মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশে বর্তমানে অবহেলিত ও নানা বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। সমাজ ও পরিবারের চোখে প্রতিবন্ধীরা বোঝা স্বরূপ। স্থান ভেদে প্রতিবন্ধীরা নির্যাতিত, নিন্দিত, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
পারিবারিকভাবে সচেতন, স্বচ্ছল পরিবারে যে সব প্রতিবন্ধীদের জন্ম তাদের জীবনের প্রতিকূলতা ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণকৃৃত প্রতিবন্ধীদের দৈনন্দিন প্রতিকূলতা এক নয়।
আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা কর্মসংস্থানের জন্য প্রধান বাধা। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট বেকারত্বের কারণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ ব্যক্তিরা নিজেদের জীবিকা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়।
প্রতিবন্ধীদের মধ্যে রয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণপ্রতিবন্ধী, বাকপ্রতিবন্ধী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীসহ নানা প্রকারভেদ। আমাদের সমাজে এমন অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা নিজ উদ্যমে প্রতিবন্ধকতা কে দুর্বল না ভেবে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবুও তারা ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নিজেদের দাঁড় করানো থেকে বিরত রেখেছেন।
দৈনন্দিন যাত্রাপথে আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে অনেক অসহায় প্রতিবন্ধীদের চোখে পড়ে যারা ভিক্ষাবৃত্তি সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে রয়েছে নিজ উদ্যমে কর্ম করার ইচ্ছাশক্তি কিন্তু তাদের জন্য নেই বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। তাদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি ও সমাজে নতুন রূপে প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সামাজিকভাবে অবহেলা না করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য পুনর্বাসন ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে; যা প্রতিবন্ধীদের সঠিক বিকাশের পথে প্রধান বাধা। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে জোর দিয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীর প্রকারভেদ অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে তোলা সম্ভব।
মুজাহিদুল ইসলাম,
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে বর্তমানে অবহেলিত ও নানা বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। সমাজ ও পরিবারের চোখে প্রতিবন্ধীরা বোঝা স্বরূপ। স্থান ভেদে প্রতিবন্ধীরা নির্যাতিত, নিন্দিত, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
পারিবারিকভাবে সচেতন, স্বচ্ছল পরিবারে যে সব প্রতিবন্ধীদের জন্ম তাদের জীবনের প্রতিকূলতা ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণকৃৃত প্রতিবন্ধীদের দৈনন্দিন প্রতিকূলতা এক নয়।
আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা কর্মসংস্থানের জন্য প্রধান বাধা। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট বেকারত্বের কারণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ ব্যক্তিরা নিজেদের জীবিকা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়।
প্রতিবন্ধীদের মধ্যে রয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণপ্রতিবন্ধী, বাকপ্রতিবন্ধী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীসহ নানা প্রকারভেদ। আমাদের সমাজে এমন অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা নিজ উদ্যমে প্রতিবন্ধকতা কে দুর্বল না ভেবে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবুও তারা ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নিজেদের দাঁড় করানো থেকে বিরত রেখেছেন।
দৈনন্দিন যাত্রাপথে আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে অনেক অসহায় প্রতিবন্ধীদের চোখে পড়ে যারা ভিক্ষাবৃত্তি সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে রয়েছে নিজ উদ্যমে কর্ম করার ইচ্ছাশক্তি কিন্তু তাদের জন্য নেই বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। তাদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি ও সমাজে নতুন রূপে প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সামাজিকভাবে অবহেলা না করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য পুনর্বাসন ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে; যা প্রতিবন্ধীদের সঠিক বিকাশের পথে প্রধান বাধা। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে জোর দিয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীর প্রকারভেদ অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে তোলা সম্ভব।
মুজাহিদুল ইসলাম,
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।