alt

চিঠিপত্র

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান, তবুও গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, ও প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলোর সমাধানে স্থানীয়ভাবে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে, গবেষণা প্রয়োজনীয় সুবিধা এবং তহবিলের অভাবে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না। দেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর, কিন্তু কৃষিক্ষেত্র, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এসব বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করে, তবে দেশের অভ্যন্তর থেকেই উদ্ভাবনী সমাধান বের করা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কিংবা কৃষি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গবেষণা অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।

বর্তমান আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন পরস্পর সম্পূরক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং জীববিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবন সম্ভব হচ্ছে প্রযুক্তির সহায়তায়। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক মানের গবেষণা পরিচালনা করতে পারবে। উন্নত দেশগুলোর উদাহরণ দেখলে বুঝা যায় যে, প্রযুক্তির ব্যবহারে তারা কিভাবে নিজেদের শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হলে তা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিনিয়োগ এবং সহায়তা। উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল থাকে, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশে গবেষণা খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ অত্যন্ত কম, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। সরকার এবং বেসরকারি খাতকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। উদ্ভাবন হলো ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি। আজকের নতুন আবিষ্কার আগামী দিনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সম্পৃক্ত করার জন্য তাদের মাঝে গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে শেখে, যা তাদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতাকে আরও বিকশিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা দিতে হবে। যেমন- গবেষণাগার, প্রযুক্তিগত সুবিধা, এবং দক্ষ শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা নিজেদের চিন্তাশক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

গবেষণা কোনো দেশের উন্নয়নের মেরুদ- হিসেবে কাজ করে। গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সরাসরি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তৈরি উদ্ভাবনগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের জন্যও গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই গবেষণার মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজন।

রাকিবুল হাসান

দর্শন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

দেশে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান, তবুও গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, ও প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলোর সমাধানে স্থানীয়ভাবে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে, গবেষণা প্রয়োজনীয় সুবিধা এবং তহবিলের অভাবে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না। দেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর, কিন্তু কৃষিক্ষেত্র, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এসব বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করে, তবে দেশের অভ্যন্তর থেকেই উদ্ভাবনী সমাধান বের করা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কিংবা কৃষি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গবেষণা অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।

বর্তমান আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন পরস্পর সম্পূরক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং জীববিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবন সম্ভব হচ্ছে প্রযুক্তির সহায়তায়। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক মানের গবেষণা পরিচালনা করতে পারবে। উন্নত দেশগুলোর উদাহরণ দেখলে বুঝা যায় যে, প্রযুক্তির ব্যবহারে তারা কিভাবে নিজেদের শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হলে তা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিনিয়োগ এবং সহায়তা। উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল থাকে, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশে গবেষণা খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ অত্যন্ত কম, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। সরকার এবং বেসরকারি খাতকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। উদ্ভাবন হলো ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি। আজকের নতুন আবিষ্কার আগামী দিনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সম্পৃক্ত করার জন্য তাদের মাঝে গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে শেখে, যা তাদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতাকে আরও বিকশিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা দিতে হবে। যেমন- গবেষণাগার, প্রযুক্তিগত সুবিধা, এবং দক্ষ শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা নিজেদের চিন্তাশক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

গবেষণা কোনো দেশের উন্নয়নের মেরুদ- হিসেবে কাজ করে। গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সরাসরি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তৈরি উদ্ভাবনগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের জন্যও গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই গবেষণার মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজন।

রাকিবুল হাসান

দর্শন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

back to top