alt

চিঠিপত্র

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদন নেয়া শুরু হবে অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ থেকে এবং আবেদন করা যাবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পদে শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছে অনুমোদিত যে কোন বিশ্বিবদ্যালয় থেকে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি। তবে বয়সসীমা দেওয়া হয়েছে ন্যূনতম ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর পর্যন্ত সাধারণ কোটা প্রার্থীদের জন্য এবং ১৯ বছর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য।

বিপরীতে যদি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়, সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং বয়সসীমা ১৮ থেকে ২০ বছর দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত ইন্টারমেডিয়েট পাস করতেই প্রায় ১৮ বছর বা অনেক সময় তার-ও বেশি সময় চলে যায়। আর বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ১৯ বছরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব নয়। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত চলে যায় এবং অনেকের সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে আরও বেশি সময় লেগে যায়। ফলে স্মাতক সম্পন্ন করার পর স্বাভাবিকভাবেই এসআই নিয়োগ পরিক্ষায় অনেকে একবার থেকে দু’বার এবং অনেকে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২৭ বছর থাকায় আবেদন করার সুযোগই পায় না। ফলে বলা যায় সামগ্রিকভাবে এসআই চাকরি প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ এসআই পরীক্ষায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যা মোটেই কাম্য ছিল না। যেহেতু স্নাতক শেষ করতেই অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর চলে তাই এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ন্যূনতম ১৯ থেকে বাড়িয়ে ২১ বা ২২ বছর করা উচিত।

পুলিশের এসআই সহ সরকারি অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ৩২ বছর রাখা হয়েছে এবং সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে সর্বো”চ বয়সসীমা ৩০বছর করা হলেও পুলিশের এসআই এর ক্ষেত্রে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ২৭ বছর করা হয়েছে। এতে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা সাধারণ প্রার্থীদের তুলনায় ৫ বছর বেশি সময় পাচ্ছে বিপরীতে অন্যান্য চাকরির আবেদনের সময় তারা মাত্র ২ বছর সময় বেশি পেয়ে থাকে। যার ফলে সাধারণ প্রার্থীরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে এবং এটি অমানবিক-ও বটে। একটি যৌক্তিক প্রশ্ন হলো, মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীরা যদি ৩২ বয়সেও এসআই ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে তবে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের ২৭ বছর বয়সেই আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন এবং বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হচ্ছে না কেন?

বরকত আলী

শিক্ষার্থী

দিনাজপুর সরকারি কলেজ

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

শিশু হত্যা ও আমাদের দায়বদ্ধতা

স্বাস্থ্যসেবার টুকরো চিত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

যুব শক্তি : উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু

খাগড়াছড়ির রামগড় পর্যটন পার্কটি এখন গো-চারণভূমি

সাত কলেজের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

ফান পোস্টে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

স্যানিটেশন সংকটে দুর্ভোগের শিকার বেশী নারীরা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

প্রযুক্তির যুগে পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

tab

চিঠিপত্র

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদন নেয়া শুরু হবে অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ থেকে এবং আবেদন করা যাবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পদে শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছে অনুমোদিত যে কোন বিশ্বিবদ্যালয় থেকে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি। তবে বয়সসীমা দেওয়া হয়েছে ন্যূনতম ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর পর্যন্ত সাধারণ কোটা প্রার্থীদের জন্য এবং ১৯ বছর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য।

বিপরীতে যদি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়, সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং বয়সসীমা ১৮ থেকে ২০ বছর দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত ইন্টারমেডিয়েট পাস করতেই প্রায় ১৮ বছর বা অনেক সময় তার-ও বেশি সময় চলে যায়। আর বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ১৯ বছরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব নয়। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত চলে যায় এবং অনেকের সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে আরও বেশি সময় লেগে যায়। ফলে স্মাতক সম্পন্ন করার পর স্বাভাবিকভাবেই এসআই নিয়োগ পরিক্ষায় অনেকে একবার থেকে দু’বার এবং অনেকে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২৭ বছর থাকায় আবেদন করার সুযোগই পায় না। ফলে বলা যায় সামগ্রিকভাবে এসআই চাকরি প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ এসআই পরীক্ষায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যা মোটেই কাম্য ছিল না। যেহেতু স্নাতক শেষ করতেই অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর চলে তাই এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ন্যূনতম ১৯ থেকে বাড়িয়ে ২১ বা ২২ বছর করা উচিত।

পুলিশের এসআই সহ সরকারি অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ৩২ বছর রাখা হয়েছে এবং সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে সর্বো”চ বয়সসীমা ৩০বছর করা হলেও পুলিশের এসআই এর ক্ষেত্রে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ২৭ বছর করা হয়েছে। এতে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা সাধারণ প্রার্থীদের তুলনায় ৫ বছর বেশি সময় পাচ্ছে বিপরীতে অন্যান্য চাকরির আবেদনের সময় তারা মাত্র ২ বছর সময় বেশি পেয়ে থাকে। যার ফলে সাধারণ প্রার্থীরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে এবং এটি অমানবিক-ও বটে। একটি যৌক্তিক প্রশ্ন হলো, মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীরা যদি ৩২ বয়সেও এসআই ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে তবে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের ২৭ বছর বয়সেই আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন এবং বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হচ্ছে না কেন?

বরকত আলী

শিক্ষার্থী

দিনাজপুর সরকারি কলেজ

back to top