alt

চিঠিপত্র

চিঠি : কারিগরি শিক্ষা

: শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া দরকার। যদি কারিগরি শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সাজানো হয়, তবে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব হবে। বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারের বিবেচনা করা উচিৎ। এ লক্ষ্যে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য আগামী বছর অষ্টম শ্রেণী থেকে বাধ্যতামূলক কারিগরি শিক্ষা চালু করতে যাচ্ছে সরকার।

কারিগরি শিক্ষা চালু হলে তা শিক্ষার্থীরা ধারণ করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তা গবেষণা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশে যে শিল্প-কারখানাগুলো রয়েছে সেগুলোর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে কী ধরনের কারিগরি শিক্ষার প্রচলন করা হলে তা শিল্পে প্রয়োগযোগ্য হবে সেটা জানতে হবে। যারা কারিগরি শিক্ষা প্রদান করবেন, তারা হাতে-কলমে এ শিক্ষা প্রদানে সক্ষম কিনা সেই বিষয়টিও ভাবতে হবে।

কৃষিনির্ভর কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে এর মাধ্যমে গবেষকদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারণার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব। এর ফলে কৃষিক্ষেত্র হতে পারে কর্মমুখী শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১০ বছরে শিল্পায়নে জিডিপির হার হবে ৩৫ শতাংশ। তবে যদি কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ও প্রয়োগ যথাযথভাবে ঘটানো যায় তবে তা এ হারকেও ছাড়িয়ে যাবে।

দেশে কারিগরি শিক্ষায় ইতিবাচক মনোভাব গড়ে না ওঠায়, এক্ষেত্রেও শ্রেণীগত নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা কারিগরি শিক্ষাকে সেভাবে গ্রহণ করছে না। সরকার কর্মমুখী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে ৫টি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পলিসি ও প্রজেক্ট ফর্মুলেশন টাস্কফোর্স, ইন্ডাস্ট্রি ও ইন্সটিটিউট লিংকেজ টাস্কফোর্স, টিভিইটি এনরোলমেন্ট টাস্কফোর্স, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট টাস্কফোর্স এবং জব মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট ও এমপ্লয়মেন্ট টাস্কফোর্স। যদি এ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করা যায়, তবে এ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মানুষের কল্পনাশক্তি তার কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়। কেন কারিগরি শিক্ষায় চিন্তা ও কল্পনাশক্তির কথা বলা হচ্ছে? কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে অনেক মানুষের একই ধরনের কারিগরি জ্ঞান গড়ে উঠবে, কিন্তু পার্থক্য থাকবে শুধু চিন্তা ও কল্পনাশক্তির ক্ষেত্রে। হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে যন্ত্রচালিত রোবট বানালে চলবে না, বরং কীভাবে সে কারিগরি জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে চিন্তার বৈচিত্র্য ঘটাতে পারে, সে বিষয়টিও ভাবতে হবে।

মনস্তত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়গুলো কি তাহলে থাকবে না? থাকবে। তবে এ বিষয়ে জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি জ্ঞানও থাকতে হবে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশের ১ শতাংশ লোক কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল। এখন তা ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজিয়ে যুগোপযোগী করে এর বাস্তববায়ন ঘটানো সম্ভব। আর সেটা সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

মিজানুর রহমান মিজান

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : কারিগরি শিক্ষা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া দরকার। যদি কারিগরি শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সাজানো হয়, তবে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব হবে। বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারের বিবেচনা করা উচিৎ। এ লক্ষ্যে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য আগামী বছর অষ্টম শ্রেণী থেকে বাধ্যতামূলক কারিগরি শিক্ষা চালু করতে যাচ্ছে সরকার।

কারিগরি শিক্ষা চালু হলে তা শিক্ষার্থীরা ধারণ করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তা গবেষণা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশে যে শিল্প-কারখানাগুলো রয়েছে সেগুলোর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে কী ধরনের কারিগরি শিক্ষার প্রচলন করা হলে তা শিল্পে প্রয়োগযোগ্য হবে সেটা জানতে হবে। যারা কারিগরি শিক্ষা প্রদান করবেন, তারা হাতে-কলমে এ শিক্ষা প্রদানে সক্ষম কিনা সেই বিষয়টিও ভাবতে হবে।

কৃষিনির্ভর কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে এর মাধ্যমে গবেষকদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারণার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব। এর ফলে কৃষিক্ষেত্র হতে পারে কর্মমুখী শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১০ বছরে শিল্পায়নে জিডিপির হার হবে ৩৫ শতাংশ। তবে যদি কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ও প্রয়োগ যথাযথভাবে ঘটানো যায় তবে তা এ হারকেও ছাড়িয়ে যাবে।

দেশে কারিগরি শিক্ষায় ইতিবাচক মনোভাব গড়ে না ওঠায়, এক্ষেত্রেও শ্রেণীগত নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা কারিগরি শিক্ষাকে সেভাবে গ্রহণ করছে না। সরকার কর্মমুখী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে ৫টি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পলিসি ও প্রজেক্ট ফর্মুলেশন টাস্কফোর্স, ইন্ডাস্ট্রি ও ইন্সটিটিউট লিংকেজ টাস্কফোর্স, টিভিইটি এনরোলমেন্ট টাস্কফোর্স, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট টাস্কফোর্স এবং জব মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট ও এমপ্লয়মেন্ট টাস্কফোর্স। যদি এ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করা যায়, তবে এ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মানুষের কল্পনাশক্তি তার কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়। কেন কারিগরি শিক্ষায় চিন্তা ও কল্পনাশক্তির কথা বলা হচ্ছে? কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে অনেক মানুষের একই ধরনের কারিগরি জ্ঞান গড়ে উঠবে, কিন্তু পার্থক্য থাকবে শুধু চিন্তা ও কল্পনাশক্তির ক্ষেত্রে। হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে যন্ত্রচালিত রোবট বানালে চলবে না, বরং কীভাবে সে কারিগরি জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে চিন্তার বৈচিত্র্য ঘটাতে পারে, সে বিষয়টিও ভাবতে হবে।

মনস্তত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়গুলো কি তাহলে থাকবে না? থাকবে। তবে এ বিষয়ে জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি জ্ঞানও থাকতে হবে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশের ১ শতাংশ লোক কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল। এখন তা ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজিয়ে যুগোপযোগী করে এর বাস্তববায়ন ঘটানো সম্ভব। আর সেটা সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

মিজানুর রহমান মিজান

back to top