alt

চিঠিপত্র

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

: রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কাগজ-কলম, বইয়ের পাতা কিংবা মুখস্ত বিদ্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ঠিকই; কিন্তু এই মাছের স্বাদ গ্রহণ করা বর্তমানে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে দেশের নি¤œ ও মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের। কোন চাষাবাদ ছাড়াই সত্তরের দশকে ইলিশকে জাতীয় মাছ ঘোষণা হলেও দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। স্বাদে, ঘ্রাণে, রূপে অন্যান্য মাছকে পেছনে ফেলে ইলিশ বাঙালি সমাজে ‘মাছের রাজা’ হিসেবে সমাদৃত। শুধু যে রূপেগুণে বিষয়টা এমনও না, অন্যান্য মাছের পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এগিয়ে আছে এই সমুদ্র থেকে আসা নদীর রাজা। এই মাছটিতে আছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা; যা অন্যান্য মাছ ও মাংসের তুলনায় অনেক বেশি। জনপ্রিয় এই মাছটি নিয়েও বর্তমানে প্রতারণা করে যাচ্ছেন একশ্রেণীর প্রতারক চক্র। এতে একদিকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ক্রেতা, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও হচ্ছে বদনামের ভাগিদার। কিছু অনলাইন ইলিশ ব্যবসায়ী নামে বেনামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে পদ্মা-মেঘনার টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়, নিচের নম্বরে যোগাযোগ করুন এমন লোভনীয় অফার দিচ্ছে। তা দেখে অনলাইনে অর্ডার করেন দূর-দূরান্তের অনেক ক্রেতা। এদের কারও কারও ভাগ্যে মিলছে পচা, ছোট ও অন্য জেলার ইলিশ। আবার অনেকে বিকাশে টাকা পেমেন্ট করে হা-হুতাশ করছেন। প্রতারক চক্র টাকা পেয়ে অনলাইন পেজ, মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর বন্ধ করে দিচ্ছে।

জাতীয় মাছ ইলিশের এই ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বাজার সয়লাব; কিন্তু অনলাইনে কম দাম দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। চাঁদপুরের ইলিশের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় ইলিশ মাছের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা একটি চক্র। কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও বার্তা ও লোভনীয় অফারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে তারা। বিকাশে অগ্রিম লেনদেন করে অর্ডার নিশ্চিতের পর বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেয়া হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ লেখা থাকায় অনেকে মাছ না পেয়ে প্রতারকদের খুঁজে বেড়াচ্ছে চাঁদপুরে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনলাইনে অর্ডার করলে কুরিয়ারে ইলিশ মাছ পাঠানোর পর টাকা নেয়া হচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পেজ নকল করে দেশের আনাচে-কানাচে একটি প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে। তারা আগেই টাকা হাতিয়ে নেয়। চাঁদপুরের পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে সম্প্রতি বৈধ বিক্রেতাদের তালিকা জমা দিয়েছে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতি। এর মধ্যে ৪১ বৈধ অনলাইন ব্যবসায়ীর তালিকা করে অবৈধদের রোধ করতে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের কাছে অনলাইনে মাছ বিক্রির নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতারণার বহু অভিযোগ আসে। যারা এসব প্রতারণা করে, তারা চাঁদপুরের লোক নয়। তারা মাছ ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত নয়। আমাদের এখানে যারা অনলাইনে মাছ বিক্রি করে, সমিতির পক্ষ থেকে তাদের তালিকাভুক্ত করেছি এবং একজন সদস্যের রেফারেন্স নিয়ে তাদের ব্যবসা করার অনুমতি দেয়া আছে। এ তালিকা পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছেও রয়েছে। তারপরও ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

তাই অনলাইনে জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। এজন্য পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

মাসুদ হোসেন

চাঁদপুর সদর।

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

স্যানিটেশন সংকটে দুর্ভোগের শিকার বেশী নারীরা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

প্রযুক্তির যুগে পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই

গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ হোক

দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

tab

চিঠিপত্র

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কাগজ-কলম, বইয়ের পাতা কিংবা মুখস্ত বিদ্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ঠিকই; কিন্তু এই মাছের স্বাদ গ্রহণ করা বর্তমানে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে দেশের নি¤œ ও মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের। কোন চাষাবাদ ছাড়াই সত্তরের দশকে ইলিশকে জাতীয় মাছ ঘোষণা হলেও দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। স্বাদে, ঘ্রাণে, রূপে অন্যান্য মাছকে পেছনে ফেলে ইলিশ বাঙালি সমাজে ‘মাছের রাজা’ হিসেবে সমাদৃত। শুধু যে রূপেগুণে বিষয়টা এমনও না, অন্যান্য মাছের পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এগিয়ে আছে এই সমুদ্র থেকে আসা নদীর রাজা। এই মাছটিতে আছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা; যা অন্যান্য মাছ ও মাংসের তুলনায় অনেক বেশি। জনপ্রিয় এই মাছটি নিয়েও বর্তমানে প্রতারণা করে যাচ্ছেন একশ্রেণীর প্রতারক চক্র। এতে একদিকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ক্রেতা, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও হচ্ছে বদনামের ভাগিদার। কিছু অনলাইন ইলিশ ব্যবসায়ী নামে বেনামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে পদ্মা-মেঘনার টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়, নিচের নম্বরে যোগাযোগ করুন এমন লোভনীয় অফার দিচ্ছে। তা দেখে অনলাইনে অর্ডার করেন দূর-দূরান্তের অনেক ক্রেতা। এদের কারও কারও ভাগ্যে মিলছে পচা, ছোট ও অন্য জেলার ইলিশ। আবার অনেকে বিকাশে টাকা পেমেন্ট করে হা-হুতাশ করছেন। প্রতারক চক্র টাকা পেয়ে অনলাইন পেজ, মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর বন্ধ করে দিচ্ছে।

জাতীয় মাছ ইলিশের এই ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বাজার সয়লাব; কিন্তু অনলাইনে কম দাম দেখিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। চাঁদপুরের ইলিশের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় ইলিশ মাছের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা একটি চক্র। কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও বার্তা ও লোভনীয় অফারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে তারা। বিকাশে অগ্রিম লেনদেন করে অর্ডার নিশ্চিতের পর বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেয়া হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ লেখা থাকায় অনেকে মাছ না পেয়ে প্রতারকদের খুঁজে বেড়াচ্ছে চাঁদপুরে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনলাইনে অর্ডার করলে কুরিয়ারে ইলিশ মাছ পাঠানোর পর টাকা নেয়া হচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পেজ নকল করে দেশের আনাচে-কানাচে একটি প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে। তারা আগেই টাকা হাতিয়ে নেয়। চাঁদপুরের পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে সম্প্রতি বৈধ বিক্রেতাদের তালিকা জমা দিয়েছে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতি। এর মধ্যে ৪১ বৈধ অনলাইন ব্যবসায়ীর তালিকা করে অবৈধদের রোধ করতে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের কাছে অনলাইনে মাছ বিক্রির নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতারণার বহু অভিযোগ আসে। যারা এসব প্রতারণা করে, তারা চাঁদপুরের লোক নয়। তারা মাছ ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত নয়। আমাদের এখানে যারা অনলাইনে মাছ বিক্রি করে, সমিতির পক্ষ থেকে তাদের তালিকাভুক্ত করেছি এবং একজন সদস্যের রেফারেন্স নিয়ে তাদের ব্যবসা করার অনুমতি দেয়া আছে। এ তালিকা পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছেও রয়েছে। তারপরও ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

তাই অনলাইনে জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। এজন্য পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

মাসুদ হোসেন

চাঁদপুর সদর।

back to top