মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতার চর্চার অভাবে দেশে দিন দিন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের বৃদ্ধি হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আমাদের দেশে একের পর এক ঘটছে শিশু ধর্ষণ কিংবা হত্যাকা-ের মতো ঘটনা। শুধু ধর্ষণ করে ক্ষান্ত থাকছে না পাষ-রা, ধর্ষিত শিশুটিকে হত্যা করতে পর্যন্ত দ্বিধা করছে না।
আজ যারা শিশু, ভবিষ্যতে তারাই হবে দেশ গড়ার কারিগর। একটি শিশু পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে স্নেহ, ভালোবাসা, আদর-সোহাগ, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা আর সুন্দরের প্রত্যাশা নিয়ে। সেই শিশুর জীবনই যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে গোটা সমাজই বিপদের সম্মুখীন হবে এক সময়। তবে শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন কন্যাশিশুরা। তারা পরিবার ও পরিবারের বাইরে বিভিন্ন নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে অহরহ।
বিচার-প্রক্রিয়া এবং আইনি তৎপরতার দুর্বলতার কারণে উপযুক্ত শাস্তি থেকে বেঁচে যায় অপরাধীরা। এই পার পেয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সমাজে আরও অনেককে একই ধরনের অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত করে। আসামির শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আগে পরিবারের সদস্যরা। তাদের স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘরে থাকার সময়ে যতœশীল হতে হবে। শিশুর সামান্য ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো ব্যক্তির কাছে যেতে না দেয়াই ভালো। শিশুকে বাসায় একা রেখে কোথাও যাওয়া উচিত নয়। যথা সম্ভব মেয়ে শিশুকে স্কুলে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে মা বাবার ভূমিকা থাকতে হবে ব্যাপক। সেই সঙ্গে ধর্ষণ রোধে মনিটরিং বা নজরদারি জোরদার করতে হবে আমাদের সমাজের সব স্তরের মানুষের।
পরিবারকে তাদের সন্তানের প্রতি যতœশীল হতে হবে। মানুষের ভেতরে নৈতিকতাকে জাগ্রত করতে হবে। সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝে নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ করতে হবে। পারিবারিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। নৈতিকতার সঠিক চর্চা সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে পারে। তবে কন্যা শিশুর পাশাপাশি ছেলেশিশুকেও ধর্ষণ ও যৌন হয়রানিবিরোধী মূল্যবোধ শেখাতে হবে। যেন বড় হয়ে ভবিষ্যতে সে এ ধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকে। সবশেষে শিশুদের প্রতি দৃৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে আমাদের।
মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতার চর্চার অভাবে দেশে দিন দিন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের বৃদ্ধি হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আমাদের দেশে একের পর এক ঘটছে শিশু ধর্ষণ কিংবা হত্যাকা-ের মতো ঘটনা। শুধু ধর্ষণ করে ক্ষান্ত থাকছে না পাষ-রা, ধর্ষিত শিশুটিকে হত্যা করতে পর্যন্ত দ্বিধা করছে না।
আজ যারা শিশু, ভবিষ্যতে তারাই হবে দেশ গড়ার কারিগর। একটি শিশু পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে স্নেহ, ভালোবাসা, আদর-সোহাগ, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা আর সুন্দরের প্রত্যাশা নিয়ে। সেই শিশুর জীবনই যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে গোটা সমাজই বিপদের সম্মুখীন হবে এক সময়। তবে শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন কন্যাশিশুরা। তারা পরিবার ও পরিবারের বাইরে বিভিন্ন নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে অহরহ।
বিচার-প্রক্রিয়া এবং আইনি তৎপরতার দুর্বলতার কারণে উপযুক্ত শাস্তি থেকে বেঁচে যায় অপরাধীরা। এই পার পেয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সমাজে আরও অনেককে একই ধরনের অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত করে। আসামির শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আগে পরিবারের সদস্যরা। তাদের স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘরে থাকার সময়ে যতœশীল হতে হবে। শিশুর সামান্য ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো ব্যক্তির কাছে যেতে না দেয়াই ভালো। শিশুকে বাসায় একা রেখে কোথাও যাওয়া উচিত নয়। যথা সম্ভব মেয়ে শিশুকে স্কুলে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে মা বাবার ভূমিকা থাকতে হবে ব্যাপক। সেই সঙ্গে ধর্ষণ রোধে মনিটরিং বা নজরদারি জোরদার করতে হবে আমাদের সমাজের সব স্তরের মানুষের।
পরিবারকে তাদের সন্তানের প্রতি যতœশীল হতে হবে। মানুষের ভেতরে নৈতিকতাকে জাগ্রত করতে হবে। সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝে নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ করতে হবে। পারিবারিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। নৈতিকতার সঠিক চর্চা সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে পারে। তবে কন্যা শিশুর পাশাপাশি ছেলেশিশুকেও ধর্ষণ ও যৌন হয়রানিবিরোধী মূল্যবোধ শেখাতে হবে। যেন বড় হয়ে ভবিষ্যতে সে এ ধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকে। সবশেষে শিশুদের প্রতি দৃৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে আমাদের।
মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর।