alt

চিঠিপত্র

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কৃষি উপযোগী। এ জেলার উর্বর মাটিতে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়; উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তবে কৃষিনির্ভর এ জনপদে কৃষিপণ্য ও ফল সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগার নেই। যে কারণে কম দামে কৃষি পন্য বিক্রি করতে হয়। অবিক্রীত ফসল নষ্ট হয়। এতে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ে সুফল বঞ্চিত হন; উৎপাদনে আগ্রহ হারান। এমন পরিস্থিতিতে পচনশীল ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপন জরুরি।

জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জে ও সদর উপজেলায় ব্যাপকভাবে সয়াবিন, ধান, ও পানের পাশাপাশি আলু, বাদাম, মরিচ, শসা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সিম, বেগুন, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল, মালটা ও লেবুর বাগনও গড়ে উঠেছে।

কিন্তু এসব ফল ও সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক লাভ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে টমেটো চাষিরা কাঙ্ক্ষিত আয় বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানকার টমেটো নিয়ে লাভোবান হচ্ছেন অন্য জেলার ব্যবসায়ীরা। তারা মৌসুমে পানির দরে টমেটো কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিমাগারে সংরক্ষণ করে সারা বছর ধরে চড়া দামে বিক্র করেন। লক্ষ্মীপুরে হিমাগার থাকলে স্থানীয় কৃষকরা কষ্টার্জিত ফসল সংরক্ষণে রেখে সারা বছর ধরে বিক্রি করে সুফল পেতেন। ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে ভোগ করতেন।

এক তথ্যে থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর লক্ষ্মীপুরে ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে টমেটো আবাদ হয়। এতে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হয়। হিসাব করে দেখা গেছে উৎপাদিত টমেটোর কেজি ৩০ টাকা মূল্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দাঁড়ায়। মৌসুমের শুরুর দিকে কৃষকরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্র করতে পারলেও ভরা মৌসুমে বিক্রি করতে হয় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষকরা পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ সুযোগটা নিচ্ছেন কৃষি পন্য সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য স্থানের ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্মীপুর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিনদিন কৃষি উন্নতি ঘটলেও হিমাগারের ব্যবস্থা নেই। এ উপকূলের উৎপাদিত ফল-সবজি সংরক্ষণের জন্যে সরকারি উদ্যোগে দ্রুত হিমাগার স্থাপন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মিয়ারবেড়ি কিংবা পিয়ারাপুর এলাকায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন করা যেতে পারে। এমন ব্যবস্থা করা গেলে কৃষকের পাশাপাশি লাভবান হবেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। এতে কৃষি অর্থনৈতিক উন্নতি আসবে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।

সাজ্জাদুর রহমান

কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

স্যানিটেশন সংকটে দুর্ভোগের শিকার বেশী নারীরা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

প্রযুক্তির যুগে পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই

গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ হোক

দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

tab

চিঠিপত্র

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর উপকূলীয় জেলা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কৃষি উপযোগী। এ জেলার উর্বর মাটিতে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়; উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তবে কৃষিনির্ভর এ জনপদে কৃষিপণ্য ও ফল সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগার নেই। যে কারণে কম দামে কৃষি পন্য বিক্রি করতে হয়। অবিক্রীত ফসল নষ্ট হয়। এতে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ে সুফল বঞ্চিত হন; উৎপাদনে আগ্রহ হারান। এমন পরিস্থিতিতে পচনশীল ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপন জরুরি।

জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জে ও সদর উপজেলায় ব্যাপকভাবে সয়াবিন, ধান, ও পানের পাশাপাশি আলু, বাদাম, মরিচ, শসা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সিম, বেগুন, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল, মালটা ও লেবুর বাগনও গড়ে উঠেছে।

কিন্তু এসব ফল ও সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক লাভ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে টমেটো চাষিরা কাঙ্ক্ষিত আয় বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানকার টমেটো নিয়ে লাভোবান হচ্ছেন অন্য জেলার ব্যবসায়ীরা। তারা মৌসুমে পানির দরে টমেটো কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিমাগারে সংরক্ষণ করে সারা বছর ধরে চড়া দামে বিক্র করেন। লক্ষ্মীপুরে হিমাগার থাকলে স্থানীয় কৃষকরা কষ্টার্জিত ফসল সংরক্ষণে রেখে সারা বছর ধরে বিক্রি করে সুফল পেতেন। ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে ভোগ করতেন।

এক তথ্যে থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর লক্ষ্মীপুরে ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে টমেটো আবাদ হয়। এতে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হয়। হিসাব করে দেখা গেছে উৎপাদিত টমেটোর কেজি ৩০ টাকা মূল্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দাঁড়ায়। মৌসুমের শুরুর দিকে কৃষকরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্র করতে পারলেও ভরা মৌসুমে বিক্রি করতে হয় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষকরা পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ সুযোগটা নিচ্ছেন কৃষি পন্য সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য স্থানের ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্মীপুর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিনদিন কৃষি উন্নতি ঘটলেও হিমাগারের ব্যবস্থা নেই। এ উপকূলের উৎপাদিত ফল-সবজি সংরক্ষণের জন্যে সরকারি উদ্যোগে দ্রুত হিমাগার স্থাপন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মিয়ারবেড়ি কিংবা পিয়ারাপুর এলাকায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন করা যেতে পারে। এমন ব্যবস্থা করা গেলে কৃষকের পাশাপাশি লাভবান হবেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। এতে কৃষি অর্থনৈতিক উন্নতি আসবে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।

সাজ্জাদুর রহমান

কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।

back to top