alt

চিঠিপত্র

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

: শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশে পাটের তৈরি পণ্যের একটি গৌরবময় অধ্যায় রয়েছে। পাটকে একসময় সোনালি আঁশ বলা হতো। এটি আমাদের দেশের প্রধান অর্থনৈতিক ফসল ছিল এবং অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল।

সেই সময় পাট আমাদের অর্থনীতি সচল করে রেখেছিল; কিন্তু ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা কমে যেতে থাকে। অন্যদিকে প্লাস্টিক ও সিনথেটিক উপাদান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে বাংলাদেশের পাট শিল্পও সংকটে পড়ে। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব পণ্যের দিকে আগ্রহ বাড়ার ফলে আবার পাট শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। পাট থেকে এখন কাগজ, ব্যাগ, টেক্সটাইলসহ নানা ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিপূরক হলো পাট থেকে তৈরি ব্যাগ ও বিভিন্ন পণ্য যা পরিবেশবান্ধবও। ২০১৬ সালে পাট থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করা হয়। সোনালি ব্যাগ প্রচলিত পলিথিন ব্যাগের মতো দেখতে পাতলা ও টেকসই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাটের তৈরি পণ্যকে জলরোধী করা যায়, যা প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে খুব সহজে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া পাট থেকে তৈরি একটি ব্যাগ একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে। এটি মাটিতে ফেললে সহজে মাটির সাথে মিশে পচে যায়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।

সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিকীকরণ করলে পাটচাষিরা উপকৃত হবে এবং পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন শুরু হলে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যাবে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের ব্যবহার শুরু হলে যেমন পরিবেশের জন্য ভালো হবে তেমন এতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। পাট চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাবে এবং পাট উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। সোনালি ব্যাগ ব্যবহার ও পাটের তৈরি পণ্য পাট শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে পারবে। পাটজাত পণ্যের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশের হারানো ঐতিহ্যকে পুণরায় জাগিয়ে তোলা যাবে। প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাগজের তৈরি ব্যাগ বা কাপড়ের তৈরি ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্লাস্টিক পণ্য যেমন মানুষের জন্য ক্ষতিকর তেমন সামুদ্রিক প্রাণী ও পাখিদের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর। প্লাস্টিক পণ্যের ফলে জলজ প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর ফলে ধীরে ধীরে অনেক জলজ প্রাণী ও পাখি প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিক পণ্য সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়। এইজন্য হঠাৎ করে আমাদের জীবন থেকে প্লাস্টিক বাদ দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু পরিবেশের সুরক্ষার কথা ভেবে আমাদের প্লাস্টিক বর্জন করা উচিত। প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের জন্য কঠোরভাবে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইন অমান্যকারীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

উম্মে সাবাইনা সুলতানা

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

প্রযুক্তির যুগে পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই

গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ হোক

দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

tab

চিঠিপত্র

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে পাটের তৈরি পণ্যের একটি গৌরবময় অধ্যায় রয়েছে। পাটকে একসময় সোনালি আঁশ বলা হতো। এটি আমাদের দেশের প্রধান অর্থনৈতিক ফসল ছিল এবং অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল।

সেই সময় পাট আমাদের অর্থনীতি সচল করে রেখেছিল; কিন্তু ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা কমে যেতে থাকে। অন্যদিকে প্লাস্টিক ও সিনথেটিক উপাদান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে বাংলাদেশের পাট শিল্পও সংকটে পড়ে। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব পণ্যের দিকে আগ্রহ বাড়ার ফলে আবার পাট শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। পাট থেকে এখন কাগজ, ব্যাগ, টেক্সটাইলসহ নানা ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিপূরক হলো পাট থেকে তৈরি ব্যাগ ও বিভিন্ন পণ্য যা পরিবেশবান্ধবও। ২০১৬ সালে পাট থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করা হয়। সোনালি ব্যাগ প্রচলিত পলিথিন ব্যাগের মতো দেখতে পাতলা ও টেকসই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাটের তৈরি পণ্যকে জলরোধী করা যায়, যা প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে খুব সহজে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া পাট থেকে তৈরি একটি ব্যাগ একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে। এটি মাটিতে ফেললে সহজে মাটির সাথে মিশে পচে যায়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।

সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিকীকরণ করলে পাটচাষিরা উপকৃত হবে এবং পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন শুরু হলে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যাবে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের ব্যবহার শুরু হলে যেমন পরিবেশের জন্য ভালো হবে তেমন এতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। পাট চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাবে এবং পাট উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। সোনালি ব্যাগ ব্যবহার ও পাটের তৈরি পণ্য পাট শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে পারবে। পাটজাত পণ্যের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশের হারানো ঐতিহ্যকে পুণরায় জাগিয়ে তোলা যাবে। প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাগজের তৈরি ব্যাগ বা কাপড়ের তৈরি ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্লাস্টিক পণ্য যেমন মানুষের জন্য ক্ষতিকর তেমন সামুদ্রিক প্রাণী ও পাখিদের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর। প্লাস্টিক পণ্যের ফলে জলজ প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর ফলে ধীরে ধীরে অনেক জলজ প্রাণী ও পাখি প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিক পণ্য সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়। এইজন্য হঠাৎ করে আমাদের জীবন থেকে প্লাস্টিক বাদ দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু পরিবেশের সুরক্ষার কথা ভেবে আমাদের প্লাস্টিক বর্জন করা উচিত। প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের জন্য কঠোরভাবে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইন অমান্যকারীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

উম্মে সাবাইনা সুলতানা

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

back to top