alt

চিঠিপত্র

চিঠি : কন্যাসন্তান বোঝা নয়, সম্পদ

: শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কন্যা সন্তানদের লেখাপড়া ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বহু পরিবার রয়েছে। আবার অনেক পরিবারই আছে, যেখানে পুত্রদের চেয়ে কন্যারা বেশি কর্মঠ। তারা পিতা মাতার সেবা যত্ম বেশি করে। স্বাবলম্বি পুত্র তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালেও, কন্যা সন্তানও যদি স্বাবলম্বী না হয়ে থাকে, সে কখনো তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। দেশে মাঝে মাঝেই সন্তান কর্তৃক বৃদ্ধ পিতা মাতাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতায় প্রচলিত যে, মেয়েরা স্বামীর পরিবারের চেয়েও বেশি খোজ-খবর নেন নিজের পিতা মাতা ও নিজ পরিবারের। এ নিয়ে বহু পরিবারে সাময়িক ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলেও একটি মেয়েই তার পিতা-মাতাকে বেশি ভালোবাসেন, সেটাও প্রমাণ হয় নিঃসন্দেহে।

একজন মানুষ মৃত্যুর পরও মানুষের মনে বেঁচে থাকে তার কর্মে, পুত্র সন্তানের মাধ্যমে নয়। এমনও বহু ব্যক্তি আছে, যারা নিজেদের মহান কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে রয়ে গেছেন। পুত্রের মাধ্যমে বংশ পরিচয় টিকে থাকে এ ধারণা শুধুই ভুল ও পুরনো ধ্যানধারণার অংশ মাত্র। বাস্তবে সুসন্তানই একজন পিতার জন্য অহংকারের বিষয়, সে হোক পুত্র কিংবা কন্যা।

একজন শিক্ষিত, আদর্শবান ও সফল নারী স্বামীর গৃহে বসবাস করলেও তার পিতার পরিচয় স্বগৌরবে বহন করেন যুগের পর যুগ ধরে। কাজেই পুত্র কিংবা কন্যাসন্তান নয়, সুসন্তানই পিতা-মাতার জন্য বড় সম্পদ ও গৌরবের। মেয়েরাও লেখাপড়া করে পরিবারের হাল ধরতে পারে। সংসারী হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। এ চিরন্তন সত্যটিকে ধারণ করে সর্বক্ষেত্রে সবসময় ছেলে-মেয়ে উভয়কেই সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

জুবায়ের আহমেদ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : কন্যাসন্তান বোঝা নয়, সম্পদ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

কন্যা সন্তানদের লেখাপড়া ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বহু পরিবার রয়েছে। আবার অনেক পরিবারই আছে, যেখানে পুত্রদের চেয়ে কন্যারা বেশি কর্মঠ। তারা পিতা মাতার সেবা যত্ম বেশি করে। স্বাবলম্বি পুত্র তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালেও, কন্যা সন্তানও যদি স্বাবলম্বী না হয়ে থাকে, সে কখনো তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। দেশে মাঝে মাঝেই সন্তান কর্তৃক বৃদ্ধ পিতা মাতাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতায় প্রচলিত যে, মেয়েরা স্বামীর পরিবারের চেয়েও বেশি খোজ-খবর নেন নিজের পিতা মাতা ও নিজ পরিবারের। এ নিয়ে বহু পরিবারে সাময়িক ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলেও একটি মেয়েই তার পিতা-মাতাকে বেশি ভালোবাসেন, সেটাও প্রমাণ হয় নিঃসন্দেহে।

একজন মানুষ মৃত্যুর পরও মানুষের মনে বেঁচে থাকে তার কর্মে, পুত্র সন্তানের মাধ্যমে নয়। এমনও বহু ব্যক্তি আছে, যারা নিজেদের মহান কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে রয়ে গেছেন। পুত্রের মাধ্যমে বংশ পরিচয় টিকে থাকে এ ধারণা শুধুই ভুল ও পুরনো ধ্যানধারণার অংশ মাত্র। বাস্তবে সুসন্তানই একজন পিতার জন্য অহংকারের বিষয়, সে হোক পুত্র কিংবা কন্যা।

একজন শিক্ষিত, আদর্শবান ও সফল নারী স্বামীর গৃহে বসবাস করলেও তার পিতার পরিচয় স্বগৌরবে বহন করেন যুগের পর যুগ ধরে। কাজেই পুত্র কিংবা কন্যাসন্তান নয়, সুসন্তানই পিতা-মাতার জন্য বড় সম্পদ ও গৌরবের। মেয়েরাও লেখাপড়া করে পরিবারের হাল ধরতে পারে। সংসারী হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। এ চিরন্তন সত্যটিকে ধারণ করে সর্বক্ষেত্রে সবসময় ছেলে-মেয়ে উভয়কেই সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

জুবায়ের আহমেদ

back to top