alt

চিঠিপত্র

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে আবেদন করে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও যথা সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি। অবশেষে দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ভাইভা পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু পরীক্ষা অনেক প্রশ্নবিদ্ধ ও অনিয়ম হয়। কিন্তু অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ চার সদস্য এক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম গঠন করা হয়। তদন্ত করে জানা যায় অভিযোগের পক্ষে কোনো ধরনের সত্যতা পাওয়া যায় নি। এতে চাকরি প্রত্যাশীরা মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের আশায় থাকে। পরীক্ষার দীর্ঘ আট মাস গেলেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়।

চাকরি প্রার্থী হতাশ হয়ে যান। কারণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৭নং শর্তে উল্লেখ্য করেছিল যে, চূড়ান্ত কৃতকার্য প্রশিক্ষণার্থীরা যোগদানের পূর্বে সিভিল সার্জন কর্তৃক শারীরিক সুস্থতা ও গর্ভবর্তী নয় মর্মে সনদপত্র দাখিল করতে হবে। গর্ভবতী হলে তার মনোয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। এই শর্ত মেনে নিয়ে পরিদর্শিকা পদের জন্য তাদের প্রায় ৩ বছর অপেক্ষা করেছে। এতে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। ফলে একটা চাকরির আশায় অনেক প্রার্থী নিজেদের উৎসর্গ করে। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণের দীর্ঘ ১ বছর পরে ফলাফল প্রকাশ না করে, বরং নিয়োগপ্রত্যাশী নিয়োগ বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফল প্রকাশ না করে নিয়োগের ৭নং শর্তটি বাতিল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কি পারবে চার বছর সময়ের মূল্য দিতে? এই পরীক্ষার কারণে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। অনেকে সন্তান জন্মদান থেকে বিরত ছিল। এক সময় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জানায়, লিখিত পরীক্ষার অনিয়মের অভিযোগে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়ম হলে মৌখিক পরীক্ষা কেন নিল? এতে পরীক্ষার্থী হেনস্তার শিকার হলো। তাই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগের ফলাফল বাতিলের নোটিশ বাতিল করে দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

আবদুল্লাহ আল-মামুন

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

tab

চিঠিপত্র

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে আবেদন করে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও যথা সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি। অবশেষে দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ভাইভা পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু পরীক্ষা অনেক প্রশ্নবিদ্ধ ও অনিয়ম হয়। কিন্তু অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ চার সদস্য এক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম গঠন করা হয়। তদন্ত করে জানা যায় অভিযোগের পক্ষে কোনো ধরনের সত্যতা পাওয়া যায় নি। এতে চাকরি প্রত্যাশীরা মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের আশায় থাকে। পরীক্ষার দীর্ঘ আট মাস গেলেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়।

চাকরি প্রার্থী হতাশ হয়ে যান। কারণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৭নং শর্তে উল্লেখ্য করেছিল যে, চূড়ান্ত কৃতকার্য প্রশিক্ষণার্থীরা যোগদানের পূর্বে সিভিল সার্জন কর্তৃক শারীরিক সুস্থতা ও গর্ভবর্তী নয় মর্মে সনদপত্র দাখিল করতে হবে। গর্ভবতী হলে তার মনোয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। এই শর্ত মেনে নিয়ে পরিদর্শিকা পদের জন্য তাদের প্রায় ৩ বছর অপেক্ষা করেছে। এতে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। ফলে একটা চাকরির আশায় অনেক প্রার্থী নিজেদের উৎসর্গ করে। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণের দীর্ঘ ১ বছর পরে ফলাফল প্রকাশ না করে, বরং নিয়োগপ্রত্যাশী নিয়োগ বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফল প্রকাশ না করে নিয়োগের ৭নং শর্তটি বাতিল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কি পারবে চার বছর সময়ের মূল্য দিতে? এই পরীক্ষার কারণে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। অনেকে সন্তান জন্মদান থেকে বিরত ছিল। এক সময় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জানায়, লিখিত পরীক্ষার অনিয়মের অভিযোগে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়ম হলে মৌখিক পরীক্ষা কেন নিল? এতে পরীক্ষার্থী হেনস্তার শিকার হলো। তাই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগের ফলাফল বাতিলের নোটিশ বাতিল করে দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

আবদুল্লাহ আল-মামুন

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

back to top