alt

চিঠিপত্র

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

২০২৪ সালের জুন মাসের এক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, বেসরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) হিসেবে দেশে মাদকাসক্ত অন্তত এক কোটি। ৫ বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব) গেছেন অন্তত ৫০ হাজার মাদকসেবী। ৫ বছরে রিহ্যাবে চিকিৎসা নেওয়া নারী মাদকাসক্ত বেড়েছে ৫ গুণ। আর ১৫ ও তার কম বয়সী মাদকাসক্ত বেড়ে হয়েছে তিনগুণ, সংখ্যায় যা ৪৭ হাজার ৩৭৬ জন।

বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হয়ে গেছে। গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আনাচে কানাচে সব জায়গায় মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় । শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই মাদকদ্রব্য হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মাদক সেবন করা সবার জন্য খুব সহজ হয়ে পড়েছে। একজন ব্যক্তি যখন মাদক গ্রহণ করে তখন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারপর সে নিজেকে রাজা মনে করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, সন্ত্রাসী এমনকি মানুষ হত্যা করাও সহজ হয়ে যায়। এমনকি ধর্ষণ করে খুন করতেও এরা দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় দেখা যায় মাদকদ্রব্য ক্রয় করতে ঘরের জিনিস চুরি করে বিক্রি করে দেয়। আবার বাবা-মার কাছ বিরাট পরিমাণ অর্থ দাবি করে বসে, দিতে অস্বীকৃতি জানালে মা-বাবাকে খুন করার মতো জঘন্য ব্যাপারও চোখে পড়ে।

মোদ্দা কথা, সভা-সেমিনারে মাদকবিরোধী আলোচনা গড়ে তুলতে হবে। যারা মাদক চোরাচালান করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানদের ঝগড়া ফ্যাসাদ থেকে দূরে রাখতে হবে। সন্তানদের চলাফেরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বন্ধু নির্বাচনে সচেতন করতে হবে। সন্তানদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়কে প্রাধান্য দেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা মাদকাসক্ত তাদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। ধর্মীয় ও নৈতিকতা মেনে চলতে হবে। মাদক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক চোরাচালান করা অপরাধ। আর এই অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদ-। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মাদক সেবন ও বহনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। তাছাড়াও মাদক গ্রহণ কম বয়সেই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সর্বশেষ নিজের জীবন বাঁচাতে মাদক থেকে দূরে থাকা এখন সময়ের দাবি।

রেখা খাতুন

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

২০২৪ সালের জুন মাসের এক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, বেসরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) হিসেবে দেশে মাদকাসক্ত অন্তত এক কোটি। ৫ বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব) গেছেন অন্তত ৫০ হাজার মাদকসেবী। ৫ বছরে রিহ্যাবে চিকিৎসা নেওয়া নারী মাদকাসক্ত বেড়েছে ৫ গুণ। আর ১৫ ও তার কম বয়সী মাদকাসক্ত বেড়ে হয়েছে তিনগুণ, সংখ্যায় যা ৪৭ হাজার ৩৭৬ জন।

বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হয়ে গেছে। গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আনাচে কানাচে সব জায়গায় মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় । শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই মাদকদ্রব্য হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মাদক সেবন করা সবার জন্য খুব সহজ হয়ে পড়েছে। একজন ব্যক্তি যখন মাদক গ্রহণ করে তখন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারপর সে নিজেকে রাজা মনে করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, সন্ত্রাসী এমনকি মানুষ হত্যা করাও সহজ হয়ে যায়। এমনকি ধর্ষণ করে খুন করতেও এরা দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় দেখা যায় মাদকদ্রব্য ক্রয় করতে ঘরের জিনিস চুরি করে বিক্রি করে দেয়। আবার বাবা-মার কাছ বিরাট পরিমাণ অর্থ দাবি করে বসে, দিতে অস্বীকৃতি জানালে মা-বাবাকে খুন করার মতো জঘন্য ব্যাপারও চোখে পড়ে।

মোদ্দা কথা, সভা-সেমিনারে মাদকবিরোধী আলোচনা গড়ে তুলতে হবে। যারা মাদক চোরাচালান করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানদের ঝগড়া ফ্যাসাদ থেকে দূরে রাখতে হবে। সন্তানদের চলাফেরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বন্ধু নির্বাচনে সচেতন করতে হবে। সন্তানদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়কে প্রাধান্য দেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা মাদকাসক্ত তাদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। ধর্মীয় ও নৈতিকতা মেনে চলতে হবে। মাদক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক চোরাচালান করা অপরাধ। আর এই অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদ-। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মাদক সেবন ও বহনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। তাছাড়াও মাদক গ্রহণ কম বয়সেই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সর্বশেষ নিজের জীবন বাঁচাতে মাদক থেকে দূরে থাকা এখন সময়ের দাবি।

রেখা খাতুন

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

back to top