alt

চিঠিপত্র

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

: মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

র‌্যাগিং অর্থ পরিচিত হওয়া, তিরস্কার করা অথবা আবেগে কিছু করা ইত্যাদি। এছাড়া র‌্যাগিং শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে ‘পরিচয় পর্ব’ অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরাতন শিক্ষার্থীদের একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিতি প্রথা সেটাকে র‌্যাগিং বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে র‌্যাগিংকে ভয়াবহ ভাইরাসে রূপান্তর করে কিছু শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে উচ্চশিক্ষা প্রদান করাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজকর্ম করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একটা সৌভাগ্যের বিষয়। তবে, র‌্যাগিং শব্দটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টদের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত।

দেশে প্রায় প্রতিটা পাবলিক ভার্সিটিতে এবং মেডিকেলে র‌্যাগিং এর প্রচলন রয়েছে। এছাড়া কিছু প্রাইভেট ভার্সিটিতেও র‌্যাগিং দেখা যায়। র‌্যাগিং সম্পর্কে অনেকেরই খারাপ ধারণা থাকে। আবার কেউ কেউ বিষয়টাকে পজিটিভ ভাবেন। আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। র‌্যাগিংয়ের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। যেমন- পরিচয় দেয়া, গান গাওয়া, নাচ করা, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক ইত্যাদি। এছাড়া রোদ্রে ক্যাম্পাসে দৌড়ানো, বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন রয়েছে। এছাড়া সিনিয়র আপুদের প্রপোজসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন হয়ে থাকে। র‌্যাগিং সাধারণত একক কিংবা যৌথভাবে ঘটানো হয়ে থাকে।

র‌্যাগিং সাধারণত সিনিয়র বা জুনিয়রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা কিন্তু কিছু কিছু সিনিয়র আছেন যারা শাস্তিমূলক র‌্যাগিং দিয়ে থাকেন যে একটি শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ। র‌্যাগিং নামে অশ্লীল কথাবার্তা বলা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করা কিংবা শুনতে হয় জুনিয়রদেরÑ যা সহ্য করার ক্ষমতা সবার এক নয়। যার দরুণ সবার সামনে লাঞ্চনার শিকার হতে হয় জুনিয়রদের। র‌্যাগিং ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় মেয়েদের। তাদের প্রাথমিক জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার।

ছাত্রদের কর্তৃক র‌্যাগিং নামের ভয়াবহ কালচার বন্ধ করতে হবে। আর অন্যদিকে প্রসাশন তাদের সব অনিয়ম ঢাকতে নতুনদের যে পুরাতনের সঙ্গে মিশতে দেয় না, তাও বন্ধ করতে হবে।

র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের উচিত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার জন্য হওয়া উচিত, সেখানে র‌্যাগিংয়ের মতো অপসংস্কৃতি কখনই গৃহীত হতে পারে না। প্রশাসনকে উচিত নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমর্থনমূলক পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তারা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার না হয়ে স্বাধীনভাবে তাদের শিক্ষাজীবন শুরু করতে পারে।

মিজানুর রহমান মিজান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

র‌্যাগিং অর্থ পরিচিত হওয়া, তিরস্কার করা অথবা আবেগে কিছু করা ইত্যাদি। এছাড়া র‌্যাগিং শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে ‘পরিচয় পর্ব’ অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরাতন শিক্ষার্থীদের একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিতি প্রথা সেটাকে র‌্যাগিং বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে র‌্যাগিংকে ভয়াবহ ভাইরাসে রূপান্তর করে কিছু শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে উচ্চশিক্ষা প্রদান করাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজকর্ম করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একটা সৌভাগ্যের বিষয়। তবে, র‌্যাগিং শব্দটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টদের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত।

দেশে প্রায় প্রতিটা পাবলিক ভার্সিটিতে এবং মেডিকেলে র‌্যাগিং এর প্রচলন রয়েছে। এছাড়া কিছু প্রাইভেট ভার্সিটিতেও র‌্যাগিং দেখা যায়। র‌্যাগিং সম্পর্কে অনেকেরই খারাপ ধারণা থাকে। আবার কেউ কেউ বিষয়টাকে পজিটিভ ভাবেন। আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। র‌্যাগিংয়ের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। যেমন- পরিচয় দেয়া, গান গাওয়া, নাচ করা, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক ইত্যাদি। এছাড়া রোদ্রে ক্যাম্পাসে দৌড়ানো, বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন রয়েছে। এছাড়া সিনিয়র আপুদের প্রপোজসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন হয়ে থাকে। র‌্যাগিং সাধারণত একক কিংবা যৌথভাবে ঘটানো হয়ে থাকে।

র‌্যাগিং সাধারণত সিনিয়র বা জুনিয়রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা কিন্তু কিছু কিছু সিনিয়র আছেন যারা শাস্তিমূলক র‌্যাগিং দিয়ে থাকেন যে একটি শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ। র‌্যাগিং নামে অশ্লীল কথাবার্তা বলা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করা কিংবা শুনতে হয় জুনিয়রদেরÑ যা সহ্য করার ক্ষমতা সবার এক নয়। যার দরুণ সবার সামনে লাঞ্চনার শিকার হতে হয় জুনিয়রদের। র‌্যাগিং ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় মেয়েদের। তাদের প্রাথমিক জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার।

ছাত্রদের কর্তৃক র‌্যাগিং নামের ভয়াবহ কালচার বন্ধ করতে হবে। আর অন্যদিকে প্রসাশন তাদের সব অনিয়ম ঢাকতে নতুনদের যে পুরাতনের সঙ্গে মিশতে দেয় না, তাও বন্ধ করতে হবে।

র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের উচিত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার জন্য হওয়া উচিত, সেখানে র‌্যাগিংয়ের মতো অপসংস্কৃতি কখনই গৃহীত হতে পারে না। প্রশাসনকে উচিত নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমর্থনমূলক পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তারা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার না হয়ে স্বাধীনভাবে তাদের শিক্ষাজীবন শুরু করতে পারে।

মিজানুর রহমান মিজান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

back to top