মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কৃষি উপযোগী। এ জেলার উর্বর মাটিতে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়; উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তবে কৃষিনির্ভর এ জনপদে কৃষিপণ্য ও ফল সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগার নেই। যে কারণে কম দামে কৃষি পন্য বিক্রি করতে হয়। অবিক্রীত ফসল নষ্ট হয়। এতে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ে সুফল বঞ্চিত হন; উৎপাদনে আগ্রহ হারান। এমন পরিস্থিতিতে পচনশীল ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপন জরুরি।
জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জে ও সদর উপজেলায় ব্যাপকভাবে সয়াবিন, ধান, ও পানের পাশাপাশি আলু, বাদাম, মরিচ, শসা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সিম, বেগুন, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল, মালটা ও লেবুর বাগনও গড়ে উঠেছে।
কিন্তু এসব ফল ও সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক লাভ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে টমেটো চাষিরা কাঙ্ক্ষিত আয় বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানকার টমেটো নিয়ে লাভোবান হচ্ছেন অন্য জেলার ব্যবসায়ীরা। তারা মৌসুমে পানির দরে টমেটো কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিমাগারে সংরক্ষণ করে সারা বছর ধরে চড়া দামে বিক্র করেন। লক্ষ্মীপুরে হিমাগার থাকলে স্থানীয় কৃষকরা কষ্টার্জিত ফসল সংরক্ষণে রেখে সারা বছর ধরে বিক্রি করে সুফল পেতেন। ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে ভোগ করতেন।
এক তথ্যে থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর লক্ষ্মীপুরে ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে টমেটো আবাদ হয়। এতে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হয়। হিসাব করে দেখা গেছে উৎপাদিত টমেটোর কেজি ৩০ টাকা মূল্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দাঁড়ায়। মৌসুমের শুরুর দিকে কৃষকরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্র করতে পারলেও ভরা মৌসুমে বিক্রি করতে হয় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষকরা পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ সুযোগটা নিচ্ছেন কৃষি পন্য সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য স্থানের ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্মীপুর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিনদিন কৃষি উন্নতি ঘটলেও হিমাগারের ব্যবস্থা নেই। এ উপকূলের উৎপাদিত ফল-সবজি সংরক্ষণের জন্যে সরকারি উদ্যোগে দ্রুত হিমাগার স্থাপন করা প্রয়োজন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মিয়ারবেড়ি কিংবা পিয়ারাপুর এলাকায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন করা যেতে পারে। এমন ব্যবস্থা করা গেলে কৃষকের পাশাপাশি লাভবান হবেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। এতে কৃষি অর্থনৈতিক উন্নতি আসবে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।
সাজ্জাদুর রহমান
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কৃষি উপযোগী। এ জেলার উর্বর মাটিতে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়; উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তবে কৃষিনির্ভর এ জনপদে কৃষিপণ্য ও ফল সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগার নেই। যে কারণে কম দামে কৃষি পন্য বিক্রি করতে হয়। অবিক্রীত ফসল নষ্ট হয়। এতে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ে সুফল বঞ্চিত হন; উৎপাদনে আগ্রহ হারান। এমন পরিস্থিতিতে পচনশীল ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপন জরুরি।
জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জে ও সদর উপজেলায় ব্যাপকভাবে সয়াবিন, ধান, ও পানের পাশাপাশি আলু, বাদাম, মরিচ, শসা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সিম, বেগুন, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল, মালটা ও লেবুর বাগনও গড়ে উঠেছে।
কিন্তু এসব ফল ও সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক লাভ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে টমেটো চাষিরা কাঙ্ক্ষিত আয় বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানকার টমেটো নিয়ে লাভোবান হচ্ছেন অন্য জেলার ব্যবসায়ীরা। তারা মৌসুমে পানির দরে টমেটো কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিমাগারে সংরক্ষণ করে সারা বছর ধরে চড়া দামে বিক্র করেন। লক্ষ্মীপুরে হিমাগার থাকলে স্থানীয় কৃষকরা কষ্টার্জিত ফসল সংরক্ষণে রেখে সারা বছর ধরে বিক্রি করে সুফল পেতেন। ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে ভোগ করতেন।
এক তথ্যে থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর লক্ষ্মীপুরে ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে টমেটো আবাদ হয়। এতে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হয়। হিসাব করে দেখা গেছে উৎপাদিত টমেটোর কেজি ৩০ টাকা মূল্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দাঁড়ায়। মৌসুমের শুরুর দিকে কৃষকরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্র করতে পারলেও ভরা মৌসুমে বিক্রি করতে হয় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষকরা পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ সুযোগটা নিচ্ছেন কৃষি পন্য সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য স্থানের ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্মীপুর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিনদিন কৃষি উন্নতি ঘটলেও হিমাগারের ব্যবস্থা নেই। এ উপকূলের উৎপাদিত ফল-সবজি সংরক্ষণের জন্যে সরকারি উদ্যোগে দ্রুত হিমাগার স্থাপন করা প্রয়োজন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মিয়ারবেড়ি কিংবা পিয়ারাপুর এলাকায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন করা যেতে পারে। এমন ব্যবস্থা করা গেলে কৃষকের পাশাপাশি লাভবান হবেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। এতে কৃষি অর্থনৈতিক উন্নতি আসবে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।
সাজ্জাদুর রহমান
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।