alt

চিঠিপত্র

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

: শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

জীবন খুবই মূল্যবান সম্পদ। নিজের পছন্দের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা পছন্দের সাবজেক্টে পড়তে না পারলেই জীবন বৃথা হয়ে যায় না। পৃথিবীতে অনেক মানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়নি, কিন্তু তারপরও তারা সফল ও সুন্দর ক্যারিয়ার গড়েছেন। জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতাকে কোন নির্দিষ্ট মানদ-ে বিচার করা যায় না। সফল হওয়ার রাস্তা অনেক। অনেকেই অনেকভাবে জীবনে সাফল্য নামক সোনার হরিণ খুঁজে পেয়েছে। কোন নির্দিষ্ট একটি রাস্তা বন্ধ হলেও আপনার সামনে অনেক রাস্তায় খোলা আছে গন্তব্যে পৌঁছানোর।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু সবাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না এবং সবাইকে ভর্তি করানোও সম্ভব না। শুধু ভাগ্যবান, মেধাবীরাই এই তালিকায় এই জায়গা করে নেয়। তাহলে যারা ঢাবিতে বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় না তারা কি ব্যর্থ?

আপনার ডিপ্রেশনে যাওয়ার কিছুই নেই। শুধু হতাশ না হয়ে লেগে থাকুন, পরিশ্রম করুন। কোথাও লেখা নাই যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েই সফল হতে হবে। মানছি যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি শিক্ষা মনোবেশ পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেয়। আপনি চাইলে যেকোনো জায়গা থেকেই সফল হতে পারেন। কারণ আপনি সফল হতে চাচ্ছেন, তাই সফলতা আপনা-আপনি এসে ধরা দিবে না। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর টার্গেট যেকোনো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার। কিন্তু সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব না। তাই বলে যারা অকৃতকার্য হবে তারা কি ব্যর্থ? আপনার ক্যারিয়ার কি হবে, ফলাফল কি হবে তা নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের উপর।

আপনি চাকরি বাজারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি, প্রাইভেট, সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরাও অনেক এগিয়ে আছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই কি আপনি সফল? যদি আপনি পড়াশোনা না করেন, পরিশ্রম না করেন। অন্যদিকে, আরেকজন পড়াশুনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট কিংবা সাত কলেজ থেকে পাস করে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়েছে। সে নিঃসন্দেহে আগের ব্যক্তির থেকে এগিয়ে আছে। সুতরাং কোন বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে না পারলেই জীবন বৃথা হয় না। আপনার জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা, আপনার পরিশ্রম ও অধ্যবসায় এর উপর নির্ভরশীল।

মিরজুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

সাহিত্য সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই আতঙ্ক

পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি

বিষণœতার নীরব ছোবল

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

শিশু হত্যা ও আমাদের দায়বদ্ধতা

স্বাস্থ্যসেবার টুকরো চিত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

যুব শক্তি : উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু

খাগড়াছড়ির রামগড় পর্যটন পার্কটি এখন গো-চারণভূমি

সাত কলেজের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

ফান পোস্টে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

স্যানিটেশন সংকটে দুর্ভোগের শিকার বেশী নারীরা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

tab

চিঠিপত্র

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

জীবন খুবই মূল্যবান সম্পদ। নিজের পছন্দের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা পছন্দের সাবজেক্টে পড়তে না পারলেই জীবন বৃথা হয়ে যায় না। পৃথিবীতে অনেক মানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়নি, কিন্তু তারপরও তারা সফল ও সুন্দর ক্যারিয়ার গড়েছেন। জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতাকে কোন নির্দিষ্ট মানদ-ে বিচার করা যায় না। সফল হওয়ার রাস্তা অনেক। অনেকেই অনেকভাবে জীবনে সাফল্য নামক সোনার হরিণ খুঁজে পেয়েছে। কোন নির্দিষ্ট একটি রাস্তা বন্ধ হলেও আপনার সামনে অনেক রাস্তায় খোলা আছে গন্তব্যে পৌঁছানোর।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু সবাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না এবং সবাইকে ভর্তি করানোও সম্ভব না। শুধু ভাগ্যবান, মেধাবীরাই এই তালিকায় এই জায়গা করে নেয়। তাহলে যারা ঢাবিতে বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় না তারা কি ব্যর্থ?

আপনার ডিপ্রেশনে যাওয়ার কিছুই নেই। শুধু হতাশ না হয়ে লেগে থাকুন, পরিশ্রম করুন। কোথাও লেখা নাই যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েই সফল হতে হবে। মানছি যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি শিক্ষা মনোবেশ পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেয়। আপনি চাইলে যেকোনো জায়গা থেকেই সফল হতে পারেন। কারণ আপনি সফল হতে চাচ্ছেন, তাই সফলতা আপনা-আপনি এসে ধরা দিবে না। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর টার্গেট যেকোনো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার। কিন্তু সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব না। তাই বলে যারা অকৃতকার্য হবে তারা কি ব্যর্থ? আপনার ক্যারিয়ার কি হবে, ফলাফল কি হবে তা নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের উপর।

আপনি চাকরি বাজারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি, প্রাইভেট, সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরাও অনেক এগিয়ে আছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই কি আপনি সফল? যদি আপনি পড়াশোনা না করেন, পরিশ্রম না করেন। অন্যদিকে, আরেকজন পড়াশুনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট কিংবা সাত কলেজ থেকে পাস করে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়েছে। সে নিঃসন্দেহে আগের ব্যক্তির থেকে এগিয়ে আছে। সুতরাং কোন বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে না পারলেই জীবন বৃথা হয় না। আপনার জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা, আপনার পরিশ্রম ও অধ্যবসায় এর উপর নির্ভরশীল।

মিরজুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।

back to top