alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

: বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

যখন প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটে, তখন একশ্রেণির মানুষের জন্য শীত আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। সবাই মেতে ওঠে পিঠা উৎসব, নতুন জামা পরিধান ও খেলাধুলার মাধ্যমে শীতকে উপভোগ করতে। অন্যদিকে উপভোগ্য শীত ঋতুতে রাস্তা-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে, ফুটপাতে, ফ্লাইওভারের নিচে, গাছতলায় শীতার্ত জনসাধারণ দিনকাল যাপন করে তীব্র কষ্টের মধ্যে দিয়ে। যেখানে দুবেলা দুমোঠো খাবার জোগাতে পারে না সেখানে শীতবস্ত্র ক্রয় করা তাদের কাছে বিলাসিতা বটে।

ফলে তারা না পারে শান্তিতে ঘুমাতে, না পারে ঠিকমতো কাজ করতে, না পারে ঠিকমতো আহার করতে। এমনকি তীব্র শীত তাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের তীব্র শীতের কারণে বহু ছিন্নমূল জনসাধারণ মৃত্যুর কূলে ঢলে পড়েন।

রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব নাগরিকের ছয়টি মৌলিক অধিকার (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, চিত্তবিনোদন) পূরণ করা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু রাস্তার পাশে অসহায় শীতার্ত মানুষদের কোনো উন্নতির কথা কেউ ভাবেনি। রাষ্ট্রের একার দায়িত্ব নয়, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, টনসিলাইটিস, যক্ষা, সাইনোসাইটিসসহ দেখা দেয় বিভিন্ন রোগ। সচ্ছল জনগোষ্ঠীর পক্ষে চিকিৎসা ব্যয়বহন করা সম্ভব হলেও নিম্নশ্রেণির অসহায় মানুষদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা।

তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বিত্তবানদের পক্ষ থেকে দরিদ্রের জন্য হাত প্রসারিত করতে হবে। এর পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামে গঞ্জে, শহরের বস্তিতে, পাহাড়ি অঞ্চলে ক্যাম্প করে দরিদ্রেেদর জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে এবং হাসপাতালগুলোতে সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা ব্যয় বহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

একজন মানুষের জীবন তখনই স্বার্থক হয়, যখন সে নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত করে। তাই আমাদের সবাইর উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্ট লাগবে নিজেদের অংশীদার করা।

ঝুমা আক্তার

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই পরিচ্ছন্ন শৌচাগার

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

যখন প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটে, তখন একশ্রেণির মানুষের জন্য শীত আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। সবাই মেতে ওঠে পিঠা উৎসব, নতুন জামা পরিধান ও খেলাধুলার মাধ্যমে শীতকে উপভোগ করতে। অন্যদিকে উপভোগ্য শীত ঋতুতে রাস্তা-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে, ফুটপাতে, ফ্লাইওভারের নিচে, গাছতলায় শীতার্ত জনসাধারণ দিনকাল যাপন করে তীব্র কষ্টের মধ্যে দিয়ে। যেখানে দুবেলা দুমোঠো খাবার জোগাতে পারে না সেখানে শীতবস্ত্র ক্রয় করা তাদের কাছে বিলাসিতা বটে।

ফলে তারা না পারে শান্তিতে ঘুমাতে, না পারে ঠিকমতো কাজ করতে, না পারে ঠিকমতো আহার করতে। এমনকি তীব্র শীত তাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের তীব্র শীতের কারণে বহু ছিন্নমূল জনসাধারণ মৃত্যুর কূলে ঢলে পড়েন।

রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব নাগরিকের ছয়টি মৌলিক অধিকার (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, চিত্তবিনোদন) পূরণ করা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু রাস্তার পাশে অসহায় শীতার্ত মানুষদের কোনো উন্নতির কথা কেউ ভাবেনি। রাষ্ট্রের একার দায়িত্ব নয়, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, টনসিলাইটিস, যক্ষা, সাইনোসাইটিসসহ দেখা দেয় বিভিন্ন রোগ। সচ্ছল জনগোষ্ঠীর পক্ষে চিকিৎসা ব্যয়বহন করা সম্ভব হলেও নিম্নশ্রেণির অসহায় মানুষদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা।

তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বিত্তবানদের পক্ষ থেকে দরিদ্রের জন্য হাত প্রসারিত করতে হবে। এর পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামে গঞ্জে, শহরের বস্তিতে, পাহাড়ি অঞ্চলে ক্যাম্প করে দরিদ্রেেদর জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে এবং হাসপাতালগুলোতে সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা ব্যয় বহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

একজন মানুষের জীবন তখনই স্বার্থক হয়, যখন সে নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত করে। তাই আমাদের সবাইর উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্ট লাগবে নিজেদের অংশীদার করা।

ঝুমা আক্তার

back to top