধ তৈরির দায়িত্ব চলে এসেছে ফার্মাসিস্টদের কাছে; কিন্তু উক্ত সময়ের পর বাজারে ওষুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিটি রোগের আলাদা আলাদা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে ফার্মাসিস্টরা শুধু ওষুধ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসেবায় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করার প্রয়াস শুরু হয়ে গেছে। ফলে এখন হেলথকেয়ারের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল কেয়ার নামক শব্দটি স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সংযোগ ঘটানোর সর্বোত্তম মাধ্যম হলেন একজন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট। বিশেষ করে চিকিৎসক প্রদত্ত প্রেসক্রিপশন (চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্র) অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণে রোগীকে সহায়তার মূল কাজটি একজন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট করে থাকেন। ফলে রোগী প্রেসক্রিপশন পাওয়ার পর থেকে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের কাছে ওষুধবিষয়ক সমস্যার সঠিক নির্দেশনা পেতে পারেন।

ইতোমধ্যে দেশের ৪০টির অধিক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় প্রতিবছর এক হাজারের বেশি মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট পাস করে দেশের ওষুধশিল্পে কাজ করছেন। হাসপাতালে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট কাজ করছেন, কিন্তু পরিমান খুবই কম, আরো ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট দরকার। তাই অবিলম্বে হাসপাতালগুলোতে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে।

আশিকুজ্জামান আশিক

back to top