alt

চিঠিপত্র

পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি

: রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু আইন ও বিধিমালা কার্যকর রয়েছে। পরিবেশের জন্য পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সরকার বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন অন্যতম।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, বিপণন এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর সংশোধনের মাধ্যমে বাস্তবাযড়ত হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ধারা ৬ অনুযায়ী, কোনো ক্ষতিকর বস্তুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। এই আইন ভঙ্গ করলে ৫০, ০০০ টাকা জরিমানা অথবা কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

পলিথিন ব্যবহার রোধ করতে বাংলাদেশে জুট ব্যাগ আইন, ২০১০ প্রণীত হলেও এর বাস্তবায়নে ত্রুটি দেখা দেয়। এই আইনে চাল, গম, ভুট্টা, চিনি, সার, আলু, পেঁয়াজ বাজারজাতকরণে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগে প্যাকেজিং করতে হবে বলা হয়। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় আদেশ দিয়ে আরও ১১টিসহ মোট ১৭টি পণ্যের মোড়ক হিসেবে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার।

প্লাস্টিক পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, নদী-নালা ও জলাশয় দূষিত করছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সব পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পলিথিন ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে উদাসীনতা রয়েছে।

পলিথিন ব্যবহার রোধে সরকার, জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইন প্রয়োগ, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশে পলিথিন দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।

ইবতেশাম রহমান সায়নাভ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু আইন ও বিধিমালা কার্যকর রয়েছে। পরিবেশের জন্য পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সরকার বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন অন্যতম।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, বিপণন এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর সংশোধনের মাধ্যমে বাস্তবাযড়ত হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ধারা ৬ অনুযায়ী, কোনো ক্ষতিকর বস্তুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। এই আইন ভঙ্গ করলে ৫০, ০০০ টাকা জরিমানা অথবা কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

পলিথিন ব্যবহার রোধ করতে বাংলাদেশে জুট ব্যাগ আইন, ২০১০ প্রণীত হলেও এর বাস্তবায়নে ত্রুটি দেখা দেয়। এই আইনে চাল, গম, ভুট্টা, চিনি, সার, আলু, পেঁয়াজ বাজারজাতকরণে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগে প্যাকেজিং করতে হবে বলা হয়। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় আদেশ দিয়ে আরও ১১টিসহ মোট ১৭টি পণ্যের মোড়ক হিসেবে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার।

প্লাস্টিক পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, নদী-নালা ও জলাশয় দূষিত করছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সব পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পলিথিন ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে উদাসীনতা রয়েছে।

পলিথিন ব্যবহার রোধে সরকার, জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইন প্রয়োগ, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশে পলিথিন দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।

ইবতেশাম রহমান সায়নাভ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

back to top