alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা প্রসঙ্গে

: বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা প্রসঙ্গে

সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে জনগণকে প্রতিনিয়ত পদে পদে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে নির্বাচনের সময় আসলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়। সরকারের সব সিদ্ধান্ত সচিবালয়ের আমলাগণ ও মাঠ পর্যায়ের আমলাদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। সরকারি সকল কর্মজীবীরা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে রুটিন ওয়ার্কের বাহিরে কোন কাজ করতে চান না। তাদের মন মানসিকতা এমন অবস্থায় দাড়িয়েছে যে সরকার বদল হলে তাদের কিছু আসে যায় না। বেতন-ভাতা এক পয়সা কমবে না। কোন কাজে সাধারণ জনগণ গেলে তাদের দিনের পর দিন মাসের মাসের পর হয়রানি করা হয় বেশী টাকা উৎকোচ নেওয়ার জন্য। এর খেসারত নির্বাচনের সময় সরকারকে দিতে হয়।

কোন সরকারি কর্মজীবীর ওপর মামলা দিতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করা, ঘুষদাতার সঙ্গে গ্রহীতা উভয় অপরাধী, এ আইনের কারণে ঘুষগ্রহীতাকে ঘুষদাতা ঘুষ দিয়ে ভয়ে ঘুষের বিষয়টি গোপণ রাখতে বাধ্য হছে। এতে ঘোষখোরদের সোনায় সোহাগা হয়েছে। এসকল আইন সরকারি কর্মজীবীরদের অনুকূলে, সরকার জনগণের প্রতিকূলে গেছে। যার ফলে দুদকের সামান্য জনবল দিয়ে ও কঠোর অভিযানে বিন্দূমাত্র দুর্নীতি কমেনি। সরকারি কর্মজীবীরা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নকে উপেক্ষা করে যেখানে টাকা বেশী রোজগার হয় সে কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ সব কারণে সরকার পরিচালনায় ব্যবস্থাপনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গত বৎসর ভারতে বন্যায় পিয়াজের ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণকে ১৫/২০টাকা দামের পিয়াজ ২৫০ টাকা দামে কিনতে হয়েছে। ভারতের পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির সংকেত বন্যায় তিন মাসে আগে পাওয়া গিয়াছিল। কারণ ভারতের পিয়াজের উপর বাংলাদেশ অনেকাংশে নির্ভরশীল। এ কথা চিন্তা করার সময় সরকারের দায়িত্বশীল মহলে কাহার ও ছিল না। সময় মতো আগাম ব্যবস্থা নিলে ১০০ টাকার মধ্যে পিয়াজের দাম রাখা সম্ভব হতো। এর খেসারত দিতে হয়েছে দেশের সিংহভাগ দরিদ্র জনসাধারণকে।

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এদের মধ্যে সম্বনয়হীনতার কারণে করোনার সামাজিক সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চিকিৎসা সেবা সংকটের মধ্যে পড়ে। এতে অনেক রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। করোনা সন্দেহ করে সাধারণ রোগীদের ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারের চিকিৎসা ও প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে জরুরী রোগীদের সেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ রোগী চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন অতিবাহিত করে। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। এর আশু সমাধান অপরিহার্য। এখন প্রতিকারের বিষয় আলোচনা করব। সরকারের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর, সচিবালয়ের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে মন্ত্রীগণ সভা করে দিন, তারিখ, সময় নির্দিষ্ট করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিবেন। সরকারের নির্দেশনা কোন জায়গায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, কোথায় নির্দেশনা বাস্তবায়নে ধীরগতি, কোন জায়গায় কাজ আটকা পড়ে আছে। যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক বিষয়টির সমস্যা চিহ্নিত করে জানাবেন। তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এটা সমাধান করতে না পারলে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এবাবে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি পাঠানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সকল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে মিটিং করে প্রতিটি স্তরের প্রধান কর্মকর্তার সময়সীমা পৃথক পৃথক ভাবে নির্ধারণ করে দিবেন যাতে ব্যর্থতার দায় একে অপরের উপর চাপিয়ে না দিতে পারে। সরকার একটি গাইড লাইন তৈরি করে টপ টু বটম মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের মাঠ প্রশাসনের উপজেলা পর্যায়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল ক্যাডারের প্রধান কর্মকর্তাকে দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে সব কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি স্তরের প্রধান কর্মকর্তা প্রত্যেককে পৃথক পৃথকভাবে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিবেন। এ ব্যবস্থায় সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারী কর্মকর্তাকে অতি সহজে শনাক্ত করে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মেধা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা যাচাই করে পদোন্নতি ইনক্রিমেন্ট প্রণোদনা ইত্যাদি প্রকৃত সফল কর্মকর্তাগণকে সনাক্ত করে দেওয়ার প্রক্রিয়া, প্রশাসনের কাজে গতিশীতলতা ফিরে আসা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রক্রিয়া ইত্যাদির কাজে এ সব পদক্ষেপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় যে কোন জাতীয় দুর্যোগ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত সকল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাদযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের মাধ্যমে সার্বিক বিষয় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশনা দিবেন। কোথা ও দুর্নীতি, কর্তব্য অবহেলা গাফিলতি ব্যর্থতার অভিযোগ পাওয়া গেলে এর জন্য দায়ী জড়িতদের বিভাগীয় শাস্তি ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নিতে হবে। স্বাধীনতার কয়েক যুগ অতিবাহিত হওয়ার পর সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণকে পুঁজি করে স্বার্থন্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করে অসংবিধানিকভাবে সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়,

সিলেট।

যুবাদের প্রয়োজন প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান

আমি একজন তরুণ, তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও যুবাদের সমস্যাগুলো একটু হলেও বুঝি। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, বিষয়টি আমরা প্রত্যেকে কোন না কোন শ্রেণীতে পড়ে এসেছি। আসলে শিক্ষিত হলেই কি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব? উত্তরটা যদি সরাসরি বলি তাহলে না-ই বলতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন উত্তর যদি না হয় তাহলে গত ১৫-১৬ বছর পড়াশোনা করে কি করলাম! তো এখন উত্তরটা তুলে ধরি, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ জনবল তৈরি হয় না এ যেন শুধু পড়ার জন্যই পড়া, কারিগরি শিক্ষার বড়ই অভাব।

কিন্তু অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে একজন শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা ও তার দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। কেননা তাদের চিন্তা ধারা এমন যে এই শিক্ষার্থী-ই আমাদের দেশকে একদিন নেতৃত্ব দিবে। যদি সে দক্ষ হয় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে আর অধ্যক্ষ হলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে শিক্ষা একটা বাণিজ্য হিসেবে দেখা দিয়েছে এখানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় কিন্তু স্নাতক পাসের পর চাকরির জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়, বছরের পর বছর চাকরির আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। আর শিক্ষিত হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যেন কৃষিকাজ করতেই পারবে না, সমাজ তাকে হেয় চোখে দেখে। আমাদের স্বাধীনতার এতো বছর পরও কিছু ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারিনি। যুব সমাজের সদস্য হওয়ায় একটা জিনিস বুঝেছি বাঙালি যুবকদের অফুরন্ত সময়। সরকারি প্রশিক্ষণ এদের নাগালে পৌঁছায় না (যদিও দুই একটা হয় তবু নগণ্য)।

এদেশের যুবকরা মুখিয়ে আছে একটা সুযোগের অপেক্ষায়। যদি প্রত্যেকটা থানায় দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয় এবং সেটা যুবাদের কাজে লাগে সেই বিষয়টা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে এদেশের অদক্ষ ও সম্ভাবনাময়ী যুবারা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে একটু হলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।

মো. পারভেজ আমিন,

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা প্রসঙ্গে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০

সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা প্রসঙ্গে

সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে জনগণকে প্রতিনিয়ত পদে পদে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে নির্বাচনের সময় আসলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়। সরকারের সব সিদ্ধান্ত সচিবালয়ের আমলাগণ ও মাঠ পর্যায়ের আমলাদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। সরকারি সকল কর্মজীবীরা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে রুটিন ওয়ার্কের বাহিরে কোন কাজ করতে চান না। তাদের মন মানসিকতা এমন অবস্থায় দাড়িয়েছে যে সরকার বদল হলে তাদের কিছু আসে যায় না। বেতন-ভাতা এক পয়সা কমবে না। কোন কাজে সাধারণ জনগণ গেলে তাদের দিনের পর দিন মাসের মাসের পর হয়রানি করা হয় বেশী টাকা উৎকোচ নেওয়ার জন্য। এর খেসারত নির্বাচনের সময় সরকারকে দিতে হয়।

কোন সরকারি কর্মজীবীর ওপর মামলা দিতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করা, ঘুষদাতার সঙ্গে গ্রহীতা উভয় অপরাধী, এ আইনের কারণে ঘুষগ্রহীতাকে ঘুষদাতা ঘুষ দিয়ে ভয়ে ঘুষের বিষয়টি গোপণ রাখতে বাধ্য হছে। এতে ঘোষখোরদের সোনায় সোহাগা হয়েছে। এসকল আইন সরকারি কর্মজীবীরদের অনুকূলে, সরকার জনগণের প্রতিকূলে গেছে। যার ফলে দুদকের সামান্য জনবল দিয়ে ও কঠোর অভিযানে বিন্দূমাত্র দুর্নীতি কমেনি। সরকারি কর্মজীবীরা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নকে উপেক্ষা করে যেখানে টাকা বেশী রোজগার হয় সে কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ সব কারণে সরকার পরিচালনায় ব্যবস্থাপনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গত বৎসর ভারতে বন্যায় পিয়াজের ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণকে ১৫/২০টাকা দামের পিয়াজ ২৫০ টাকা দামে কিনতে হয়েছে। ভারতের পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির সংকেত বন্যায় তিন মাসে আগে পাওয়া গিয়াছিল। কারণ ভারতের পিয়াজের উপর বাংলাদেশ অনেকাংশে নির্ভরশীল। এ কথা চিন্তা করার সময় সরকারের দায়িত্বশীল মহলে কাহার ও ছিল না। সময় মতো আগাম ব্যবস্থা নিলে ১০০ টাকার মধ্যে পিয়াজের দাম রাখা সম্ভব হতো। এর খেসারত দিতে হয়েছে দেশের সিংহভাগ দরিদ্র জনসাধারণকে।

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এদের মধ্যে সম্বনয়হীনতার কারণে করোনার সামাজিক সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চিকিৎসা সেবা সংকটের মধ্যে পড়ে। এতে অনেক রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। করোনা সন্দেহ করে সাধারণ রোগীদের ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারের চিকিৎসা ও প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে জরুরী রোগীদের সেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ রোগী চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন অতিবাহিত করে। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। এর আশু সমাধান অপরিহার্য। এখন প্রতিকারের বিষয় আলোচনা করব। সরকারের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর, সচিবালয়ের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে মন্ত্রীগণ সভা করে দিন, তারিখ, সময় নির্দিষ্ট করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিবেন। সরকারের নির্দেশনা কোন জায়গায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, কোথায় নির্দেশনা বাস্তবায়নে ধীরগতি, কোন জায়গায় কাজ আটকা পড়ে আছে। যেখানে সমস্যা হচ্ছে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক বিষয়টির সমস্যা চিহ্নিত করে জানাবেন। তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এটা সমাধান করতে না পারলে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এবাবে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি পাঠানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সকল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে মিটিং করে প্রতিটি স্তরের প্রধান কর্মকর্তার সময়সীমা পৃথক পৃথক ভাবে নির্ধারণ করে দিবেন যাতে ব্যর্থতার দায় একে অপরের উপর চাপিয়ে না দিতে পারে। সরকার একটি গাইড লাইন তৈরি করে টপ টু বটম মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের মাঠ প্রশাসনের উপজেলা পর্যায়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল ক্যাডারের প্রধান কর্মকর্তাকে দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে সব কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি স্তরের প্রধান কর্মকর্তা প্রত্যেককে পৃথক পৃথকভাবে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিবেন। এ ব্যবস্থায় সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারী কর্মকর্তাকে অতি সহজে শনাক্ত করে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মেধা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা যাচাই করে পদোন্নতি ইনক্রিমেন্ট প্রণোদনা ইত্যাদি প্রকৃত সফল কর্মকর্তাগণকে সনাক্ত করে দেওয়ার প্রক্রিয়া, প্রশাসনের কাজে গতিশীতলতা ফিরে আসা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রক্রিয়া ইত্যাদির কাজে এ সব পদক্ষেপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় যে কোন জাতীয় দুর্যোগ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত সকল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাদযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের মাধ্যমে সার্বিক বিষয় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশনা দিবেন। কোথা ও দুর্নীতি, কর্তব্য অবহেলা গাফিলতি ব্যর্থতার অভিযোগ পাওয়া গেলে এর জন্য দায়ী জড়িতদের বিভাগীয় শাস্তি ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নিতে হবে। স্বাধীনতার কয়েক যুগ অতিবাহিত হওয়ার পর সরকারের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণকে পুঁজি করে স্বার্থন্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করে অসংবিধানিকভাবে সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়।

আব্বাস উদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়,

সিলেট।

যুবাদের প্রয়োজন প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান

আমি একজন তরুণ, তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও যুবাদের সমস্যাগুলো একটু হলেও বুঝি। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, বিষয়টি আমরা প্রত্যেকে কোন না কোন শ্রেণীতে পড়ে এসেছি। আসলে শিক্ষিত হলেই কি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব? উত্তরটা যদি সরাসরি বলি তাহলে না-ই বলতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন উত্তর যদি না হয় তাহলে গত ১৫-১৬ বছর পড়াশোনা করে কি করলাম! তো এখন উত্তরটা তুলে ধরি, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ জনবল তৈরি হয় না এ যেন শুধু পড়ার জন্যই পড়া, কারিগরি শিক্ষার বড়ই অভাব।

কিন্তু অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে একজন শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা ও তার দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। কেননা তাদের চিন্তা ধারা এমন যে এই শিক্ষার্থী-ই আমাদের দেশকে একদিন নেতৃত্ব দিবে। যদি সে দক্ষ হয় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে আর অধ্যক্ষ হলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে শিক্ষা একটা বাণিজ্য হিসেবে দেখা দিয়েছে এখানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় কিন্তু স্নাতক পাসের পর চাকরির জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়, বছরের পর বছর চাকরির আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। আর শিক্ষিত হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যেন কৃষিকাজ করতেই পারবে না, সমাজ তাকে হেয় চোখে দেখে। আমাদের স্বাধীনতার এতো বছর পরও কিছু ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারিনি। যুব সমাজের সদস্য হওয়ায় একটা জিনিস বুঝেছি বাঙালি যুবকদের অফুরন্ত সময়। সরকারি প্রশিক্ষণ এদের নাগালে পৌঁছায় না (যদিও দুই একটা হয় তবু নগণ্য)।

এদেশের যুবকরা মুখিয়ে আছে একটা সুযোগের অপেক্ষায়। যদি প্রত্যেকটা থানায় দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয় এবং সেটা যুবাদের কাজে লাগে সেই বিষয়টা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে এদেশের অদক্ষ ও সম্ভাবনাময়ী যুবারা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে একটু হলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।

মো. পারভেজ আমিন,

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি।

back to top