মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
কন্যা সন্তানদের লেখাপড়া ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বহু পরিবার রয়েছে। আবার অনেক পরিবারই আছে, যেখানে পুত্রদের চেয়ে কন্যারা বেশি কর্মঠ। তারা পিতা মাতার সেবা যত্ম বেশি করে। স্বাবলম্বি পুত্র তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালেও, কন্যা সন্তানও যদি স্বাবলম্বী না হয়ে থাকে, সে কখনো তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। দেশে মাঝে মাঝেই সন্তান কর্তৃক বৃদ্ধ পিতা মাতাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতায় প্রচলিত যে, মেয়েরা স্বামীর পরিবারের চেয়েও বেশি খোজ-খবর নেন নিজের পিতা মাতা ও নিজ পরিবারের। এ নিয়ে বহু পরিবারে সাময়িক ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলেও একটি মেয়েই তার পিতা-মাতাকে বেশি ভালোবাসেন, সেটাও প্রমাণ হয় নিঃসন্দেহে।
একজন মানুষ মৃত্যুর পরও মানুষের মনে বেঁচে থাকে তার কর্মে, পুত্র সন্তানের মাধ্যমে নয়। এমনও বহু ব্যক্তি আছে, যারা নিজেদের মহান কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে রয়ে গেছেন। পুত্রের মাধ্যমে বংশ পরিচয় টিকে থাকে এ ধারণা শুধুই ভুল ও পুরনো ধ্যানধারণার অংশ মাত্র। বাস্তবে সুসন্তানই একজন পিতার জন্য অহংকারের বিষয়, সে হোক পুত্র কিংবা কন্যা।
একজন শিক্ষিত, আদর্শবান ও সফল নারী স্বামীর গৃহে বসবাস করলেও তার পিতার পরিচয় স্বগৌরবে বহন করেন যুগের পর যুগ ধরে। কাজেই পুত্র কিংবা কন্যাসন্তান নয়, সুসন্তানই পিতা-মাতার জন্য বড় সম্পদ ও গৌরবের। মেয়েরাও লেখাপড়া করে পরিবারের হাল ধরতে পারে। সংসারী হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। এ চিরন্তন সত্যটিকে ধারণ করে সর্বক্ষেত্রে সবসময় ছেলে-মেয়ে উভয়কেই সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
জুবায়ের আহমেদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
কন্যা সন্তানদের লেখাপড়া ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বহু পরিবার রয়েছে। আবার অনেক পরিবারই আছে, যেখানে পুত্রদের চেয়ে কন্যারা বেশি কর্মঠ। তারা পিতা মাতার সেবা যত্ম বেশি করে। স্বাবলম্বি পুত্র তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালেও, কন্যা সন্তানও যদি স্বাবলম্বী না হয়ে থাকে, সে কখনো তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। দেশে মাঝে মাঝেই সন্তান কর্তৃক বৃদ্ধ পিতা মাতাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতায় প্রচলিত যে, মেয়েরা স্বামীর পরিবারের চেয়েও বেশি খোজ-খবর নেন নিজের পিতা মাতা ও নিজ পরিবারের। এ নিয়ে বহু পরিবারে সাময়িক ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলেও একটি মেয়েই তার পিতা-মাতাকে বেশি ভালোবাসেন, সেটাও প্রমাণ হয় নিঃসন্দেহে।
একজন মানুষ মৃত্যুর পরও মানুষের মনে বেঁচে থাকে তার কর্মে, পুত্র সন্তানের মাধ্যমে নয়। এমনও বহু ব্যক্তি আছে, যারা নিজেদের মহান কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে রয়ে গেছেন। পুত্রের মাধ্যমে বংশ পরিচয় টিকে থাকে এ ধারণা শুধুই ভুল ও পুরনো ধ্যানধারণার অংশ মাত্র। বাস্তবে সুসন্তানই একজন পিতার জন্য অহংকারের বিষয়, সে হোক পুত্র কিংবা কন্যা।
একজন শিক্ষিত, আদর্শবান ও সফল নারী স্বামীর গৃহে বসবাস করলেও তার পিতার পরিচয় স্বগৌরবে বহন করেন যুগের পর যুগ ধরে। কাজেই পুত্র কিংবা কন্যাসন্তান নয়, সুসন্তানই পিতা-মাতার জন্য বড় সম্পদ ও গৌরবের। মেয়েরাও লেখাপড়া করে পরিবারের হাল ধরতে পারে। সংসারী হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। এ চিরন্তন সত্যটিকে ধারণ করে সর্বক্ষেত্রে সবসময় ছেলে-মেয়ে উভয়কেই সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
জুবায়ের আহমেদ