মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাসগৃহে পানির সংস্থান না থাকায় ১০টি পরিবারের মধ্যে সাতটিতে পানি সংগ্রহ করেন নারীরা। বিশ্বব্যাপী নিজের পরিবারের জন্য পানি সংগ্রহের কাজটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীরা করে থাকেন, যেখানে এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং প্রতিদিন এই কাজের পিছনেই তাদের অনেক সময় ব্যয় হয়। নারী ও মেয়েরা বাড়ির বাহিরে টয়লেট ব্যবহার করার সময় বেশীর ক্ষেত্রে অনিরাপদ বোধ করেন ও স্বাস্থ্যবিধির ঘাটতির প্রভাব ও বৈষম্য অনুধাবন করে। পানি সংগ্রহের জন্য একটি মেয়ের একটি করে ধাপ এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো পড়াশোনা খেলাধুলা ও নিরাপত্তা থেকে তার একটি করে ধাপ দূরে সরে যাওয়া।
অনিরাপদ পানি, অনিরাপদ টয়লেট ও বাড়িতে হাত ধোয়ার অনিরাপদ ব্যবস্থা মেয়েদের কাছ থেকে তাদের সম্ভাবনা কেড়ে নেয়। তাদের সার্বিক কল্যাণকে ঝুঁকিতে ফেলে এবং দারিদ্র্যের চক্রকে স্থায়ী করে। ওয়াশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মেয়েদের চাহিদার প্রতি সাড়া প্রদানের বিষয়টি সার্বজনীন পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা নিশ্চিত করা এবং লিঙ্গ সমতা ও ক্ষমতায়ন অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটি মানুষ এমন বাড়িতে বসবাস করে যেখানে বাসগৃহে পানির সংস্থান নেই। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি নারীরা প্রাথমিকভাবে পানি সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্যে কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরে অপর্যাপ্ত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির কারণে প্রতি বছর ১৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। নারীরা ডায়রিয়া ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো শুধু ওয়াশ সম্পর্কিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় না, তারা এর বাহিরেও বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখোমুখি হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবার রান্না করা এবং অসুস্থদের দেখাশোনা করাসহ ঘরের কাজ ও অন্যান্যদের যতœ নেওয়ার প্রথমিকভাবে নারীরাই দায়বদ্ধ থাকে, এটি অনেক ক্ষেত্রে তাদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। হাত ধোয়াজনিত সুরক্ষার অভাব ও তাদের অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ফেলে। গৃহস্থালি কাজে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা হলে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করার এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়
সিলেট
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪
বাসগৃহে পানির সংস্থান না থাকায় ১০টি পরিবারের মধ্যে সাতটিতে পানি সংগ্রহ করেন নারীরা। বিশ্বব্যাপী নিজের পরিবারের জন্য পানি সংগ্রহের কাজটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীরা করে থাকেন, যেখানে এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং প্রতিদিন এই কাজের পিছনেই তাদের অনেক সময় ব্যয় হয়। নারী ও মেয়েরা বাড়ির বাহিরে টয়লেট ব্যবহার করার সময় বেশীর ক্ষেত্রে অনিরাপদ বোধ করেন ও স্বাস্থ্যবিধির ঘাটতির প্রভাব ও বৈষম্য অনুধাবন করে। পানি সংগ্রহের জন্য একটি মেয়ের একটি করে ধাপ এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো পড়াশোনা খেলাধুলা ও নিরাপত্তা থেকে তার একটি করে ধাপ দূরে সরে যাওয়া।
অনিরাপদ পানি, অনিরাপদ টয়লেট ও বাড়িতে হাত ধোয়ার অনিরাপদ ব্যবস্থা মেয়েদের কাছ থেকে তাদের সম্ভাবনা কেড়ে নেয়। তাদের সার্বিক কল্যাণকে ঝুঁকিতে ফেলে এবং দারিদ্র্যের চক্রকে স্থায়ী করে। ওয়াশ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মেয়েদের চাহিদার প্রতি সাড়া প্রদানের বিষয়টি সার্বজনীন পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা নিশ্চিত করা এবং লিঙ্গ সমতা ও ক্ষমতায়ন অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটি মানুষ এমন বাড়িতে বসবাস করে যেখানে বাসগৃহে পানির সংস্থান নেই। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি নারীরা প্রাথমিকভাবে পানি সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্যে কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরে অপর্যাপ্ত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির কারণে প্রতি বছর ১৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। নারীরা ডায়রিয়া ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো শুধু ওয়াশ সম্পর্কিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় না, তারা এর বাহিরেও বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখোমুখি হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবার রান্না করা এবং অসুস্থদের দেখাশোনা করাসহ ঘরের কাজ ও অন্যান্যদের যতœ নেওয়ার প্রথমিকভাবে নারীরাই দায়বদ্ধ থাকে, এটি অনেক ক্ষেত্রে তাদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। হাত ধোয়াজনিত সুরক্ষার অভাব ও তাদের অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ফেলে। গৃহস্থালি কাজে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা হলে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করার এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়
সিলেট