alt

চিঠিপত্র

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

: শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সম্প্রতি দেখা গেছে রেললাইনের ঝাড়ুদার পদে অধিকাংশ চাকরি প্রত্যাশী ছিল মাস্টার্স পাস করা। দেশের এই শিক্ষা ব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের চাহিদার মাঝে রয়েছে লক্ষণীয় ভারসাম্যহীনতা। বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি; কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমবাজারে এসব বিষয়ে শিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। কারণ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়ে অনেকের স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য থাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া; কিন্ত তারা ইদানীং বিসিএস পরীক্ষার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এতে চাকরির বাজারে ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে। মানবিক শাখায় পড়ে বিজ্ঞান বিভাগের পদে চাকরি করতে পারছে না। বরং বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী মানবিক বিভাগের জায়গা দখল করছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।

কিন্তু একটি দেশের জনসংখ্যা অভিশাপ নয় বরং মানবসম্পদ। তবে বাংলাদেশে মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহার করা হয় না। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা তৈরিতে সক্ষম হতো তাহলে এই ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতো না। অথচ দেশের বেশির ভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ শ্রমিকের সংকটে ভুগছে। আর দুর্নীতির কবলে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায়। সরকারি সব চাকরির (ক্যাডার পদ বাদে) আবেদন ফি ২০২৩ সালে পুনরায় নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য এই ফি প্রযোজ্য হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ম গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডভুক্ত (নন-ক্যাডার) পদে আবেদন ফি ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদে আবেদন ফি ৫০০ টাকা, ১১ থেকে ১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদের আসন সংখ্যা ছিল ১১৮ জন। এতে আবেদন করে ৭৪০৭৩ জন। প্রত্যকের জন্য আবেদন ফি ৬৬৯ টাকা। কিন্তু কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করলে আরো অতিরিক্ত টাকা লাগে। চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে আবেদন ফি তুলনামূলক অনেক বেশি। এই চাকরির পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব পালন করে পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক, কর্মচারী। তারা চাকরির সূত্রে মাসিক বেতন পেয়ে থাকে। অধিকন্তু চাকরি প্রত্যাশীর আবেদন ফি থেকে তাদের ভাগ দেওয়া হয়। যেখানে একজন শিক্ষিত বেকার চাকরির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছে, সেখানে তাদের থেকে ফি নিয়ে চাকরিজীবীদের দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলার আবেদন ফি থেকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৩৭ টাকা; যা দিয়ে ১১৮ জনকে ২২০০০ টাকা করে ১৯ বছর বেতন দেয়া যাবে।

এছাড়া অধিকাংশ চাকরির পরীক্ষা রাজধানী ঢাকায় হয়। এতে প্রান্তিক অঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের ঢাকাতে আসতে হয়। এতে বাস, ট্রেনে যাতায়াত করতে আরো খরচ হয়। দীর্ঘ সময় জার্নি করে অনেকে ক্লান্ত হয়ে যায়। তবে তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র চিনতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক পরীক্ষার্থী সময়মত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে না। সুতরাং চাকরি প্রত্যাশী সব মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরির আবেদন ফি হ্রাস করা হোক।

আবদুল্লাহ আল মামুন

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি দেখা গেছে রেললাইনের ঝাড়ুদার পদে অধিকাংশ চাকরি প্রত্যাশী ছিল মাস্টার্স পাস করা। দেশের এই শিক্ষা ব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের চাহিদার মাঝে রয়েছে লক্ষণীয় ভারসাম্যহীনতা। বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি; কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমবাজারে এসব বিষয়ে শিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। কারণ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়ে অনেকের স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য থাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া; কিন্ত তারা ইদানীং বিসিএস পরীক্ষার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এতে চাকরির বাজারে ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে। মানবিক শাখায় পড়ে বিজ্ঞান বিভাগের পদে চাকরি করতে পারছে না। বরং বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী মানবিক বিভাগের জায়গা দখল করছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।

কিন্তু একটি দেশের জনসংখ্যা অভিশাপ নয় বরং মানবসম্পদ। তবে বাংলাদেশে মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহার করা হয় না। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা তৈরিতে সক্ষম হতো তাহলে এই ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতো না। অথচ দেশের বেশির ভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ শ্রমিকের সংকটে ভুগছে। আর দুর্নীতির কবলে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায়। সরকারি সব চাকরির (ক্যাডার পদ বাদে) আবেদন ফি ২০২৩ সালে পুনরায় নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য এই ফি প্রযোজ্য হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ম গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডভুক্ত (নন-ক্যাডার) পদে আবেদন ফি ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদে আবেদন ফি ৫০০ টাকা, ১১ থেকে ১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদের আসন সংখ্যা ছিল ১১৮ জন। এতে আবেদন করে ৭৪০৭৩ জন। প্রত্যকের জন্য আবেদন ফি ৬৬৯ টাকা। কিন্তু কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করলে আরো অতিরিক্ত টাকা লাগে। চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে আবেদন ফি তুলনামূলক অনেক বেশি। এই চাকরির পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব পালন করে পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক, কর্মচারী। তারা চাকরির সূত্রে মাসিক বেতন পেয়ে থাকে। অধিকন্তু চাকরি প্রত্যাশীর আবেদন ফি থেকে তাদের ভাগ দেওয়া হয়। যেখানে একজন শিক্ষিত বেকার চাকরির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছে, সেখানে তাদের থেকে ফি নিয়ে চাকরিজীবীদের দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলার আবেদন ফি থেকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৩৭ টাকা; যা দিয়ে ১১৮ জনকে ২২০০০ টাকা করে ১৯ বছর বেতন দেয়া যাবে।

এছাড়া অধিকাংশ চাকরির পরীক্ষা রাজধানী ঢাকায় হয়। এতে প্রান্তিক অঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের ঢাকাতে আসতে হয়। এতে বাস, ট্রেনে যাতায়াত করতে আরো খরচ হয়। দীর্ঘ সময় জার্নি করে অনেকে ক্লান্ত হয়ে যায়। তবে তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র চিনতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক পরীক্ষার্থী সময়মত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে না। সুতরাং চাকরি প্রত্যাশী সব মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরির আবেদন ফি হ্রাস করা হোক।

আবদুল্লাহ আল মামুন

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

back to top