মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা প্রয়োজন। মা-বাবার মাধ্যমে আমরা দৈহিক জন্ম লাভ করি। আর শিক্ষা জন্ম দেয় আমাদের মনুষ্যত্বের। যার কারণে আমরা অন্যান্য প্রাণী থেকে পৃথক। এই শিক্ষা দানের কাজটা যিনি করেন তিনিই হলেন শিক্ষক। শিক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই দুটি বিষয় ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
শিক্ষক আমাদের অন্তর নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তোলেন। একজন আদর্শ শিক্ষক শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, শিক্ষার্থীকে জ্ঞানের অপরাপর পরিধির সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে দেন। শিক্ষার্থীর মাঝে জ্ঞান পিপাসা সৃষ্টি করাই শিক্ষকের প্রধান কাজ। একজন প্রাজ্ঞ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শিক্ষক সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আদর্শ শিক্ষকই শুধু আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করতে পারেন।
আগে শিক্ষাকদের সম্মান ছিল সবার উপরে। শিক্ষকের সামনে শ্রদ্ধা আর ভয়ে ছাত্ররা মাথা নিচু করে থাকতো। শিক্ষকদের সঙ্গে যেন সামান্যও বেয়াদবি না হয় অভিভাবকরা সন্তানদের তা শিখিয়ে দিতেন। কাজী কাদের নেয়াজের ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতাটি যেন এখন রূপকথার গল্পের মতো। সেখানে দিল্লির বাদশাহ হয়েও শিক্ষকে তার যথাযথ মর্যাদা দিতে ভুলেননি। শিক্ষককে চরম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সেই বন্ধন ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একজন শিক্ষক যাতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে সেজন্য শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ও পদমর্যাদা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত দেশগুলোতে তাই বেতন ও সামাজিক অবস্থানে শিক্ষককে অনেক উপরে রাখা হয়।
জহুরা শিকদার
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা প্রয়োজন। মা-বাবার মাধ্যমে আমরা দৈহিক জন্ম লাভ করি। আর শিক্ষা জন্ম দেয় আমাদের মনুষ্যত্বের। যার কারণে আমরা অন্যান্য প্রাণী থেকে পৃথক। এই শিক্ষা দানের কাজটা যিনি করেন তিনিই হলেন শিক্ষক। শিক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই দুটি বিষয় ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
শিক্ষক আমাদের অন্তর নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তোলেন। একজন আদর্শ শিক্ষক শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, শিক্ষার্থীকে জ্ঞানের অপরাপর পরিধির সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে দেন। শিক্ষার্থীর মাঝে জ্ঞান পিপাসা সৃষ্টি করাই শিক্ষকের প্রধান কাজ। একজন প্রাজ্ঞ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শিক্ষক সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আদর্শ শিক্ষকই শুধু আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করতে পারেন।
আগে শিক্ষাকদের সম্মান ছিল সবার উপরে। শিক্ষকের সামনে শ্রদ্ধা আর ভয়ে ছাত্ররা মাথা নিচু করে থাকতো। শিক্ষকদের সঙ্গে যেন সামান্যও বেয়াদবি না হয় অভিভাবকরা সন্তানদের তা শিখিয়ে দিতেন। কাজী কাদের নেয়াজের ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতাটি যেন এখন রূপকথার গল্পের মতো। সেখানে দিল্লির বাদশাহ হয়েও শিক্ষকে তার যথাযথ মর্যাদা দিতে ভুলেননি। শিক্ষককে চরম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সেই বন্ধন ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একজন শিক্ষক যাতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে সেজন্য শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ও পদমর্যাদা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত দেশগুলোতে তাই বেতন ও সামাজিক অবস্থানে শিক্ষককে অনেক উপরে রাখা হয়।
জহুরা শিকদার