alt

চিঠিপত্র

চিঠি : রংপুরের মডার্ন মোড়ের পাখির সৌন্দর্য

: শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রংপুরের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়। এখানে এখানকার একটি কৃষ্ণচূড়া গাছে একত্রে বাস করছে হাজার হাজার চড়ুই পাখি। কী এক মনমুগ্ধকর সৌন্দর্যের দৃশ্য পথিকদের কাছে। প্রতি সন্ধ্যা-সকালে পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দে আনন্দে আপ্লুত হয় পথিকদের ক্লান্ত মন।

সন্ধ্যা হলেই পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দ শুনে ও সৌন্দর্য দেখে হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় পথিকরা। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে গাছের দিকে। কৃষ্ণচূড়ায় যেন পাখির মেলা বসেছে। পাখিগুলো দেখে মনে হয় কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে যেন থোকায় থোকায় ফল এসেছে। এমন দৃশ্য ধরে রাখার জন্য ছবি না তুলে আর থাকতে পারে না পথিকরা। ক্যামেরা কিংবা মোবাইলের ফ্রেমবন্দী করে রাখতে দেরি করেন না তারা।

প্রতিদিন যখন পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠে। দিনের আলো ফোটে। ঠিক তখনই চড়ুই পাখিগুলো কিচিরমিচির শব্দে গান করতে করতে খাবার সন্ধানে ছুটতে থাকে। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় উড়ে উড়ে হাজারো বিপদকে অতিক্রান্ত করে খাবার সংগ্রহ করতে থাকে। অনেক পাখি মাইলের পর মাইল ছুটে চলে খাবারের সন্ধানে। খাবার শেষে গোধূলিলগ্নে একে একে ছুটে আসে নিরাপদ আশ্রয়ে। কিচিরমিচির শব্দে চড়ুই পাখিগুলো এক ডাল থেকে অন্য ডালে উড়ে বসে। যেন তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। দেখে মনে হয় যেন তারা সুখ-দুঃখের গল্প করছে একে অপরের সঙ্গে।

চড়ুই পাখি দেশের সর্বত্র দেখা যায়। কিন্তু রংপুরের মডার্ন মোড়ের কৃষ্ণচূড়া গাছে বসবাস করা চড়–ই পাখির দৃশ্য নতুন অভিজ্ঞতা। প্রায় ৫-৬ হাজার চড়ুই পাখির বসবাস। হঠাৎ করে হাজারো চড়ুই পাখি দেখে মনে হবে এগুলো পাখি নাকি অন্য কিছু। কারণ ডালে ডালে এত বেশি পাখি, যা সত্যিই অবাক করার মতো। এই সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা পথিকরা।

শহর থেকে চড়ুই পাখি বিলুপ্তির কারণে বাসার জানালা বা ছাদগুলোতে চড়ুই পাখির ডাকাডাকির মতো দৃশ্য খুব শিগগিরই অপরিচিত হয়ে উঠবে। কেননা কংক্রিটের এই জঙ্গল থেকে চড়ুই খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া গাছের পরিমাণ ব্যাপকমাত্রায় হ্রাস পাওয়া, বাসা তৈরির উপযোগী পরিবেশের অভাব, দেশীয় গাছের অনুপস্থিতি, ঝোঁপ-জঙ্গলের অভাব, আধুনিক সুপার শপ, শিকারির পরিমাণ বেশি এবং কুসংস্কারের কারণে চড়ুই পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বিশ্বাস করে যে চড়ুই পাখির মাংস যৌন উদ্দীপক। এই কুসংস্কারের কারণে মানুষও চড়ুই পাখি শিকার করে। এটি চড়ুই পাখিকে আরও বেশি হুমকি মুখে ঠেলে দিয়েছে।

চড়ুইয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার জন্য এককভাবে কোনো একটি কারণ দায়ী নয়, বরং মানুষের কর্মকান্ডের দায় সবচেয়ে বেশি। তাই রঙিন চশমা পরে ভিন্ন জগতের স্বপ্ন না দেখে এ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে ‘সমস্যাটির সুরাহার’ উদ্যোগ নেয়া দরকার।

আনোয়ার হোসেন

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : রংপুরের মডার্ন মোড়ের পাখির সৌন্দর্য

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

রংপুরের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়। এখানে এখানকার একটি কৃষ্ণচূড়া গাছে একত্রে বাস করছে হাজার হাজার চড়ুই পাখি। কী এক মনমুগ্ধকর সৌন্দর্যের দৃশ্য পথিকদের কাছে। প্রতি সন্ধ্যা-সকালে পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দে আনন্দে আপ্লুত হয় পথিকদের ক্লান্ত মন।

সন্ধ্যা হলেই পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দ শুনে ও সৌন্দর্য দেখে হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় পথিকরা। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে গাছের দিকে। কৃষ্ণচূড়ায় যেন পাখির মেলা বসেছে। পাখিগুলো দেখে মনে হয় কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে যেন থোকায় থোকায় ফল এসেছে। এমন দৃশ্য ধরে রাখার জন্য ছবি না তুলে আর থাকতে পারে না পথিকরা। ক্যামেরা কিংবা মোবাইলের ফ্রেমবন্দী করে রাখতে দেরি করেন না তারা।

প্রতিদিন যখন পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠে। দিনের আলো ফোটে। ঠিক তখনই চড়ুই পাখিগুলো কিচিরমিচির শব্দে গান করতে করতে খাবার সন্ধানে ছুটতে থাকে। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় উড়ে উড়ে হাজারো বিপদকে অতিক্রান্ত করে খাবার সংগ্রহ করতে থাকে। অনেক পাখি মাইলের পর মাইল ছুটে চলে খাবারের সন্ধানে। খাবার শেষে গোধূলিলগ্নে একে একে ছুটে আসে নিরাপদ আশ্রয়ে। কিচিরমিচির শব্দে চড়ুই পাখিগুলো এক ডাল থেকে অন্য ডালে উড়ে বসে। যেন তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। দেখে মনে হয় যেন তারা সুখ-দুঃখের গল্প করছে একে অপরের সঙ্গে।

চড়ুই পাখি দেশের সর্বত্র দেখা যায়। কিন্তু রংপুরের মডার্ন মোড়ের কৃষ্ণচূড়া গাছে বসবাস করা চড়–ই পাখির দৃশ্য নতুন অভিজ্ঞতা। প্রায় ৫-৬ হাজার চড়ুই পাখির বসবাস। হঠাৎ করে হাজারো চড়ুই পাখি দেখে মনে হবে এগুলো পাখি নাকি অন্য কিছু। কারণ ডালে ডালে এত বেশি পাখি, যা সত্যিই অবাক করার মতো। এই সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা পথিকরা।

শহর থেকে চড়ুই পাখি বিলুপ্তির কারণে বাসার জানালা বা ছাদগুলোতে চড়ুই পাখির ডাকাডাকির মতো দৃশ্য খুব শিগগিরই অপরিচিত হয়ে উঠবে। কেননা কংক্রিটের এই জঙ্গল থেকে চড়ুই খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া গাছের পরিমাণ ব্যাপকমাত্রায় হ্রাস পাওয়া, বাসা তৈরির উপযোগী পরিবেশের অভাব, দেশীয় গাছের অনুপস্থিতি, ঝোঁপ-জঙ্গলের অভাব, আধুনিক সুপার শপ, শিকারির পরিমাণ বেশি এবং কুসংস্কারের কারণে চড়ুই পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বিশ্বাস করে যে চড়ুই পাখির মাংস যৌন উদ্দীপক। এই কুসংস্কারের কারণে মানুষও চড়ুই পাখি শিকার করে। এটি চড়ুই পাখিকে আরও বেশি হুমকি মুখে ঠেলে দিয়েছে।

চড়ুইয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার জন্য এককভাবে কোনো একটি কারণ দায়ী নয়, বরং মানুষের কর্মকান্ডের দায় সবচেয়ে বেশি। তাই রঙিন চশমা পরে ভিন্ন জগতের স্বপ্ন না দেখে এ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে ‘সমস্যাটির সুরাহার’ উদ্যোগ নেয়া দরকার।

আনোয়ার হোসেন

back to top