মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
আইএমএফের ঋণের সুদের হার কম; কিন্তু তাদের শর্ত কঠিন। এসব শর্ত পূরণ করতে ঋতগ্রহীতা দেশগুলোকে মাশুল দিতে হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। সার্বিক অর্থনীতির চুলচেরা পর্যালোচনা করেই আইএমএফ ঋণ দিয়ে থাকে। এই মেসেজ বর্হিবিশ্বে গেলে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলো আইএমএফের মূল্যায়নকে আমলে নিয়ে থাকে, ফলে ঋণ পাওয়া সহজ হবে। বিদেশি ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট সংস্থা থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিতে আইএমএফের মূল্যায়ন ইতিবাচক হবে। চাপে পড়ে ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার বাস্তবায়নের ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
আইএমএফের ঋণ নেয়ার মানেই দেশটি সংকটে আছে- এমন বার্তা যায় বিদেশে। অনেকে এটিকে মন্দা মোকাবিলার জন্য বেলআউট প্রোগ্রাম হিসাবে গণ্য করে। সাত কিস্তির মধ্যে প্রতি কিস্তিতে গড়ে ৬৪ ডলার মিলবে। দেশের আমদানি ব্যয় মাসে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি। ফলে এ ঋণ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবিলায় কোন ভূমিকা রাখবে না।
আইএমএফের ঋণের সুদের হার দেড় শতাংশের মধ্যে থাকে। এবার ঋণের সুদ ২ শতাংশ ওপরে, যা অনেক বেশি। ঋণের শর্তে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে। আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে হবে। এতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
আইএমএফের ঋণের সুদের হার কম; কিন্তু তাদের শর্ত কঠিন। এসব শর্ত পূরণ করতে ঋতগ্রহীতা দেশগুলোকে মাশুল দিতে হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। সার্বিক অর্থনীতির চুলচেরা পর্যালোচনা করেই আইএমএফ ঋণ দিয়ে থাকে। এই মেসেজ বর্হিবিশ্বে গেলে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলো আইএমএফের মূল্যায়নকে আমলে নিয়ে থাকে, ফলে ঋণ পাওয়া সহজ হবে। বিদেশি ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট সংস্থা থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিতে আইএমএফের মূল্যায়ন ইতিবাচক হবে। চাপে পড়ে ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার বাস্তবায়নের ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
আইএমএফের ঋণ নেয়ার মানেই দেশটি সংকটে আছে- এমন বার্তা যায় বিদেশে। অনেকে এটিকে মন্দা মোকাবিলার জন্য বেলআউট প্রোগ্রাম হিসাবে গণ্য করে। সাত কিস্তির মধ্যে প্রতি কিস্তিতে গড়ে ৬৪ ডলার মিলবে। দেশের আমদানি ব্যয় মাসে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি। ফলে এ ঋণ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবিলায় কোন ভূমিকা রাখবে না।
আইএমএফের ঋণের সুদের হার দেড় শতাংশের মধ্যে থাকে। এবার ঋণের সুদ ২ শতাংশ ওপরে, যা অনেক বেশি। ঋণের শর্তে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে। আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে হবে। এতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ