alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অনলাইন আসক্তি দূর করতে হবে

: বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সমাজ এগিয়ে চলে যুব সমাজের কাঁধে ভর করে। যুবকরা সমাজের সবচেয়ে বেশি উদ্যমী আর কর্মঠ সদস্য। তবে এ যুবকরা যদি সমাজের কাঁধে চেপে বসে, তাহলে সেই সমাজ মুখথুবড়ে পড়তে বাধ্য।

আমাদের উন্নয়নশীল দেশকে পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হলে, যুবসমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে এই যুবসমাজেরই বড় একটা অংশ আসক্ত হয়ে পড়েছে অনলাইন জগতে। ফলে ধীরে ধীরে নিজেদের জ্ঞান এবং কর্মক্ষমতা লোপ পাচ্ছে।

মোবাইল ফোনের আসক্তি বেড়েছে যুবকদের মধ্যে। তাই জ্ঞান চর্চা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বইয়ের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হবে জ্ঞানপিপাসু, জ্ঞান অন্বেষণের জন্য মুক্ত? বিহঙ্গের মতো ছুটে বেড়াবে, নানা? রঙের নানা জ্ঞানের বই পাঠ করে নিজের মস্তিষ্ককে করবে আরও উর্বর, নিজেকে করবেন আরো সমৃদ্ধ। সেখানে তারা মোবাইলের টাচ স্ক্রিনে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে ফেলছেন। এই মোবাইল ফোন ও ডিভাইসের জালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও ব্যাপকভাবে আচ্ছন্ন।

বিটিআরসির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ১২ কোটি ৬১ লাখের বেশি। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ। দেশের বড় সংখ্যক শিশু-কিশোর এখন পাবজি, ফ্রি-ফায়ার, ক্লাস অব ক্লান, কমব্যাট স্ট্রাইক গো ইত্যাদি অনলাইন গেমে আসক্ত।

অপরদিকে ডিভাইসের এই আসক্তির প্রভাব গ্রাম, গঞ্জ, শহর, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই পড়েছে। বই থেকে তাদের চোখ সারাদিন ফোনেই কেটে যাচ্ছে। এভাবে ধীরে ধীরে যুবসমাজের একটা বড় অংশ নিজেদের তথা দেশের উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না। ফলে দেশের অর্থনৈতি ও শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সর্বোপরি মাদকের কারণে দেশ ও সমাজের তৈরি হচ্ছে অস্থিতিশীলতা, নষ্ট হচ্ছে ভারসাম্য। এ সংকটাপন্ন যুবসমাজকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে দেশের সরকার ও সুশীল সমাজকে।

সরকারি অনুদানে অন্ততপক্ষে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একটি করে পাবলিক লাইব্রেরি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানের পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে সামাজিক সচেতনতা, করতে হবে নিয়মিত সচেতনামূলক সভা-সমাবেশ। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সুশীল সমাজেকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু হওয়া উচিত একজন ব্যক্তির শৈশব থেকেই। এই ক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষকদের ভূমিকাই মুখ্য। প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব সন্তানকে শৈশবে থেকেই স্ব-স্ব ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা, সমাজের আচার ব্যবহার ও রীতিনীতি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া। যাতে তার মধ্যে নৈতিকতা জাগ্রত হয় সৃষ্টি হয় পরিমিতি বোধ। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের দায়িত্ব ডিভাইসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানদানের মাধ্যমে তাদের আরো সমৃদ্ধ এবং প্রোডাক্টিভ করে তোলা।

রবিউল আওয়াল পারভেজ

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

পাঠ্যবই খোলাবাজারে কেন?

বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক : একটি অদৃশ্য প্রভাবের রাজনীতি

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

নারী ফুটবল ও সামাজিক সংকীর্ণতা

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

জলাশয় রক্ষা করুন

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খালপাড় সড়কটি সংস্কার করুন

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

নদী বাঁচলে , বাঁচবে দেশ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

শীতের সবজি সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

বিনোদপুর বাজারে ব্যানার অপসারণের দাবি

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

ঢাকা কলেজের শৌচাগারের বেহাল দশা

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো সময়ের দাবি

হোসেনপুর টু টোক সড়কের বেহাল অবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অনলাইন আসক্তি দূর করতে হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩

সমাজ এগিয়ে চলে যুব সমাজের কাঁধে ভর করে। যুবকরা সমাজের সবচেয়ে বেশি উদ্যমী আর কর্মঠ সদস্য। তবে এ যুবকরা যদি সমাজের কাঁধে চেপে বসে, তাহলে সেই সমাজ মুখথুবড়ে পড়তে বাধ্য।

আমাদের উন্নয়নশীল দেশকে পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হলে, যুবসমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে এই যুবসমাজেরই বড় একটা অংশ আসক্ত হয়ে পড়েছে অনলাইন জগতে। ফলে ধীরে ধীরে নিজেদের জ্ঞান এবং কর্মক্ষমতা লোপ পাচ্ছে।

মোবাইল ফোনের আসক্তি বেড়েছে যুবকদের মধ্যে। তাই জ্ঞান চর্চা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বইয়ের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হবে জ্ঞানপিপাসু, জ্ঞান অন্বেষণের জন্য মুক্ত? বিহঙ্গের মতো ছুটে বেড়াবে, নানা? রঙের নানা জ্ঞানের বই পাঠ করে নিজের মস্তিষ্ককে করবে আরও উর্বর, নিজেকে করবেন আরো সমৃদ্ধ। সেখানে তারা মোবাইলের টাচ স্ক্রিনে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে ফেলছেন। এই মোবাইল ফোন ও ডিভাইসের জালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও ব্যাপকভাবে আচ্ছন্ন।

বিটিআরসির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ১২ কোটি ৬১ লাখের বেশি। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ। দেশের বড় সংখ্যক শিশু-কিশোর এখন পাবজি, ফ্রি-ফায়ার, ক্লাস অব ক্লান, কমব্যাট স্ট্রাইক গো ইত্যাদি অনলাইন গেমে আসক্ত।

অপরদিকে ডিভাইসের এই আসক্তির প্রভাব গ্রাম, গঞ্জ, শহর, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই পড়েছে। বই থেকে তাদের চোখ সারাদিন ফোনেই কেটে যাচ্ছে। এভাবে ধীরে ধীরে যুবসমাজের একটা বড় অংশ নিজেদের তথা দেশের উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না। ফলে দেশের অর্থনৈতি ও শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সর্বোপরি মাদকের কারণে দেশ ও সমাজের তৈরি হচ্ছে অস্থিতিশীলতা, নষ্ট হচ্ছে ভারসাম্য। এ সংকটাপন্ন যুবসমাজকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে দেশের সরকার ও সুশীল সমাজকে।

সরকারি অনুদানে অন্ততপক্ষে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একটি করে পাবলিক লাইব্রেরি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানের পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে সামাজিক সচেতনতা, করতে হবে নিয়মিত সচেতনামূলক সভা-সমাবেশ। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সুশীল সমাজেকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

জ্ঞানসমৃদ্ধ মানুষ ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু হওয়া উচিত একজন ব্যক্তির শৈশব থেকেই। এই ক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষকদের ভূমিকাই মুখ্য। প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব সন্তানকে শৈশবে থেকেই স্ব-স্ব ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা, সমাজের আচার ব্যবহার ও রীতিনীতি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া। যাতে তার মধ্যে নৈতিকতা জাগ্রত হয় সৃষ্টি হয় পরিমিতি বোধ। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের দায়িত্ব ডিভাইসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানদানের মাধ্যমে তাদের আরো সমৃদ্ধ এবং প্রোডাক্টিভ করে তোলা।

রবিউল আওয়াল পারভেজ

back to top