মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
তরুণ প্রজন্মের এক বড় অংশ আজকের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বেশিরভাগ তথ্য প্রযুক্তিগত ডিভাইসের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ—এই যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে তথ্যের প্রাচুর্য পাওয়া যায়; সেখানে আছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা তরুণদের সহজেই আকর্ষণ করে; কিন্তু পত্রিকা পাঠের যে আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে, তা এ প্রযুক্তি নির্ভর মাধ্যমগুলোর তুলনায় অনেক বেশি স্থায়ী ও মূল্যবান। আজকের এই প্রযুক্তির বিশ্বে তরুণদের পত্রিকা পাঠে উদ্বুদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
পত্রিকা পাঠের গুরুত্ব বোঝাতে গেলে বলতে হয়Ñ এটাই এমন এক মাধ্যম, যা একজন পাঠককে গভীরভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা এবং বিশ্বের জানা-অজানা সব খবরের সাথে পরিচিত করে তোলে। প্রতিদিনের পত্রিকা হলো তথ্যের এক সমৃদ্ধ ভা-ার, যা নিয়মিত পাঠ করলে একজন ব্যক্তি শুধু আপডেট থাকে না, বরং সমাজ, রাষ্ট্র, এবং বিশ্বের সাথে তার সংযোগও দৃঢ় হয়। আমরা প্রায়ই ভুলভাবে ভেবে থাকি যে পত্রিকা কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। অথচ পত্রিকার খবর এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যে যে কেউ, যে কোনো বয়সেই এটি থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য আহরণ করতে পারে।
অনলাইন মাধ্যমগুলোতে খবর পাওয়া সহজ এবং স্বল্পমেয়াদি উত্তেজনার জন্ম দেয়; কিন্তু সেসব খবরের সত্যতা যাচাই করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে। পত্রিকা পাঠের ক্ষেত্রে এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিয়মিত গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসে, যা পাঠককে নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক তথ্য প্রদান করে। এক্ষেত্রে বলা যায়, পত্রিকা যেমন সুসংগঠিত থাকে, তেমনি তা পাঠকের মানসিক বিকাশে সহায়ক হয়। নিয়মিত পত্রিকা পাঠ করার অভ্যাস শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য নয়, এটি একজন তরুণকে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত আসক্তি থেকেও মুক্ত রাখে।
তরুণদের পত্রিকা পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলা এক ধরনের মানসিক অনুশীলন। এটি সমাজের সাথে তাদের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের মননশীলতাকে তীক্ষè করে তোলে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলা সম্পর্কে গভীর ও সমৃদ্ধ ধারণা দেয় পত্রিকা। তরুণরা যখন নিয়মিত পত্রিকা পড়ে, তখন তারা কেবল সাময়িক সংবাদ পায় না; বরং খবরে প্রভাবিত ঘটনা এবং তার ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও গড়ে তোলে।
পত্রিকা পাঠের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলোÑ তরুণদের মধ্যে গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। পত্রিকার খবরের পেছনের ঘটনা, কারণ, প্রভাবÑ সব কিছু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় তরুণরা শুধু সংবাদ গ্রহণ করে না, বরং সেই খবরের প্রেক্ষিতে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে শেখে। সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে এবং এটি তাদের ব্যক্তিত্ব ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পত্রিকা পাঠ তরুণদের সামাজিক দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজের সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পত্রিকা পাঠের কোনো বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই পত্রিকা পাঠে উৎসাহিত করতে হবে, যাতে তারা সঠিকভাবে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
আব্দুল্লাহ আল সিফাত
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
তরুণ প্রজন্মের এক বড় অংশ আজকের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বেশিরভাগ তথ্য প্রযুক্তিগত ডিভাইসের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ—এই যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে তথ্যের প্রাচুর্য পাওয়া যায়; সেখানে আছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা তরুণদের সহজেই আকর্ষণ করে; কিন্তু পত্রিকা পাঠের যে আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে, তা এ প্রযুক্তি নির্ভর মাধ্যমগুলোর তুলনায় অনেক বেশি স্থায়ী ও মূল্যবান। আজকের এই প্রযুক্তির বিশ্বে তরুণদের পত্রিকা পাঠে উদ্বুদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
পত্রিকা পাঠের গুরুত্ব বোঝাতে গেলে বলতে হয়Ñ এটাই এমন এক মাধ্যম, যা একজন পাঠককে গভীরভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনা এবং বিশ্বের জানা-অজানা সব খবরের সাথে পরিচিত করে তোলে। প্রতিদিনের পত্রিকা হলো তথ্যের এক সমৃদ্ধ ভা-ার, যা নিয়মিত পাঠ করলে একজন ব্যক্তি শুধু আপডেট থাকে না, বরং সমাজ, রাষ্ট্র, এবং বিশ্বের সাথে তার সংযোগও দৃঢ় হয়। আমরা প্রায়ই ভুলভাবে ভেবে থাকি যে পত্রিকা কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। অথচ পত্রিকার খবর এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যে যে কেউ, যে কোনো বয়সেই এটি থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য আহরণ করতে পারে।
অনলাইন মাধ্যমগুলোতে খবর পাওয়া সহজ এবং স্বল্পমেয়াদি উত্তেজনার জন্ম দেয়; কিন্তু সেসব খবরের সত্যতা যাচাই করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে। পত্রিকা পাঠের ক্ষেত্রে এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিয়মিত গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসে, যা পাঠককে নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক তথ্য প্রদান করে। এক্ষেত্রে বলা যায়, পত্রিকা যেমন সুসংগঠিত থাকে, তেমনি তা পাঠকের মানসিক বিকাশে সহায়ক হয়। নিয়মিত পত্রিকা পাঠ করার অভ্যাস শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য নয়, এটি একজন তরুণকে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত আসক্তি থেকেও মুক্ত রাখে।
তরুণদের পত্রিকা পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলা এক ধরনের মানসিক অনুশীলন। এটি সমাজের সাথে তাদের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের মননশীলতাকে তীক্ষè করে তোলে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলা সম্পর্কে গভীর ও সমৃদ্ধ ধারণা দেয় পত্রিকা। তরুণরা যখন নিয়মিত পত্রিকা পড়ে, তখন তারা কেবল সাময়িক সংবাদ পায় না; বরং খবরে প্রভাবিত ঘটনা এবং তার ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও গড়ে তোলে।
পত্রিকা পাঠের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলোÑ তরুণদের মধ্যে গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। পত্রিকার খবরের পেছনের ঘটনা, কারণ, প্রভাবÑ সব কিছু নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় তরুণরা শুধু সংবাদ গ্রহণ করে না, বরং সেই খবরের প্রেক্ষিতে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে শেখে। সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে এবং এটি তাদের ব্যক্তিত্ব ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পত্রিকা পাঠ তরুণদের সামাজিক দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজের সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পত্রিকা পাঠের কোনো বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই পত্রিকা পাঠে উৎসাহিত করতে হবে, যাতে তারা সঠিকভাবে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
আব্দুল্লাহ আল সিফাত